মাছ বাজারেও অস্বস্তি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

বেশ কিছুদিন ধরে সবজি-মাছসহ নিত্যপণ্যের বাজারে ঊর্ধ্বগতি। প্রায় সব পণ্যের আগের তুলনায় অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। এ নিয়ে হতাশ নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতারা। বাজারে গিয়ে পকেট শূণ্য হচ্ছে নিন্মবিত্তের ও মধ্যবিত্তদের।

আজ শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশ কয়েকটি সবজির কেজি ১৫০ টাকার বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। টমেটো কেজি ১৪০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা, গাজরের কেজি ১৪০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা, শিমের কেজি ১১০ টাকা থেকে ১২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৫০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

মাছ বাজারেও বেড়েছে অস্বস্তি। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বেশির ভাগ মাছ। চিংড়ির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। বড় আকারের রুই ও কাতলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০, মাঝারি আকারের ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, ছোট আকারের ১৫০ থেকে ২২০ টাকা, শিং মাছ ৪০০ টাকা কেজি, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি, পাঙাশ ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ২৮০ টাকা, চাষের সরপুঁটি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা।

এছাড়া ঝিঙার কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি, পটলের কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়শের কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে, বরবটির কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, আলুর কেজি ২৫ টাকা, লম্বা বেগুনের কেজি ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকা, গোল বেগুনের ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৩০ টাকা, মুলার কেজি ৫০ ঢাকা থেকে ৬০ টাকা, শসা ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা। প্রতিটি লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, জালি-কুমড়ার পিচ ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ছোট আকারের ফুলকপির পিচ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, কাঁচকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা।

বিজ্ঞাপন

রায়েরবাজরের সবজি বিক্রেতা আরমান হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, কিছুদিন আগে বন্যা গেছে। সবজির খেত নষ্ট হয়ে গেছে। এ জন্য সবজির উৎপাদন কমে গেছে। আগের তুলনায় এখন ঢাকা সবজি কম আসছে। যার জন্য বাজারে দাম বাড়ছে। বন্যার পর নতুন করে সবজির চাষ করছে কৃষক। শীতের শুরুতে এসব সবজি বাজারে আসবে, তখন হয়ত দাম কমে আসবে। তাছাড়া শীতের আগে প্রতি বছর এই সময় সবজির দাম বেশি হয়।

দেশি পেঁয়াজরের কেজি ৭০ টাকা, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজের কেজি ৫৫ টাকা থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি রসুন ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও আমদানি করার রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি। দেশি আদা ১০০ টাকা, চায়না আদা ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বোতলজাত সয়াবিন তেলের কেজি ১৫০ টাকা থেকে ১৫৫ টাকা।

গত সপ্তাহের মত এ সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্চে ১৭৫ টাকা থেকে ১৮০ টাকা কেজি। লাল কক মুরগি কেজি ২৩০ টাকা থেকে ২৪০ টাকা কেজি, পাকিস্তানি সোনালী মুরগির কেজি ৩২০ টাকা থেকে ৩৪০ টাকা কেজি।

মিনিকেট চাল প্রতি কেজি ৬২ থেকে ৬৪ টাকা, আটাশ চালের কেজি ৫০ থেকে ৫২ টাকা, নাজিরশাইল চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৬ থেকে ৬৮ টাকায়। বাজারে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল। খুচরা প্রতি লিটার তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা।