পদ্মায় ধরা পড়েছে বিলুপ্ত প্রজাতির ১১ কেজির ঢাই মাছ



সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

রাজবাড়ীর পদ্মা নদীতে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে বিলুপ্ত প্রজাতির বিশাল একটি ঢাই মাছ। মাছটির ওজন হয়েছে ১১ কেজি। এটি ৩ হাজার ১০০ টাকা দরে ৩৪ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে।

শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীর দৌলতদিয়া এলাকায় রাম হলাদারের জালে এই মাছটি ধরা পড়ে। পদ্মার ঘোলা পানিতে মূলত ঢাই মাছের আবাস থাকলেও বর্তমানে তা বিলুপ্ত প্রায়। আগে পদ্মার ‘ভরা যৌবনে’ প্রায়ই এই মাছ পাওয়া যেতো। বর্তমানে এই মাছটি প্রায় বিলুপ্ত। তবে মাঝে মাঝে পাওয়া যায় এই মাছটি।

মাছটি স্থানীয় মৎস্য আড়তে বিক্রির জন্য নিয়ে গেলে সেটির ওজন হয় ১১কেজি। পরে দৌলতদিয়া মৎস্য আড়ত থেকে ৩ হাজার ১০০টাকা কেজি দরে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী মো. শাজাহান মিয়া ৩৪ হাজার ১০০ টাকা দিয়ে মাছটি কিনে নেন।

স্থানীয়রা জানান, ঢাই মাছ বর্তমানে বিলুপ্ত প্রজাতির মাছ। এক সময় পদ্মায় অনেক ঢাই মাছ পাওয়া যেতো। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মাছটি খুব কম পাওয়া যায়। দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকার মৎস্য আড়তে অনেক বড় মাছ পাওয়া যায়। তাই শখের বসে সকালে অনেকেই মাছ দেখতে যায়। অনেকদিন পর আড়তে বিলুপ্ত প্রজাতির ১১ কেজির ঢাই মাছ দেখা গেলো।

দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের শাকিল-সোহান মৎস্য দোকানের মাছ ব্যবসায়ী মো. শাজাহান শেখ বলেন, প্রতিদিনের মতো দৌলতিদিয়া মৎস্য আড়তে মাছ কিনতে যাই। এ সময় বিলুপ্ত প্রজাতির ঢাই মাছ দেখে সর্বোচ্চ দামে মাছটি ক্রয় করি। দেশের বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে মাছটি বিক্রির চেষ্টা করছি। প্রতি কেজিতে ১০০টাকা লাভ পেলে মাছটি বিক্রি করে দিবো।

রাজবাড়ীর (ভারপ্রাপ্ত) জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান বলেন, ঢাই মাছটি প্রায় বিলুপ্তির পথে। বর্তমানে পদ্মায় মাঝে মাঝে ঢাই মাছ পাওয়া যাচ্ছে। ঢাই মাছ কিভাবে রক্ষা করা যায় সেই ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চেষ্টা করা হবে।

   

শুধু ইসলাম নয়, সব ধর্মাবলম্বীদের কল্যাণে কাজ করছে সরকার’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

শুধু ইসলাম নয়, সব ধর্মাবলম্বীদের কল্যাণে কাজ করছে সরকার জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইসলাম শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবতার ধর্ম। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে বাংলাদেশে ইসলামের নামে মানুষ হত্যা, খুন, বোমাবাজি ছিল নিত্য-নৈমিত্তিক বিষয়। আমরা সেই ভীতিকর অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করেছি।

বুধবার (৮ মে) রাজধানীর আশকোনা ক্যাম্পে আনুষ্ঠানিকভাবে হিজরি ১৪৪৫ সালের হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরে ইসলামের কল্যাণে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। প্রতিটি জেলা এবং উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে চলেছি। এ পর্যন্ত ৩০০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়েছে। ঢাকায় ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি। দেশের ৮০টি মাদরাসায় অনার্স কোর্স চালু করা হয়েছে। দেশের ৩৫ হাজার মসজিদে পাঠাগার নির্মাণ করে দিয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, পবিত্র কোরআনের ডিজিটাল ভার্সন তৈরি করেছি। জাতীয় শিক্ষা নীতিতে নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করেছি। মসজিদভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমকেও জাতীয় শিক্ষা নীতির অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শুধু ইসলাম নয়, আমরা সব ধর্মাবলম্বীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, ইসলাম শান্তি, সম্প্রীতি ও মানবতার ধর্ম। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে বাংলাদেশে ইসলামের নামে মানুষ হত্যা, খুন, বোমাবাজি ছিল নিত্য-নৈমিত্তিক বিষয়। আমরা সেই ভীতিকর অবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করেছি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে এক ঐতিহাসিক বেতার ভাষণে জাতির পিতা বলেছিলেন, লেবেল সর্বস্ব ইসলামে আমরা বিশ্বাসী নই। আমরা বিশ্বাসী-ইনসাফের ইসলামে। আমাদের ইসলাম হযরত রসূলে করীম (স.)-এর ইসলাম, যে ইসলাম জগতবাসীকে শিক্ষা দিয়েছে ন্যায় ও সুবিচারের অমোঘ মন্ত্র। আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করেই বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মডেল হিসেবে পরিচিত করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর আমরা হজ ব্যবস্থাপনাকে সম্পূর্ণরূপে প্রযুক্তি নির্ভর করার পদক্ষেপ নেই। আমরা ই-হজ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন করেছি। এর ফলে অতীতে হজ পালনের দুর্ভোগ, অব্যবস্থাপনা, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য, হজযাত্রীদের হয়রানি, ভিসা জটিলতা, ফ্লাইট বিপর্যয় ইত্যাদি সমস্যার সমাধান হয়েছে। এখন ঘরে বসেই হজের সব কাজ করতে পারছে জনগণ।

সরকার প্রধান বলেন, হজ কার্যক্রম সহজীকরণের জন্য সোনালী ব্যাংক, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর, জন্ম ও মৃতু নিবন্ধনের কার্যালয়, নির্বাচন কমিশনের এনআইডি প্রকল্প, এনটিএমসি ও বিসিসি’র সার্ভারের সাথে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আন্তঃসংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। হজযাত্রীদের অবস্থানের সুবিধার্থে আমরা হজ ক্যাম্প ঢাকার ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ করেছি। মহিলা এবং পুরুষ হজযাত্রীদের জন্য পৃথক ডরমিটরি স্থাপন করা হয়েছে। ডরমিটরিতে এসি স্থাপন করা হয়েছে। হজ অফিস ঢাকায় হজযাত্রীদের বোর্ডিং, চেক-ইন ও বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন সম্পন্নকরণের সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। হজ অফিস হতে হজযাত্রীগণ যাতে সরাসরি নিরাপদে ও সহজে বিমানবন্দর পৌছাতে পারেন সেজন্য হজ অফিস হতে বিমানবন্দর পর্যন্ত আন্ডার পাস নির্মাণের কার্যক্রম অচিরেই শুরু হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, জেদ্দা ও মদিনা বিমানবন্দরে দীর্ঘ সময় অপেক্ষার কষ্ট লাঘবের জন্য সৌদি সরকারের সাথে আমরা ২০২২ সালে ‘রোড-টু-মক্কা সার্ভিস চুক্তি’ স্বাক্ষর করেছি। এখন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হজযাত্রীদের সৌদি আরবের প্রি-এ্যারাইভাল ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হচ্ছে। ২০০৯ সালে আমরা জেদ্দায় পৃথক হজ অফিস স্থাপন করে সেখানে একজন কাউন্সিলর ও একজন হজ-কনসাল নিয়োগ দেই। জেদ্দা কিং আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের হজ টার্মিনালে হজযাত্রীদের বিশ্রামের জন্য আমরা প্লাজা ভাড়া করে দিয়েছি।

তিনি বলেন, সরকারের বহুমুখী উদ্যোগের ফলে এখন আর ইহরামের কাপড় পরিধান করে বিমানবন্দর বা হজ ক্যাম্পের সামনে এসে হজযাত্রীদের মানববন্ধন করতে হয় না। হজযাত্রীগণ এখন পূর্ব থেকেই ভিসার তথ্য এবং বিমান যাত্রার তারিখ নিশ্চিত হয়ে বাড়ি থেকে হজ ক্যাম্পে আসেন এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্ধারিত ফ্লাইটে আরোহণ করে জেদ্দা কিংবা মদিনার উদ্দেশ্যে গমন করেন।

