কাপড়ের মাস্কের চেয়ে সার্জিক্যাল মাস্ক বেশি কার্যকর!



নিউজ ডেস্ক, বার্তা ২৪
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে কাপড়ের মাস্কের চেয়ে সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার বেশি কার্যকর। সার্জিক্যাল মাস্কের ব্যবহারে করোনার বিস্তার সীমিত করে। সম্প্রতি বাংলাদেশে ইয়েল পরিচালিত যৌথ সমীক্ষায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। সমীক্ষাটি এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে গবেষকরা সমীক্ষার ফলাফল দেখতে সাংবাদিকদের অনুমতি দিয়েছেন।

সমীক্ষায় বলা হয়, কাপড়ের মাস্কের বদলে সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করা হলে সার্বিকভাবে করোনা সংক্রমণ ১১ শতাংশ কমে যায়। ৫০-৬০ বছর বয়সিদের মধ্যে সংক্রমণ কমার হার ২৩ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সিদের মধ্যে ৩৫ শতাংশ কম।

জানা যায়, সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের প্রথমে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। ইন্টারভেনশন গ্রুপে ছিলেন প্রায় ১৪ হাজার গ্রামবাসী। কন্ট্রোল গ্রুপে ছিলেন এক লাখ ৬৩ হাজার গ্রামবাসী।

গবেষকরা জানান, যেসব গ্রামে মাস্ক ব্যবহারের প্রচার কর্মসূচি চালানো হয় (ইন্টারভেনশন গ্রুপ) সেখানে অন্যসব গ্রামের তুলনায় সংক্রমণের হার ছিল ৯ দশমিক ৩ শতাংশ কম। এছাড়া, কাপড়ের মাস্কের বদলে সার্জিক্যাল মাস্ক বিতরণ করা হলে ১১ শতাংশ সংক্রমণ কমতে দেখা যায়। একই সঙ্গে সংক্রমণ কমার এ হার ৫০-৬০ বছর বয়সিদের মধ্যে ২৩ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সি মানুষের মধ্যে ৩৫ শতাংশ কম।

ইয়েল, স্ট্যানফোর্ড এবং বাংলাদেশের অলাভজনক প্রতিষ্ঠান 'গ্রিন ভয়েস' পরিচালিত পরীক্ষামূলক (ট্রায়াল) সমীক্ষাটি ২০২০ সালের নভেম্বরে শুরু হয়ে এ বছরের এপ্রিলে শেষ হয়। এতে ছয় শতাধিক গ্রামের ৩ লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ অংশ নেন। এতে মসজিদ, বাজারঘাট ও অন্যসব গণজমায়েত স্থানে সাধারণ মানুষকে সরাসরি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে মাস্ক ব্যবহার ও শারীরিক দূরত্বের মাত্রা মূল্যায়ন করা হয়।

এ সমীক্ষা পরিচালনা করেন জেসন অ্যাবালাক, লরা ক্যোং, স্টিভ লুবি, ইয়েল অর্থনীতিবিদ আহমেদ মুশফিক মোবারক এবং অ্যাশলে স্টাইজিনস্কি। বর্তমানে সমীক্ষাটি জার্নাল সায়েন্সের পর্যালোচনা পর্যায়ে রয়েছে। তবে বিশ্বব্যাপী জনস্বাস্থ্য পর্যায়ে এ সব তথ্যের সম্ভাব্য গুরুত্বের কারণে গবেষকরা সমীক্ষার ফলাফল দেখতে সাংবাদিকদের অনুমতি দিয়েছেন।

   

নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মা ও নবজাতকের মৃত্যু, হাসপাতাল ভাংচুর



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর মাইজদীতে সিজার অপারেশনের সময় ভুল চিকিৎসায় মা ও নবজাতক সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। নিহত সীমা আক্তার (২১) বেগমগঞ্জের কাদিরপুর ইউনিয়নের লন্ডন মার্কেট এলাকার জহির উদ্দিনের স্ত্রী ও নোয়াখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউসুফ সওদাগর বাড়ির মো.হারুনের মেয়ে।

শনিবার (৪ মে) বিকেলের দিকে মা ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এর আগে, শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে জেলা শহর মাইজদীর হাউজিং রোডের মাইজদী আধুনিক হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার এ অভিযোগ উঠে। পরে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনায় হাসপাতালে ভাংচুর চালান নিহতের স্বজনেরা।

নিহতের চাচাতো ভাই মো.নাঈমুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে সীমার স্বজনরা তাকে মাইজদী আধুনিক হসপিটালে নিয়ে যান। এ সময় দুপুর ২টার দিকে চিকিৎসক আশিকা কবির তাকে সিজার করেন। সিজার করার সময় তার ভুল অপারেশনে জরায়ুর রক্তনালী কেটে যায়। এতে তার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। কিন্ত ডাক্তার তাৎক্ষণিক বিষয়টি গোপন রাখে। পরে একই দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে রোগীকে ঢাকায় রেফার্ড করেন। ঢাকা মেডিকেলে পৌঁছলে বিকেল পৌনে ৬টায় মা ও বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে চট্রগ্রামের একটি হাসপাতালে নবজাতককে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী মাইজদী আধুনিক হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়।

