সমন্বয়হীন স্বাস্থ্যখাত নিয়ে ক্ষুব্ধ কমিটি, নিশ্চুপ মন্ত্রণালয়



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক

সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনা অতিমারির শুরু থেকে স্বাস্থ্যখাতের বেহাল দশা ফুটে উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। তবে জবাব নেই মন্ত্রণালয়ের কাছে। সবশেষ গণটিকা কার্যক্রম নিয়ে লেজেগোবরে অবস্থায় ক্ষুব্ধ সংসদীয় কমিটি। অনেকে সুরক্ষা অ্যাপসের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করার পরেও টিকা গ্রহণের এসএমএস পাননি অন্যদিকে গণটিকা কার্যক্রম শুরুর দিন কেন্দ্রে এনআইডি দেখিয়ে টিকা নিয়েছেন অনেকে। বৈঠকে বলা হয়েছে যারা আগে রেজিস্ট্রেশন করেছে তাদের অপরাধ কি ছিল? তাদের না দিয়ে কেন রেজিস্ট্রেশন ছাড়া স্পট ভ্যাকসিন প্রদান করা হলো। এর কোন জবাব দিতে পারেনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

তাছাড়া ভ্যাকসিন প্রাপ্তি নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে আগেই গণমাধ্যমে তথ্য আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি। বৈঠকে কমিটির সদস্যদের মধ্যে থেকে বলা হয়েছে, টিকা পাওয়ার আগেই নানা ধরনের তথ্য বের হওয়ায় জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ায়, তাই বাইরে কথা কম বলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে ভ্যাকসিন প্রদানের বয়সসীমা ১২ বছর পর্যন্ত করা যায় কি না সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে কমিটি। উদাহরণ হিসেবে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের কথা তুলে ধরা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগে ১২ বছরের উপরে সকল শিক্ষার্থীকে ভ্যাকসিন প্রদানের বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া বৈঠকে করোনা টিকা উৎপাদন ও প্রদান পক্রিয়া সহজতর করার লক্ষ্যে সরকার-সরকার (জিটুজি) পদ্ধতি অনুসরণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে সভাপতি বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারে তাহলে ভ্যাকসিনের জন্য আর কারো মুখাপেক্ষী হতে হবে না।

সংসদীয় কমিটির কার্যপত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী গত ১০ আগস্ট পর্যন্ত ভ্যাকসিন প্রাপ্তি ও ভ্যাকসিন প্রদানের যে পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে। তাতে দেখা গেছে দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ২৪ শতাংশ সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করেছে। আর গত ১০ আগস্ট পর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ১ কোটি ৪৭ লাখ ৬৯ হাজার ৪৪৭ জন, তার মানে ১২ দশমিক ৫৩ শতাংশ লোকের প্রথম ডোজ টিকা সম্পন্ন হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন হয়েছে ৪৯ লাখ ২ হাজার ১৭০ জনের। অর্থাৎ দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে ৪ দশমিক ১৬ শতাংশ। দেশের ৮০ শতাংশ মানুষের টিকার আওতায় আনতে হলে সরকারি হিসেবে ১১ কোটি ৭৮ লাখ ৫৬ হাজার লোককে টিকা দিতে হবে। তাতে ভ্যাকসিনের প্রয়োজন হবে ২৩ কোটি ৫৭ লাখ ১২ হাজার ডোজ।

গত ১০ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত ভ্যাকসিনের সংখ্যা ২ কোটি ৭২ লাখ ৫৩ হাজার ৭১৯ ডোজ। তার মধ্যে ভ্যাকিসন প্রদান করা হয়েছে ১ কোটি ৯৬ লাখ ৭১ হাজার ৬১৭ জন। ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদের মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১ কোটি ৪৭ লাখ ৬৯ হাজার ৪৪৭ জন। দ্বিতীয় ডোজ ৪৯ লাখ ২ হাজার ১৭০ জন। সরকারি হিসাব অনুযায়ী এখনো ২০ কোটি ৮৪ লাখ ৫৮ হাজার ২১৮ ডোজ ভ্যাকসিন দরকার।

আগস্ট পর্যন্ত অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১ কোটি ১৮ লাখ ৪৩ হাজার ৩০০ ডোজ, ফাইজার ১ লাখ ৬২০ ডোজ, সিনোফার্ম ৯৮ লাখ ৯ হাজার ৭৯৯ ডোজ, মর্ডানা ৫৫ লাখ ডোজ। সর্বমোট ২ কোটি ৭২ লাখ ৫৩ হাজার ৭১৯ ডোজ।

গত ১০ আগস্ট পর্যন্ত অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রথম ডোজ ৫৮ লাখ ২০ হাজার ৬৩ ডোজ, দ্বিতীয় ডোজ ৪৬ লাখ ৫৮ হাজার ৯৯৭ জন। মোট ১ কোটি ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৬০ জন। ফাইজারের প্রথম ডোজ নিয়েছে ৫০ হাজার ২৫৫ জন, দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে ২৭ হাজার ৫৯০ জন। মোট ৭৭ হাজার ৮৪৫ জন। সিনোফার্ম প্রথম ডোজ ৬৮ লাখ ২৭ হাজার ৩৮৩ জন, দ্বিতীয় ডোজ ২ লাখ ১১ হাজার ৮০০ জন। মোট ৭০ লাখ ৩৯ হাজার ১৮৩ জন। মোট ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে ১ কোটি ৯৬ লাখ ৭১ হাজার ৬১৭ জন। তারমধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছে ১ কোটি ৪৭ লাখ ৬৯ হাজার ৪৪৭ জন। দ্বিতীয় ডোজ ৪৯ লাখ ২ হাজার ১৭০ জন।

১০ আগস্ট পর্যন্ত ভ্যাকসিন মজুদ আছে ৭৫ লাখ ৮২ হাজার ১০২ ডোজ। জাতীয় ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইনের আওতায় গত ৭ আগস্ট একদিনে সারাদেশে ৩০ লাখ ৯১ হাজার ৬৩২ ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে।

সংসদীয় কমিটির বৈঠকে করোনাকালীন চিকিৎসা প্রদান করতে গিয়ে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে শহীদ ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ‘প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা’ দ্রুততম সময়ে তাদের পরিবারের নিকট পৌঁছানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বাংলাদেশ কর্ম কমিশন কর্তৃক সুপারিশপ্রাপ্ত ডাক্তারদের দ্রুত নিয়োগদানের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।

কমিটির সুপারিশের আলোকে চলতি মাসের ৯ আগস্ট পর্যন্ত শহীদ ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীর পরিসংখ্যান দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সেই পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়েছে ৯ আগস্ট পর্যন্ত ২২ জন ডাক্তার এবং ৪০ জন স্বাস্থ্যকর্মী মৃত্যুবরণ করেছেন। তারমধ্যে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত ১০ জন মৃত্যুবরণকারী ডাক্তার এবং ১০ জন স্বাস্থ্যকর্মীর ওয়ারিশগণের অনুকূলে সরকার ঘোষিত আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়েছে। ৯ জনের আবেদন অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৩৩ জনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ পূর্বক অধিদফতরকে তালিকা দিতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

এছাড়া নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের আওতায় বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান কর্মরত নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শহীদ হয়েছেন ৩৩ জন। চলতি মাসের ৯ আগস্ট পর্যন্ত ৩৩ জন্য নার্সিং কর্মকর্তা মৃত্যুবরণ করেছেন। তার মধ্যে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত ২২ জুনের অনুকূলে সরকার ঘোষিত আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়েছে। ৫ জনের ক্ষতিপূরণের আবেদন অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৬ জনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ পূর্বক আবেদন গ্রহণ করার জন্য মহাপরিচালক নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) সংসদ ভবনে ‘স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র ১০ম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য আ.ফ.ম. রুহুল হক, মুহিবুর রহমান মানিক, মো. মনসুর রহমান, মো. আব্দুল আজিজ, সৈয়দা জাকিয়া নুর এবং মো. আমিরুল আলম মিলন অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে ‘বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট বিল, ২০২১’ এর আরও পরীক্ষা নিরীক্ষার লক্ষ্যে কমিটির সদস্য আ.ফ.ম. রুহুল হককে আহবায়ক করে একটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়। সাব-কমিটির পর্যালোচনা শেষে বিলটি সংসদে উত্থাপনের সিদ্ধান্ত বৈঠকে গৃহীত হয়।

বৈঠকে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, বিভিন্ন সংস্থা প্রধানগণসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

   

ফেনীতে নসিমন উল্টে নিহত ১, আহত ৮



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ফেনীতে নসিমন উল্টে নিহত ১, আহত ৮

ফেনীতে নসিমন উল্টে নিহত ১, আহত ৮

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীতে নসিমন উল্টে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রামপুর রাস্তার মাথা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শ্রমিকের নাম জাকির হোসেন (৩০)। সে দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার ইসবপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। এঘটনায় আহতদের মধ্যে জাহাঙ্গীর ও রশিদ নামে দু’জনকে গুরতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে নসিমনটি পল্লী বিদ্যুতের কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের নিয়ে সদর উপজেলার লেমুয়া থেকে শহরে ফিরছিলেন। এ সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রামপুর রাস্তার মাথা এলাকায় পৌঁছালে নসিমনের চাকা বিস্ফোরণ হয়। পরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নসিমন উল্টে যায়। ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক জাকিরকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক রুহুল মহসিন সুজন জানান, আহতদের মধ্যে তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। জাহাঙ্গীর ও রশিদ নামের দু’জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য তিনজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।

মহিপাল হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. শিপন জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হবে।

;

গরিব-দুঃখী মানুষের আস্থার ঠিকানা শেখ হাসিনা: পাটমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, গরিব-দুঃখী মানুষের আস্থার ঠিকানা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মেহনতি মানুষের জীবন-জীবিকার কথা চিন্তা করেই ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচলের নির্দেশ দিয়েছেন গণমানুষের নেত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২১ মে) রাজধানীর তালতলায় অবস্থিত লায়ন্স অগ্রগতি স্কুলে স্পেশাল বাচ্চা, বৃদ্ধ ও প্যারালাইস্ড রোগীদের হুইল চেয়ারর বিতরণ অনুষ্ঠান তিনি এসব কথা বলেন।

নানক বলেন, সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটি বার্তা আসে, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধ করা হয়েছে। তাই শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেছেন। প্রধানমন্ত্রী কথাটা শুনে অবাক হয়ে গেলেন! তিনি জানতে চান- এর কারণ কী? প্রধানমন্ত্রী তখনিই পরিষ্কার করে বললেন- ওরা যা দিয়ে উপার্জন করে জীবন-জীবিকা চালায় সেই পথ কেন বন্ধ করা হয়েছে? সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন অটোরিকশা চালু করার জন্য এবং চালু হয়ে গেল।

ঢাকা ১৩ আসনের জনগণের উদ্দেশে নানক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেমন করে গরিব-দুঃখী মানুষের জন্য কাজ করে আমরাও ঠিক তেমনভাবে মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। যেকোন প্রয়োজনে আপনারা আমাদের কাছে আসবেন, আমরা আপনাদের পাশে থাকবো।

অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সামাজিক সংগঠন ‘সোসাইটি ফর এইড প্রোগ্রাম’ (এস.এ.পি)। এ সময় রোগীদের মাঝে হুইল চেয়ার ও গরিব-দুঃখীদের মাঝে অটোরিকশা বিতরণ করা হয়। এসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

বৈধভাবে ইতালিতে দক্ষ জনবল প্রেরণ করা হবে: প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈধভাবে ইতালিতে দক্ষ জনবল প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। এ বিষয়ে দুই দেশ যৌথ উদ্যোগে কাজ করবে।

মঙ্গলবার (২১ মে) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত ইতালি রাষ্ট্রদূত অ্যান্তোনিও আলেসান্দ্রোর সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকায় নিযুক্ত ইতালি রাষ্ট্রদূত অ্যান্তোনিও আলেসান্দ্রো জানান, ইতালি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ তাদের বন্ধুপ্রতিম দেশ। ইতালি ও বাংলাদেশের রয়েছে ঐতিহাসিক সম্পর্ক। সেজন্য ইতালিতে বাংলাদেশের দক্ষ জনবলের কাজের সুযোগ তৈরি করতে আগ্রহী।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে ইতালি বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম দেশ। বন্ধুপ্রতিম দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশে বাংলাদেশ তার জনবলকে চাহিদা অনুযায়ী উপযুক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করছে।

প্রবাসী কর্মীরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ও আলোচনা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতালি দক্ষ জনবলের চাহিদাপত্র দিবেন, সেই পত্রের বিপরীতে যাতে কম খরচে কর্মী প্রেরণ করবে।

