তথ্য দিতে সেই ভয় পায় যে অপরাধী: র্যাব ডিজি
সাধারণ মানুষ তথ্য দিতে ভয় পায় না। যে অপরাধী সে তথ্য দিতে ভয় পায় বলে মন্তব্য করেছেন র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে র্যাব সদরদফতরে তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোত্তম ও সার্বিক ব্যবহার র্যাবের সকল ব্যাটালিয়ন ও ক্যাম্প পর্যায়ে বিস্তৃত করার লক্ষ্যে ‘র্যাবের প্রযুক্তিগত আধুনিকায়ন’ শীর্ষক কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
র্যাব ডিজি বলেন, আমরা প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বিস্তৃত করার উদ্যোগ নিয়েছি। এখন সার্চ দিলেই কোনো অপরাধ ও অপরাধী বা আসামি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য মিলবে। প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তার সুফল এখন দেশের মানুষ ভোগ করছে। র্যাবের উৎকর্ষতা অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা আজকে যে প্রযুক্তিগত সক্ষমতার কথা বলছি, এ প্রযুক্তির মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তথ্য এক জায়গাতে সংরক্ষণ করবো। আমরা এই তথ্যের সহায়তা কিন্তু ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার-এনটিএমসি থেকে আগেও পেয়েছি। আমাদের প্রযুক্তিগত সুবিধায় অপরাধ ও অপরাধীদের তথ্য সংরক্ষণ করতে পারবো। যে তথ্যের জন্য র্যাব হেড কোয়ার্টার্সে বা কোনো ব্যাটালিয়নে যোগাযোগ করার প্রয়োজন নেই। অথবা এনটিএমসি’তে যোগাযোগ করার প্রয়োজন নেই। সার্চ দিলেই তথ্য পেয়ে যাবে র্যাবের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কোম্পানি (সিপিসি) কর্মকর্তারাও।
তিনি আরও বলেন, এ প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও অপারেশনাল কার্যক্রম দ্রুত সময়ের মধ্যে করতে পারবো। এর জন্য আমরা আমাদের নিজস্ব একটি তথ্যভান্ডার গড়ে তুলছি। এখন সাধারণ মানুষ তথ্য দিতে ভয় পায় না। যে অপরাধী সে তথ্য দিতে ভয় পায়।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন বলেন, র্যাব আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীকে পরিণত হয়েছে। পুলিশ, বিজিবি, সেনা, নৌ, বিমান ও আনসার বাহিনীসহ সাত বাহিনীর সদস্যরা মিলে জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় কাজ করছে। দেশপ্রেম-ভালোবাসায় উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করছে।