ঢাকাসহ সারা দেশে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা ২৪
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানমালা ঘিরে ঢাকাসহ সারাদেশে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। সেইসঙ্গে রয়েছে বিশেষ টহল ও চেকপোস্ট। অনুষ্ঠানস্থল ঘিরে থাকছে পুলিশ-র‌্যাব-গোয়েন্দাদের সমন্বিত নিরাপত্তাবলয়। সেইসঙ্গে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্যসহ অন্যদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে চারপাশের সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

নিরাপত্তার স্বার্থে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা সবাইকে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশির পর আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে হবে। পাশাপাশি তল্লাশি, ব্লক রেইড, চেকপোস্ট, ডগ স্কোয়াড ও বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের কাজ চলবে। ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর ও বনানী কবরস্থানকেন্দ্রিক অনুষ্ঠানস্থল এবং আশপাশের এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় রয়েছে।

সম্প্রতি পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ শোক দিবসের অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি সব মহানগর, রেঞ্জ ও জেলার পুলিশ সুপারসহ ইউনিটপ্রধানদের এ বার্তা দেন।

এদিকে, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম শনিবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা প্রত্যেককে চেকপোস্টে আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশি করে ভেন্যুতে প্রবেশ করানো হবে। প্রধানমন্ত্রী যতক্ষণ ভেন্যুতে অবস্থান করবেন, ততক্ষণ কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। বঙ্গবন্ধু জাদুঘর ও বনানী কবরস্থান পুরোটাই সিসিটিভির আওতায় থাকবে। মাস্ক ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

ঢাকার পুলিশ প্রধান বলেন, জঙ্গিদের হামলা চালানোর একটি প্রধান উদ্দেশ্যই হলো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আসা। এক্ষেত্রে ১৫ আগস্টের ভেন্যুর আশপাশে না হোক, দুই কিলোমিটার দূরেও যদি বোমা ফাটাতে পারে, তাতেও আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে। এদিক বিবেচনা করে জঙ্গিরা তৎপর। তবে যে গ্রুপটি সংঘবদ্ধ হচ্ছিল, সেটির পুরো ট্র্যাকই ধরা পড়ে গেছে। এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, সে জন্য পুলিশ তৎপর।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গণমাধ্যমকে বলেন, এবারও শোক দিবস ঘিরে যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিয়মিত টহল-চেকপোস্ট-নজরদারির পাশাপাশি প্রস্তুত থাকবে স্ট্রাইকিং ফোর্স। দিবসটি ঘিরে সুনির্দিষ্ট কোনো নিরাপত্তা-হুমকি নেই। তবু সতর্ক রয়েছে র‌্যাব।

ঢাকায় বিশেষ নজর থাকলেও সারাদেশেই শোক দিবসের অনুষ্ঠানমালার নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সাদা পোশাকে তৎপর থাকবেন গোয়েন্দারা। পোশাকধারী পুলিশ-র‌্যাব সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোয় অবস্থান নেবেন। চেকপোস্টে থাকবে কড়া তল্লাশি।

এদিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে সবার শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের সুবিধার্থে এর চারপাশের রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার। সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, অনুষ্ঠানে অতিথিদের যান সুষ্ঠুভাবে চলাচলের সুবিধার্থে ও যানজট এড়াতে ওই দিন ভোর থেকে অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত অন্যান্য যানকে বিকল্প পথ ব্যবহার করতে হবে।

এর মধ্যে মিরপুর ও গাবতলী থেকে আসা রাসেল স্কয়ার-আজিমপুরমুখী যান মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ-ধানমন্ডি ২৭ থেকে ডানে মোড় নিয়ে শংকর-জিগাতলা-সায়েন্সল্যাব হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে। নিউমার্কেট ও সায়েন্সল্যাব থেকে আসা রাসেল স্কয়ারমুখী যানগুলোকে ধানমন্ডি দুই নম্বর সড়কের বামে মোড় নিয়ে জিগাতলা-শংকর হয়ে যেতে হবে। রেইনবো-এফডিসি থেকে আসা যান সোনারগাঁও ক্রসিংয়ে বামে মোড় নিয়ে বাংলামটর দিয়ে শাহবাগ হয়ে গন্তব্যে যাবে। আর আমন্ত্রিত অতিথিরা মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ-ধানমন্ডি ২৭ নম্বর হয়ে মেট্রো শপিং মল থেকে ডানে মোড় এবং আহছানিয়া মিশন ক্রসিংয়ে বামে মোড় নিয়ে ৩২ নম্বরের পশ্চিম প্রান্তে পৌঁছাবে।

জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি চলাকালে ঢাকাবাসীর যান চলাচলে সাময়িক বিঘ্ন ঘটবে বলে দুঃখ প্রকাশ করেছে ডিএমপি।

