শেষ হলো দুর্গোৎসব, পালকি চড়ে বিদায় নিলেন দেবী
বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাঙালি হিন্দুর সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। সনাতন ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দেবী ফিরে গেলেন স্বর্গলোকের কৈলাসে স্বামীর ঘরে।
শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় বুড়িগঙ্গার ওয়াইজঘাটের বীণাস্মৃতি স্নানঘাটে শাহজাহানপুর বাংলাদেশ রেলওয়ে পূজা কমিটির প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রাজধানীতে দেবীকে বিদায় জানানোর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। রাত পর্যন্ত চলতে পারে প্রতিমা বিসর্জন। মূলত মহিষাসুর বধ করার মাধ্যমে আজকের দিনটি দেবীর বিজয়ের দিন। তাই বিদায় জানালেও নেই বিষাদ। সবাই প্রফুল্লতার সাথেই পালন করছেন এই আয়োজন।
ষষ্ঠী তিথিতে ‘আনন্দময়ীর’ আগমনে এ উৎসবের সূচনা হয়। দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে তা শেষ হলো।
দেবী দুর্গা এবার ঘোড়ায় চড়ে এসেছেন। পালকিতে চড়ে ফিরে গেলেন কৈলাসে।
নবরাত্রির ষষ্ঠ দিন সোমবার দুর্গ পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছিল এবার। মহা নবমী পেরিয়ে শুক্রবার সকালে বিজয়া দশমীর ‘বিহিত পূজায়’ ষোড়শপ্রচার পূজার পাশাপাশি দেবী প্রতিমার হাতে জরা, পান, শাপলা ডালা দিয়ে আরাধনা করা হয়।
এদিকে নওগাঁয় ছোট যমুনা নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ৫ দিনব্যপী শারদীয় দূর্গোৎসব শেষ হয়েছে। এ বছরের মত শেষবার পূঁজা মণ্ডপে এসে তাই ভক্তরা দেবীর পায়ের সিঁদূরে নিজেদের ভক্তি শ্রদ্ধায় রাঙিয়ে নেয়। শু বিজয়া দশমীর পুজা অর্চনা এবং সকল আন্ষ্ঠুানিকতা শেষ করে দুপুরের পর থেকে স্ব স্ব মন্ডপের প্রতিমাগুলো যানবাহনে করে নৌকায় তোলা হয়।
এরপর প্রায় ২ কিলোমিটার জুড়ে চলতে থাকে নৌ বিহার। এসব নৌকায় ঢাকের শব্দ এবং মাইকের গানের শব্দে মুখরিত হয়ে উঠে এলাকা। এ সময় ছোট যমুনা নদীতে মনোরম দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। নদীর দুই পাড়ে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন ধর্মের নারী-পুরুষ, শিশু, কিশোর এমন দৃশ্য উপভোগ করেন। দীর্ঘ সময় নৌবিহার শেষে সন্ধ্যায় দহের ঘাটে পর্যায়ক্রমে প্রতিমাসমুহ বিসর্জন দেয়া হয়।