তিনি আরও বলেন, হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২১ এবং হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২২ প্রণয়ন করেছি। এর ফলে হজ কার্যক্রমে অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগের প্রতিকার সহজ হয়েছে। হজযাত্রীদের সাথে কোন এজেন্সি প্রতারণা বা হয়রানি করলে সে এজেন্সির বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। হজ এজেন্সিগুলোকেও আরও প্রযুক্তি-নির্ভর ও স্মার্ট হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি যাতে তারা হজযাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে পারে।

তিনি বলেন, এবছর হজযাত্রীর সংখ্যা ৮৫ হাজার ২৫৭ জন। হজ ব্যবস্থাপনার বর্তমান সরকারের এ সফলতার ধারা আগামী দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

;

‘আনসার আল ইসলাম’র সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’র একজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ)। তার নাম- মো. মনির হোসেন শেখ (৩০)।

বুধবার (৮ মে) এটিইউয়ের পুলিশ সুপার (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়াতইরনেস) মাহফুজুল আলম রাসেল এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রূপগঞ্জ থানার গোলাকান্দাইলের দক্ষিণ গোলাকান্দাইল এলাকা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’র সক্রিয় সদস্য মনির হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে উগ্রবাদী কাজে ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।

গত ২ মার্চ অভিযান পরিচালনা করে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার ও ঢাকার আশুলিয়া থানা এলাকা থেকে ‘আনসার আল ইসলাম’র তিনজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করে এটিইউ। মামলায় গ্রেফতার আলী আকবর জনী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে মো. মনির হোসেন শেখের সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করেন। তিনি মনির হোসেনকে আনসার আল ইসলামের পক্ষে কাজ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন।

পুলিশ সুপার মাহফুজুল আলম রাসেল আরও বলেন, গ্রেফতার মনির হোসেন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য ও সমর্থক। সে ও তার অন্যান্য সহযোগীরা আনসার আল ইসলামের পক্ষে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে একে অপরকে সাহায্য-সহায়তা করে আসছিলেন এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন।

;

নগদ মেগা ক্যাম্পেইনের উপহার বুঝে পেলেন ২১ বিজয়ী



নিউজ ডেস্ক
নগদ মেগা ক্যাম্পেইনের উপহার বুঝে পেলেন ২১ বিজয়ী

নগদ মেগা ক্যাম্পেইনের উপহার বুঝে পেলেন ২১ বিজয়ী

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের ইতিহাসের বৃহত্তম লেনদেন ক্যাম্পেইনে পুরস্কার বিজয়ীরা ধাপে ধাপে বুঝে পাচ্ছেন উপহার। মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদের প্রায় ২০ কোটি টাকার এই ক্যাম্পেইনের এরইমধ্যে তিনটি দল বুঝে পেয়েছে ঢাকায় নিজেদের জমি। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ২১ জন বিজয়ী বিভিন্ন পুরস্কার বুঝে পেলেন।

সম্প্রতি নগদের প্রধান কার্যালয়ে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চিফ মার্কেটিং অফিসার সাদাত আদনান আহমেদ এবং এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ডেপুটি চিফ মার্কেটিং অফিসার মোহাম্মদ সোলাইমান।

পবিত্র রমজান মাসে প্রতি বছরই দারুণ সব আকর্ষণীয় অফার নিয়ে আসে নগদ। গত বছর ছিল বিএমডব্লিউসহ সেডানগাড়ি, মোটরসাইকেল, টিভি, ফ্রিজসহ বিভিন্ন পুরস্কার জেতার সুযোগ। এবার নগদ শুরু করেছে দেশের বৃহত্তম লেনদেনের মেগা ক্যাম্পেইন। এই ক্যাম্পেইনে মাত্র তিন ধাপে ঢাকায় জমি জেতার সুযোগ থাকছে।

এ ছাড়া নগদ লেনদেনে ক্যাম্পেইনে ১০০ ভাগ ক্যাশব্যাক অথবা বোনাস জেতার সুযোগ থাকছে। পাশাপাশি এসইউভি গাড়ি, বাইক, টিভি, ফ্রিজ, এসি, স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচসহ বিভিন্ন পুরস্কার জেতার সুযোগ তো থাকছেই। আর মেগা ক্যাম্পেইন চলা অবস্থায় নগদের বিশেষ টিভি শো-এর প্রত্যেক পর্বে কুইজের জবাব দিয়ে ভিউয়ার্স অ্যাওয়ার্ড জেতার সুযোগও রয়েছে।

