গণটিকা কেন্দ্রে কাজ করছে ছাত্রলীগ!
করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সারা দেশে সরকারের বিনামূল্যে গণটিকা প্রদান কার্যক্রমে শৃঙ্খলা ও সামাজিক দূরত্ব বজায়ে রাখতে প্রতিটি ইউনিয়নের টিকাদান কেন্দ্রে সকাল থেকেই কাজ করছে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
প্রতিটি টিকা কেন্দ্র ১০ জন করে ছাত্রলীগের সদস্যরা স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করছে। সরকার ঘোষিত টিকা প্রদানের নির্দিষ্ট সময় পর্যন্তই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রে কেন্দ্র অবস্থান করবে।
শনিবারর (৭ আগস্ট) সকাল ৯ টা থেকে সারাদেশের ন্যায় রাজবাড়ীর ৫টি উপজেলার ৪২টি ইউনিয়নে একযোগে চলছে এই গণটিকা কার্যক্রম। তারই ধারাবাহিকতায় বালিয়াকান্দির সাতটি ইউনিয়নের সাতটি কেন্দ্রে চলছে গণটিকা প্রদান। আর প্রতিটি কেন্দ্র ১০ জন করে মোট ৭০ জন ছাত্রলীগের সদস্যরা এতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছে।
সরেজমিন বহরপুর ইউনিয়নের কেন্দ্র বহরপুর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে গিয়ে দেখা যায়, গুড়িগুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে সরকারের পরীক্ষামূলক গণটিকা প্রদান কার্যক্রমে টিকা নিতে শতশত মানুষ উপস্থিত হয়েছেন কেন্দ্রগুলোতে। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কেন্দ্রগুলোতে নারী-পুরুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথেই সেই ভিড় দ্বিগুণ হয়ে যায়। নিবন্ধনের জন্য নারী-পুরুষ অপেক্ষা করছে কেন্দ্রগুলোতে।
আর টিকা নিতে আসা এ সকল মানুষের সার্বিক সহযোগিতা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ কেন্দ্রের শৃঙ্খলা ফেরাতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে দেখা গেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের। টিকা নিতে আসা মানুষগুলো যাতে কোনো বিড়ম্বনার শিকার না হন তার জন্য সার্বিক ভাবে কাজ করছে এ সকল স্বেচ্ছাসেবকরা।
কেন্দ্রগুলো পরিদর্শনে দেখা যায়, বালিয়াকান্দি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌফিক খান সাদিদ, সহ সভাপতি আবু হেনা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ হাদিস উজ্জাম, আমির হামজা, মো. রনি খান, সাংগঠনিক সম্পাদক রানা শেখসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের।
রামদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা সালেহা বেগম বার্তা২৪.কমকে বলেন, বেলা ১১টার দিকে টিকা নিতে কেন্দ্রে এসেছি। কি করতে হয় জানি না। অনেক মানুষ দেখে ভয় পেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম বাড়ি ফিরে যাবো। কিন্তু এইখানকার একটা ছেলে আমার চলে যাওয়া দেখে ঐ ছেলেটা আমার সব কাজ করে দিয়েছে। পরে আমি টিকা নিতে পেরেছি।
বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাফিন জব্বার বার্তা২৪.কমকে বলেন, আজকের গণটিকা প্রদান কার্যক্রমটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি কেন্দ্র ৬০০ জন মানুষকে টিকা প্রদান করতে হবে। এতো মানুষের সমাগমকে শৃঙ্খলা ফেরাতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যেভাবে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করছে তা নি:সন্দেহে প্রশংসার।
বালিয়াকান্দি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌফিক খান সাদিদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলার মানুষের জন্য যেভাবে কাজ করছে তা বিরল। করোনা সংক্রমণরোধে আওয়ামীলীগ সরকার বিনামূল্যে সারাদেশে আজ গণটিকা প্রদান করছেন। এই গণটিকা প্রদানে যাতে কোন বিশৃঙ্খলা না হয় তার জন্য আমরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মাঠে রয়েছি। বালিয়াকান্দিতে আমাদের ৭০ জন সদস্য স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছে।
এদিকে গণটিকা প্রদান কার্যক্রম বাস্তবায়নে সফল করতে সকাল থেকেই মাঠে রয়েছেন জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মকর্তারা। বালিয়াকান্দির সাতটি টিকাদান কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল কালাম আজাদ, ভাইস-চেয়ারম্যার মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাফিন জব্বার, নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল হাসান আলী, বহরপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী মকবুল হোসেন।