সাভারে দুই বোনকে মারধর, সন্ত্রাসী সেলিম গ্রেফতার

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

সাভারে খেয়া পারাপারের সময় দুই বোনকে শ্লীলতাহানি ও মারধরের অভিযোগে একাধিক মামলার আসামি সন্ত্রাসী সেলিম ওরফে সেইলাকে (৩৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আহত দুই তরুণীকে উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী দুই তরুণীর মা।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) সকালে বার্তা২৪.কমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম।

গ্রেফতার মো. সেলিম সাভার উপজেলার কাউন্দিয়া ইউনিয়নের বাকসাত্রা গ্রামের বাসিন্দা ও মৃত মহব্বত আলীর পুত্র। তিনি কাউন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক এক চেয়ারম্যানের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত।

বিজ্ঞাপন

মামলা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে দুই বোন রাজধানীর মিরপুর থেকে কেনাকাটা করে সাভারের কাউন্দিয়ায় নিজ বাসায় ফিরছিলেন। রাত সোয়া ৯টার দিকে তারা কাউন্দিয়া খেয়াঘাটে পৌঁছালে এলাকার প্রভাবশালী চিহ্নিত সন্ত্রাসী সেলিম তাদের গতিরোধ করে বড় বোনের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এ সময় দুই বোন এর প্রতিবাদ করলে তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন সেলিম।

আরও জানা যায়, বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে সেলিম ঘাটে থাকা পারাপারের নৌকা থেকে ছাতা নিয়ে ছোট বোনকে মারধর করতে থাকে। এ সময় বড় বোন বাধা দিলে তাকেও উপর্যুপরি ছাতা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন সেলিম। এছাড়া সেলিমের ভাগনে রিপন মারধরের সময় তাকে সহযোগিতা করেন।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী দুই তরুণীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সেলিম ও তার ভাগনে রিপন দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

ভুক্তভোগীদের মধ্যে সাভারে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বড় বোন জানান, খারাপ ইঙ্গিত নিয়েই ওই ব্যক্তি আমাকে জড়িয়ে ধরেছিল। প্রতিবাদ করায় আমাদের দুই বোনকেই মারধর করেছে। পুরো শরীর ব্যথায় নড়াচড়া করতে পারছি না।

সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, দুই বোনকে মারধর ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার পর কাউন্দিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হারুন অর রশিদ কাউন্দিয়া বাজারে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করে এবং তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। তার বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে ইয়াবাসহ আটক হওয়ায় সাভার মডেল থানায় একটি মামলা চলমান আছে।