দক্ষ জনবল তৈরির বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতালি সরকার চাইলে আমাদের আইএমটি ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) গুলোতে তাদের চাহিদা মত জনবলকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, আজকে আমরা আলোচনা করেছি কিভাবে বৈধ অভিবাসন বাড়ানো যায়। ভিসা প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার বিষয়ে তিনি বলেন, যারা যোগ্য তাদেরকে আমরা ভিসা দিতে আগ্রহী। দূতাবাস দ্রুত ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়া তৈরি করছে। গভীরভাবে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করার কারণে আমাদের অনেক সময় দীর্ঘসূত্রিতা তৈরি হচ্ছে।

আমি মনে করি, যারা ইতালি গমনেচ্ছু কর্মীদের মিথ্যা আশ্বাস দিচ্ছে সেটি প্রকৃত আবেদনকারীদের ক্ষতির কারণ হচ্ছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কারণেই প্রকৃত আবেদনকারীদের ভিসা প্রক্রিয়ায় দেরি হচ্ছে বলে তিনি জানান।

ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য আপনারা নতুন কোন প্রক্রিয়া হাতে নিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য আমরা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছি।

;

গ্রাম ও স্বামীর নাম মিলে যাওয়ায় থানায় ১০ ঘণ্টা আটক এক নারী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের গঙ্গাচড়া পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের দায়ের করা মামলায় গ্রাম ও স্বামীর নাম মিলে যাওয়ায় এক নারীকে ১০ ঘণ্টা থানায় আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। পরে সঠিক তথ্য জানার পর ওই নারীকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি দুঃখপ্রকাশ করলেও পারিবারিক সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই নারী।

ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম হাসিনা বেগম (৪৬) এবং তার স্বামী আব্দুল মান্নান। তার বাড়ি উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের উত্তর পানাপুকুর নগরবন্দ এলাকায়। অভিযুক্ত নারীর বাড়িও একই ইউনিয়নের বড়বিল তেলিপাড়া গ্রামে। তবে ওই নারী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কোন গ্রাহক নন। স্থানীয় লোকজন বিদ্যুৎ অফিসে এসে এবং সঠিক তথ্য দিলে পরে ওই নারীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্র জানা গেছে , অভিযুক্ত হাসিনা বেগমের (৫০) কাছে প্রায় ৩৬ মাসের ১৪ হাজার ৫'শ টাকা বিদ্যুৎ বিল বাকি। তাই বকেয়া বিল আদায়ের জন্য দুই বছর আগে তার বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ আইনে মামলা দায়ের করে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর গঙ্গাচড়া জোনাল অফিস।

পুলিশের দাবি, পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের করা মামলায় বিদ্যুৎ আদালত থেকে আসা গ্রেফতারি পরোয়ানার কাগজের ওপর ও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই নারীকে আটক করা হয়।

ভুক্তভোগী হাসিনা বেগম জানান, রাত ১টার সময় পুলিশ আমার বাড়িতে গিয়ে আমাকে বলে আপানার নামে ওয়ারেন্ট আছে। আপনাকে থানায় যেতে হবে। তখন আমি বলি আমার নামে কিসের ওয়ারেন্ট? আমি চোর, না ডাকাত, যে আমার নামে ওয়ারেন্ট হবে। আমাকে কাগজ দেখান। তখন কাগজে দেখি আমার স্বামী ও আমার নাম। পরে আমি তাদের সাথে কথা না বলে থানায় চলে আসি। আমার কথা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন কি মামলা করার সময় ভালো করে চেক করেনি। আজকে আমাকে থানায় আসা লাগলো আমার মানসম্মান নাই।

গঙ্গাচড়া জোনাল অফিসের জোনাল ম্যানেজার (ডিজিএম) আব্দুল জলিল জানান, একটু তথ্যের ভুলের কারণে এ ঘটনাটি ঘটেছে। এর জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। অনিচ্ছাকৃত ভুলের বিষয়টি জানার পর আমরা থানায় যোগাযোগ করে একটি চিঠি পাঠিয়েছি। প্রকৃত তথ্য জানতে পেরে পুলিশ তাকে ছেড়েও দিয়েছে।

এ বিষয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমুর রহমান বলেন, আদালত থেকে পাঠানো গ্রেফতারি পরোয়ানার ভিত্তিতে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। এর আগে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিসের লোকজনের সঙ্গে আমাদের কথাও হয়। তারা তাকে তাদের গ্রাহক হিসেবে নিশ্চিত করার পরই ওই নারীকে আটক করা হয়। গ্রামের পাশাপাশি স্বামীর নাম মিলে যাওয়ায় ওই নারীর ক্ষেত্রে এ ঘটনাটি ঘটে। সকাল ১০ টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ##

;