লেনদেন করে, রেমিট্যান্স গ্রহণ করে এবং দল বানিয়ে টেলিভিশন, ফ্রিজ, এসি, স্মার্ট ফোন পুরস্কার জিতেছেন সিদ্দিকুর রহমান শুভ, আব্দুল আহাদ, সাইফুল ইসলাম, নাঈম খান জয়, আবু নাঈম, মঞ্জুরুল ইসলাম, জোসনা আক্তার, এইচএম ইলিয়াস, আসাদুর রহমান, মোহাম্মদ কেফায়েতউল্লাহ, রবিউল ইসলাম, ফারহানা বেগম, সেলিম আহমেদ, আল মামুন, আবু হান্নান সুমন, সাঈদ হোসেন এবং কাউসার ইবনে হাফিজ।

এ ছাড়া ভিউয়ার্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন হৃদয় আহমেদ রেদোয়ান, ইকরামুল হক, লাকী আক্তার সীমা এবং সুমন দেবনাথ।

এই ক্যাম্পেইনে আরো যারা বিজয়ী হবেন, তাদের পুরস্কারও ধাপে ধাপে বিতরণ করা হবে। এই মেগা ক্যাম্পেইনের পুরস্কার বিতরণের বিষয়ে নগদের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর সিহাবউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সবসময় চাই দেশের মানুষ আরও বেশি ডিজিটাল লেনদেনে অভ্যস্ত হোক। সেই সাথে আমাদের চাওয়া মানুষ উৎসবে মেতে উঠুক। এই উৎসবে তার স্বপ্নপূরণ হোক। বাংলাদেশের মানুষের একটা বড় স্বপ্ন ঢাকায় এক টুকরো নিজের জমি। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের উপহার জেতার সুযোগ তো থাকছেই। এরমধ্যে অনেকেই পুরস্কার বুঝে পেতে শুরু করেছেন। সামনে ধাপে ধাপে সকল বিজয়ীকে পুরস্কার হস্তান্তর করা হবে।’

;

রাজশাহীতে কমছে ভোটার সমাগম, জনশূন্য ভোটকেন্দ্র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দেশের ১৩৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে। রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলায় বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কেন্দ্র পরিদর্শনে ভোটার উপস্থিতি তেমন একটা চোখে পড়েনি, প্রায় ভোটকেন্দ্রগুলো জনশূন্য।

তবে প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নারী ভোটারদের উপস্থিতি পুরুষ ভোটারদের তুলনায় বেশি লক্ষ্য করা গেছে। তারা আশাবাদী, দিনের আলো বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতিও বৃদ্ধি পাবে।

নির্বাচনী পরিবেশ প্রথম পর্যায়ে শান্তিপূর্ণ বলে জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষ সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোটদানের সুযোগ প্রদানে সচেষ্ট রয়েছে।

গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়ি হাট উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মনজেল হোসেন বলেন, সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে। ভোটারদের উপস্থিতিও ভালো। তবে সকালে ভোটার কম থাকলেও বেলা বাড়লে ভোটারও বাড়বে।

রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই উপজেলার মোট ১৬৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরমধ্যে ১৫৫টি কেন্দ্রকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন।

এ দুই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বলেন, এসব কেন্দ্রকে তারা ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে দেখছেন। গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যেকটি কেন্দ্রে বাড়তি সতর্কতা আছে। কেন্দ্রগুলোতে চারজন পুলিশ ও ১৬ জন করে আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। এ ছাড়া নির্বাচনকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় ৫ প্লাটুন ও তানোর উপজেলার ২ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন রয়েছে। পাশাপাশি দুই উপজেলায় ১৭ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে র‌্যাব ও পুলিশের টহল টিম সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছে।

প্রথম ধাপে রাজশাহীর তানোর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৬১টি, ভোট কক্ষ ৪২৫টি এবং মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৬৬ হাজার ১৭৩ জন। উপজেলার মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮১ হাজার ৯৭ জন ও নারী ভোটার সংখ্যা ৮৪ হাজার ২৬৬ জন।

গোদাগাড়ী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১০৭টি, ভোট কক্ষ ৭১৫টি এবং মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮১ হাজার ১৬০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৪১ হাজার ৮৭০ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৩৯ হাজার ২৮৯ জন এবং হিজড়া জনগোষ্ঠীর ভোটার সংখ্যা ১ জন।

রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান বলেন, সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এখনও ঘটেনি।

;