লক্ষ্মীপূজা আজ
হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান শ্রী শ্রী লক্ষ্মীপূজা আজ বুধবার (২০ অক্টোবর)। শারদীয় দুর্গোৎসব শেষ হওয়ার পরবর্তী পূর্ণিমা তিথিতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা লক্ষ্মীপূজা উদযাপন করে থাকেন। ঘরে ঘরে লক্ষ্মী ধনসম্পদ তথা ঐশ্বর্যের দেবী হিসেবে পূজিত হন। এ ছাড়া উন্নতি (আধ্যাত্মিক ও পার্থিব), আলো, জ্ঞান, সৌভাগ্য, দানশীলতা, সাহস ও সৌন্দর্যের দেবীও তিনি।
হিন্দুদের অন্যতম এই ধর্মীয় উৎসবটি কোজাগরি লক্ষ্মীপূজা নামেও পরিচিত। কোজাগরি অর্থ ‘কে জেগে আছো’। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাসমতে, বছরের সবচেয়ে উজ্জ্বল রাত আশ্বিনের পূর্ণিমা তিথিতে ধনসম্পদ, প্রাচুর্য, সৌন্দর্য ও সমৃদ্ধির দেবী লক্ষ্মী বিষ্ণুলোক থেকে পৃথিবীতে নেমে আসেন পূজা গ্রহণ করতে। লক্ষ্মী দেবী সন্তুষ্ট থাকলে সংসারে অর্থকষ্ট থাকবে না ও সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে। মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে দেবী ‘কে জেগে আছো’ প্রশ্ন করেন। তাই লক্ষ্মীপূজা ভক্তদের কাছে কোজাগরি পূজাও।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, লক্ষ্মী দেবী দ্বিভুজা ও তার বাহন প্যাঁচা এবং হাতে থাকে শস্যের ভাণ্ডার। তবে বাংলার বাইরে লক্ষ্মীর চতুর্ভুজা কমলে-কামিনী মূর্তিই বেশি দেখা যায়। প্রায় প্রতিটি বাঙালি হিন্দুর ঘরে ঘরে লক্ষ্মীপূজা করা হয়। এ উপলক্ষে হিন্দু নারীরা উপবাস ব্রত পালন করেন। এই পূজায় প্রয়োজন হয় ধানের শিষ, কাঁচা সুপারি, কলাপাতা, কলাগাছের খোল, আলপনাসহ নানা সামগ্রী। মঙ্গলঘট ও ধানের ছড়ার সঙ্গেই গৃহস্থের আঙিনায় আজ শোভা পাবে চালের গুঁড়া আলপনায় মা লক্ষ্মীর ছাপ। মা লক্ষ্মীর পা আঁকা হবে বহু বাড়ির প্রবেশপথে।
লক্ষ্মীপূজা উপলক্ষে আজ সারা দেশের বিভিন্ন মন্দির ও মণ্ডপের পাশাপাশি হিন্দুদের ঘরে ঘরে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষে অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও অতিথি আপ্যায়ন করা হবে। রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ মন্দির, রামসীতা মন্দির, পঞ্চানন্দ শিব মন্দির, গৌতম মন্দির, রাধা মাধব বিগ্রহ মন্দির, রাধা গোবিন্দ জিও ঠাকুর মন্দিরসহ বিভিন্ন মন্দির এবং পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার, সূত্রাপুর, ফরাশগঞ্জ, লক্ষ্মীবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘরোয়া পরিবেশে লক্ষ্মীপূজার বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হবে।