মামলা কমলেও গ্রেফতার বেড়েছে

  • শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অন্য যে কোন সময়ের তুলনায় নিয়ন্ত্রিত। বিট পুলিশিং তৎপরতা বাড়ানোয় সার্বিক পরিস্থিতি অনেক ভালো এমনটাই উঠে এসেছে বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিবেদনে। সংসদীয় কমিটির কাছে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। সেই প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে মামলা কমেছে ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ। অপরদিকে আসামি গ্রেফতারের হার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।

সংসদীয় কমিটিতে উপস্থাপিত কার্যপত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে ভালো। গত একবছরের মামলার পরিসংখ্যান ও অপরাধের তুলনামূলক বিশ্লেষণে বিষয়টি আরও বেশি স্পষ্ট হবে। ২০১৯ সালে দেশে মোট ২ লাখ ২৫ হাজার ৬৮৪টি মামলা হয়েছে। ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে বর্তমান পুলিশের মহাপরিচালক (ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ) ড. বেনজীর আহমেদ দায়িত্ব গ্রহণ করেই বিট পুলিশিং কার্যক্রমকে গতিশীল করেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঘটনা ঘটার আগেই প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে পুলিশ। এতে করে ২০২০ সালে মামলার সংখ্যা ১ লাখ ৮৭ হাজার ৯২৬ এ নেমে এসেছে। অর্থাৎ এক বছরে ৩৭ হাজার ৭৫৮টি মামলা অর্থাৎ ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ কমে যায়। অপরাধপ্রবণতা হ্রাসের ধারা ২০২১ সালেও অব্যাহত আছে। বিট পুলিশিং বড় ধরনের অপরাধসমূহ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে যথেষ্ট কার্যকর হিসেবে দিনে দিনে আবির্ভূত হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে- ডাকাতি মামলার ক্ষেত্রে ২০১৯ সালে সারাদেশে ৩৫০টি ডাকাতি মামলা হয় এবং ২০২০ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৩০২টি। সারাদেশে ২০১৯ সালে ৩ হাজার ৬৫৩টি খুনের মামলা হয়, ২০২০ সালে খুনের মামলা কমে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৫৩৯টি। অপহরণ মামলার ক্ষেত্রে ২০১৯ সালে সারাদেশে ৫৯৮টি মামলা হয় এবং ২০২০ সালে এ সংখ্যা নেমে দাঁড়ায় ৪৮৬টি। অর্থাৎ পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ডাকাতি মামলা ১৩ দশমিক ৭, খুন মামলা ৩ শতাংশ এবং অপহরণ মামলা ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে এবং হ্রাসের এই ধারা ২০২১ সালেও অব্যাহত আছে।

অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার জন্য গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে। ২০২০ সালে সারা দেশে গ্রেফতারকৃত মোট আসামি ৫ লাখ ৫৬ হাজার ৭০০ জন। ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত সংখ্যা ২ লাখ ৯৯ হাজার ৯৫৩ জন। ২০২১ সালে আসামি গ্রেফতারের হার ঊর্ধ্বমুখী।

বিজ্ঞাপন

পুলিশের প্রতিবেদন সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. শামসুল হক টুকু বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আইন শৃঙ্খলার বিষয়টি আপেক্ষিক। এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা। তবে অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রিত। দেশে জঙ্গি নিয়ন্ত্রিত, সন্ত্রাসী কার্যক্রম নিয়ন্ত্রিত। মাদক চোরাচালানসহ অন্যান্য কার্যক্রম আরও তরান্বিত করতে হবে।

তিনি বলেন, যুব সমাজকে রক্ষা করতে সকল মানুষকে ডোপ টেস্টের আওতায় আনতে হবে। মাদকের ব্যবহার কমাতে হবে। মাদককে নিরুসাহিত করতে হবে। পাশাপাশি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাজনৈতিক দলসহ সবক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করতে হবে।