   

গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: লাইন থেকে সরানো হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত বগি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের ছোট দেওড়া কাজী বাড়ি এলাকায় তেলবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনার ১২ ঘণ্টা পর রেললাইন থেকে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বগিগুলো সরানো হচ্ছে। 

শুক্রবার (০৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টা থেকে বগি সরানোর কাজ শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী বলেন, রাত সাড়ে ১১ টা থেকে লাইন থেকে বগি সরানোর কাজ শুরু হয়। এর আগে বিকেল চারটা থেকে ট্রেনের ইঞ্জিনের সাথে বগির সংযোগ গুলো বিচ্ছিন্ন করা হয় ।

  • গাজীপুরে দুই ট্রেনের সংঘর্ষ, তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
  • গাজীপুরে রেল দুর্ঘটনা: ৩ ঘণ্টা পর এক লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
  • গাজীপুরে ট্রেন সংঘর্ষ, ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
  • গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ
  • গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: তদন্তে রেলওয়ের দুটি কমিটি গঠন

উল্লেখ্য, শুক্রবার (০৩ মে) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের আউটার সিগন্যালের ছোট দেওড়া কাজীবাড়ি এলাকায় তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে টাঙ্গাইল কমিউটার যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। 

;

চট্টগ্রামে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু, আহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থানাধীন খেজুরতলায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও দুজন।

শুক্রবার (০৩ মে) সন্ধ্যায় সাতটার দিকে পতেঙ্গা সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকের নাম মো. মিনহাজ (৩৫)। আহত হয়েছেন আবু হেনা মাহমুদ (২৬) ও মনি নামে ২৮ বছর বয়সী এক নারী। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে ইমাম হোসেন ও ওমর মোল্লা নামে দুই ব্যক্তি। তারা বার্তা২৪.কম-কে জানান, সন্ধ্যায় আমরা পতেঙ্গা খেজুরতলা এলাকায় বীচে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। এসময় হঠাৎ একটি বিকট শব্দ শুনে গিয়ে দেখি একটি মোটরসাইকেলসহ তারা তিনজন বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রাস্তায় পড়ে আছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে একটি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে মিনহাজ নামের একজন মারা যায়।

তারা আরও বলেন, হাসপাতালে এসে তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে যেটি বুঝেছি। মাহমুদ একা ওই মোটরসাইকেলটি চালাচ্ছিল। নিহত মিনহাজ ও মনি নামের মেয়েটি এক সঙ্গে ছিল। মিনহাজকে মনি তার স্বামী বলে দাবি করছে। মনি আঘাত কম পেলেও আহত মাহমুদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক নুরুল আলম আশিক বলেন, নিহত মিনহাজ রাউজানের সুলতানপুর ওয়াহাবউল্লাহ মিয়াজির বাড়ির মো. শওকত আলীর ছেলে। আহত আবু হেনা মাহমুদ হালিশহরের নন্দন মহাজন সড়কের মহাজন বাড়ির আবু জয়নাল আবেদিনের ছেলে।

পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবিরুল ইসলাম জানান, দ্রুতগতির মোটরসাইকেল পথচারীদের চাপা দিয়েছে। এতে মোটরসাইকেল চালকসহ তিনজন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে একজন মারা যান। বিষয়টি তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে একজন অফিসারকে পাঠানো হয়েছে।

;

কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড লামা, ৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের লামায় হঠাৎ বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়েছে পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় নয় শতাধিক বাড়িঘর। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতে প্রায় ৫ কোটি টাকারও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

শুক্রবার (০৩ মে) প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের সাথে কথা বলে এতথ্য জানা যায়।

কালবৈশাখী ঝড়ের দুই দিন পরেও ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে অধিকাংশরা খোলা ছাদের নিচে বসবাস করছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের দেখতে আজ লামায় আসেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন ও পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন। সেই সময় বান্দরবান জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কালবৈশাখর ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে চাল ও ঢেউটিন বিতরণ করা হয়। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় লামা পৌরসভার লাইনঝিরি এলাকায় এইসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।


লামা বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ সিদ্দিক জানান, ০১ মে ভোরে ঘুর্ণিঝড়ে বিদ্যুৎ বিভাগের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ১১ কেভি সঞ্চালনের ১৭টি খুঁটি ও ৩৩ কেভি সঞ্চালনের ১টি খুঁটি ভেঙে যাওয়াতে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে।

