দখলমুক্ত হচ্ছে লালন শাহ পার্ক

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

ভরা মৌসুমে জলরাশি। আর শুষ্ক মৌসুমে বালুচর, কাঁশবন। এটিই রাজশাহীর পদ্মা তীরের রূপ। এই দৃশ্য অবলোকন করতে প্রতিদিনই পদ্মাপাড়ে ভিড় করেন অসংখ্য মানুষ। তাঁদের বিনোদনের মাত্রা আরেকটু বাড়িয়ে দিতে নগরীর পাঠানপাড়া এলাকার নদীv তীরে মরমী সাধক লালন শাহ্’র নামে একটি পার্ক করেছিল রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)।

এরপর দিনে দিনে পার্কের প্রায় পুরোটিই হয়ে গিয়েছিল বেদখল। কাঁটা তারের বেড়া ভেঙে স্থানীয় বাসিন্দারা পার্কের এখানে-ওখানে করেছিলেন গোয়াল ঘর। এই পার্কটি অবশেষে দখলমুক্ত হচ্ছে। সেখানে উন্নয়ন কাজ শুরু করেছে রাসিক। এতে ব্যয় হচ্ছে ২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। কাজ শুরুর পর ইতিমধ্যে পার্কের অনেক অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে পদ্মাপাড়ে আবার প্রাণ ফিরছে।

বিজ্ঞাপন

রাসিক জানিয়েছে, লালন শাহ্ পার্কের উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সীমানা প্রাচীর, সৌন্দর্য্যবর্ধক গ্রিলদ্বারা বেষ্টিত রেলিং, ওয়াক ওয়ে, দর্শনার্থীদের বসার বেঞ্চ এবং ক্যাফেটেরিয়া সংস্কার করা হচ্ছে। লালন শাহ্ বাঁধ সংলগ্ন রাস্তাটি প্রশস্তকরণসহ ফুটপাত নির্মাণ কাজও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পদ্মা গার্ডেন সংলগ্ন ব্রিজ থেকে শাহ মখদুম রূপোষ মাজার সংলগ্ন ব্রিজ পর্যন্ত ওয়াক ওয়ে নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।

তাই নদী তীরবর্তী বাঁধের ধার, ফুটপাত ও রাস্তায় থাকা বিভিন্ন প্রকার অবৈধ স্থাপনা ও গরু-ছাগল অপসারণে এলাকাবাসীকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে অনুরোধ জানিয়ে ইতিমধ্যে মাইকিং করা হয়েছে। এরপর থেকে অনেকেই অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

এদিকে গত মঙ্গলবার সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ সরিফুল ইসলাম বাবু, সচিব মশিউর রহমান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইমরানুল হক, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোকাম্মেল আলী এবং ফররুখ আহমেদ শিশির উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন। তাঁরা এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।

এ বিষয়ে প্যানেল মেয়র-১ সরিফুল ইসলাম বাবু বলেন, হযরত শাহমখদুম রূপোষ (রহ.) মাজার শরীফ ও পদ্মাপাড়ের সৌন্দর্য্য দেখতে প্রতিদিন দেশ-বিদেশের অসংখ্য দর্শনার্থী ছুটে আছেন। তাই এলাকাটিকে সাজিয়ে তুলতে কাজ করছেন মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। আমরা লালন শাহ্ পার্কটি দখলমুক্ত করছি। সবকিছু সাজিয়ে-গুছিয়ে তোলার কাজ চলছে। খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হবে।