মাইজদী আধুনিক হাসপাতালে চেয়ারম্যান রফিকুল বারী আলমগীর অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, এটা নিয়ে আমরা রোগীর স্বজনদের সাথে বসেছি। কোনো ডাক্তারই ইচ্ছাকৃত ভাবে কাউকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়না।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা.মাসুম ইফতেখার বলেন, অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: নুসরাত নাঈম জাবিনকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে

;

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে আমরা পাপমুক্ত হয়েছি: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে আমরা পাপমুক্ত হয়েছি: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে আমরা পাপমুক্ত হয়েছি: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে আমরা পাপমুক্ত হয়েছি বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

শনিবার (৪ মে) জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মিলনায়তনে শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘরকে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষের নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে শহীদ জননী জাহানারা যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন, তা কিছুটা হলেও সফল হয়েছে; বাস্তবায়িত হয়েছে। আমি মনে করি, এর মাধ্যমে আমরা দায়মুক্ত ও পাপমুক্ত হয়েছি।

তিনি বলেন, আজকের দিনটি নিঃসন্দেহে একটি শুভদিন। মহীয়সী নারী জাহানারা ইমামের স্মৃতি জাদুঘর যা ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছিল। সরকার ও সংস্কৃতি মন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতীয় জাদুঘরের শাখা হিসেবে এর দায়িত্বভার গ্রহণ করে আরেকবার দায়মুক্ত হলাম।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধের কথা বলি, সফলতার কথা বলি। কিন্তু সেদিন রাজাকার, আল-বদর, আল শামস, ঘাতক দালালরা কীভাবে ৯ মাস লুণ্ঠন-অত্যাচার ও নির্যাতন করেছে; বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িঘর ছিনিয়ে নিয়েছে; হানাদার বাহিনীকে সহায়তা করেছে সেসব কথা একেবারেই বলি না। মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাঁথা আলোচনা হয়। কিন্তু এই দিকগুলো একেবারেই মুছে যাচ্ছে। কাজেই সরকারি ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগেও যুদ্ধাপরাধীদের ইতিহাস আলোচনায় আনা উচিত।’

সভাপতির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে মুক্তিযোদ্ধাদের ‘মা’ হিসেবে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে নারীদের আত্মত্যাগের উজ্জ্বল উদাহরণ হলেন আমাদের শহীদ জননী। তিনি ও তার পরিবারের আত্মত্যাগ, ইতিহাস ও আদর্শ আমাদের স্মরণে রাখতে হবে। তুলে ধরতে হবে আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে।’

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাহানারা ইমাম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন সময়ের তোলা ছবি এবং জাহানারা ইমাম জাদুঘরের একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়।

আমন্ত্রিত অতিথিদের বক্তব্যের পর জাহানারা ইমামের ছোট ছেলে সাইফ ইমাম জামি জাতীয় জাদুঘরের কাছে জাহানারা ইমাম স্মৃতি জাদুঘরের চাবি হস্তান্তর করেন।

এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ভার্চুয়ালি জাদুঘরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

;

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর জামালপুরে স্বস্তির বৃষ্টি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর জামালপুরে প্রায় ১ ঘন্টা নাগাদ হয়ে গেলো স্বস্তির বৃষ্টি। শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে শুরু হয় বৃষ্টি। শেষ সন্ধ্যা ৭ টা ১৫ মিনিটের দিকে। বৃষ্টির সাথে হয়েছে ব্যাপক বজ্রপাতও।

জানা গেছে, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জামালপুর জেলার ইসলামপুর, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় আকাশ মেঘে ঢেকে নেমে আসে অন্ধকার। সেই সাথে শুরু হয় বহুল প্রতীক্ষিত বৃষ্টি। সাথে ছিল ঝড়ো বাতাস মেঘের গর্জন ও বজ্রপাত।

বৃষ্টিতে জনমনে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এলেও বজ্রপাতের কারণে রাস্তাঘাট অনেকটা যানবাহন শূন্য হয়ে যায়। প্রায় ৪৫ মিনিট পর ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে বৃষ্টি থামে। এতে তাপমাত্রা কিছুটা কমে।

;

সিলেটে তরুণ নিহতের ঘটনায় মামলা, আসামি শনাক্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
মোহাম্মদ আলী

মোহাম্মদ আলী

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটে ছুরিকাঘাতে তরুণ মোহাম্মদ আলী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শনিবার (৪ মে) নিহত আলীর মা সবিনা বেগম বাদি হয়ে কোতোয়লী থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন।

মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত কাউকেই পুলিশ এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মঈন উদ্দিন সিপন। তবে, আসামিদের ইতোমধ্যে পুলিশ শনাক্ত করেছে।

নিহত মোহাম্মদ আলী (১৭) কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার নূর আলীর ছেলে। তবে সেসহ তার পরিবারের লোকজন সিলেট নগরীর ছড়ারপার থাকতেন।

ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার দুপুরে আলীর মরদেহ তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এ ব্যাপারে সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মঈন উদ্দিন সিপন বলেন, নিহত আলীর মা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের শনাক্ত করা হয়েছে। পূর্ব বিরোধের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এর আগে, শুক্রবার (৩ মে) বিকেল ৫টার দিকে সিলেট নগরীর চালিবন্দর এলাকায় মোহাম্মদ আলীকে (১৭) ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

;