শুক্রবার মেইন লাইন চালু করে লামা হাসপাতাল ও শহর এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লাইনঝিড়ি হতে ছাগলখাইয়া, লামা আলিকদম সঞ্চালনের ১১ কেভি লাইনটি প্রায় দেড় কিলোমিটার বিদ্যুতের তার ছিড়ে যাওয়াতে আলিকদম সংযোগ স্থাপন করা যায়নি। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী একযোগে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন বিদ্যুতের লাইন স্বাভাবিক করতে। দুয়েকদিনের মধ্য লামা ও আলিকদমের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে জানান তিনি।


লামা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, লামা পৌরসভাসহ পাঁচটি ইউনিয়নে প্রায় ৯ শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় লামা পৌরসভার মেয়র’সহ রেড ক্রিসেন্টের সদস্য ও স্থানীয়দের নিয়ে সড়কে ভেঙে পড়া গাছের ডালপালা কেটে পরিষ্কার করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে বরাদ্দকৃত খাদ্যশস্য ও কিছু ঢেউটিন তাৎক্ষণিক বিতরণ করা হয়েছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি টাকার উপরে হতে পারে বলে জানান তিনি।

লামা পৌর মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম (আবছার) জানান, গত বুধবার রাতে ঘুর্ণিঝড়ে লামা উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পৌর এলাকায় সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হয়েছে। শুধু পৌর এলাকায় একশ বিশটি ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ও তিনশটি ঘর আংশিক ক্ষতি হয়েছে। পৌরএলাকার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আড়াই থেকে তিনকোটি টাকা হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় থেকে তাৎক্ষণিক চাল ও আর্থিক বরাদ্দ পাওয়া গেছে।

লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হোসেন চৌধুরী জানান, লামা পৌরসভা, সাতটি ইউনিয়নে গত বুধবার রাতে ঘুর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ছয়শত থেকে সাতশত ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ এবং আংশিক ক্ষতি হয়েছে।

বান্দরবান জেলা প্রশাসক হতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়রকে সাথে নিয়ে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। সর্বমোট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ সময় সাপেক্ষ বলে জানান তিনি।

;

আরআরআর'র সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আরআরআর'র সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম

আরআরআর'র সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম

  • Font increase
  • Font Decrease

রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোড (আরআরআর) সংগঠনের আগামী দুই বছরের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন- প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি মো. আনোয়ার হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন- দৈনিক আমাদের সময়ের সিনিয়র রিপোর্টার তাওহীদুল ইসলাম।

শুক্রবার (০৩ মে) রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত আরআরআর -এর প্রথম বার্ষিক সাধারণ সভায় তারা নির্বাচিত হন।

কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- সহ-সভাপতি পার্থ সারথি দাস (প্রতিদিনের সংবাদ), যুগ্ম সম্পাদক শিপন হাবীব (দৈনিক যুগান্তর), অর্থ সম্পাদক শাহিন আক্তার (নিউ এইজ), সাংগঠনিক সম্পাদক তুহিন শুভ্র অধিকারী (দ্য ডেইলি স্টার), দপ্তর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. তৌফিকুল ইসলাম (দ্য ডেইলি সান), প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক তারেক সিকদার (বৈশাখী টিভি), কার্যনির্বাহী সদস্য মুনিমা সুলতানা (দ্য ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস), রাজীব আহম্মদ (দৈনিক সমকাল) এবং ইবরাহীম মাহমুদ আকাশ (দৈনিক জনকণ্ঠ)।

এ ছাড়া গবেষণা ও প্রকাশনার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি সেল গঠন করা হয়। শামীম রহমানের (বণিক বার্তা) নেতৃত্বে সেলের অন্য সদস্যরা হলেন- সজিব ঘোষ (দৈনিক কালের কণ্ঠ), আল আমিন সজল (ইন্ডিপেনডেন্ট টিভি), তৌফিকুল ইসলাম (দ্য ডেইলি সান) এবং তারেক সিকদার (বৈশাখী টিভি)।

তিন সদস্যের একটি কমিটি নির্বাচন পরিচালনা করে।

নির্বাচনের আগে অর্থ সম্পাদক শাহিন আক্তার ও বিদায়ী কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম তাদের প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন, যা কণ্ঠভোটে অনুমোদিত হয়। অনুষ্ঠানে সংগঠনের প্রায় সব সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

গত বছরের মার্চ মাসে প্রতিষ্ঠিত রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোড (আরআরআর) নামে পরিচিত ঢাকা-ভিত্তিক পেশাদার এবং কর্মরত সাংবাদিকদের একটি প্ল্যাটফর্ম যারা স্বনামধন্য জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন চ্যানেল, রেডিও স্টেশন ও অনলাইনে সড়ক, রেলপথ, যোগাযোগ অবকাঠামো এবং পরিবহন সম্পর্কিত খাত নিয়ে প্রতিবেদন করে।

;