দক্ষিণাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন যাতায়াতের পথ খুলে যাচ্ছে
দক্ষিণাঞ্চলবাসীর দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে পায়রা নদীর ওপর নির্মিত ‘পায়রা সেতু’ আগামীকাল রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন। কাল সকালে গণভবন থেকে পায়রা সেতু, দুমকি, পটুয়াখালী প্রান্তে ভার্চুয়াল সংযুক্ত হয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।
উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গেই চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে সেতুটি। এর মধ্য দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে যোগাযোগে নতুন অধ্যায় সূচিত হচ্ছে। এই অঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন যাতায়াতের পথ খুলে যাবে।
জানা যায়, এই সেতুর ৮২ ভাগ অর্থায়ন করে কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট এবং এপেক ফান্ড। সেতুটি নির্মাণ করেছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লংজিয়ান রোড অ্যান্ড ব্রিজ কনস্ট্রাকশন। সেতু নির্মাণের নকশা কিছুটা ব্যতিক্রমধর্মী। চার লেনবিশিষ্ট সেতুটি নির্মিত হচ্ছে এক্সট্রাডোজড কেবল স্টেইন্ড প্রযুক্তিতে। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর শাহ আমানত সেতুও এই প্রযুক্তিতে নির্মিত।
১ হাজার ৪৭০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ১৯ দশমিক ৭৬ মিটার প্রস্থের সেতুটি কেবল দিয়ে দুই পাশে সংযুক্ত রয়েছে। নদীর মাঝখানে একটিমাত্র পিলার ব্যবহার করা হয়েছে। এতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ অব্যাহত থাকবে। জলতল থেকে সেতুটির উচ্চতা নদীর ১৮ দশমিক ৩০ মিটার ওপরে। বাতি জ্বলবে সৌর বিদ্যুতের সাহায্যে।
পটুয়াখালী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান মোহন গণমাধ্যমকে বলেন, এই সেতুটি দক্ষিণাঞ্চলে যোগাযোগব্যবস্থা একধাপ এগিয়ে নেবে। কুয়াকাটা, মৎস্য বন্দর, পায়রা বন্দরে যোগাযোগ ও ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে স্বপ্নের পায়রা সেতু স্বপ্ন পূরণ করবে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের।