ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকার: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

  • Font increase
  • Font Decrease

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাইজেশনের প্রসারের পাশাপাশি ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাসহ সামাজিক-রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য এখন বড় একটি চ্যালেঞ্জ। সে সংকটও অতিক্রম করতে আমরা কাজ করছি-আমরা সফল হবো বলে মন্ত্রী দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী শুক্রবার (২২ অক্টোবর) রাতে আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশি ডিজিটাল প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের আয়োজিত ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি সম্মেলন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অন-লাইনে সংযুক্ত থেকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জিং হলেও আমরা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পিছিয়ে নেই। অতীতের তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করায় সৃষ্ট পশ্চাদপদতা অতিক্রম করে বাংলাদেশ ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বৈশ্বিক নেতৃত্বের জায়গায় উপনীত হয়েছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা এবং আইটিইউ ও ইউপিইউ-এর সদস্য পদ অর্জনের মাধ্যমে দেশে ডিজিটাইজেশনের যাত্রা শুরু করেন। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কম্পিউটারের ওপর থেকে ভ্যাট -ট্যাক্স প্রত্যাহার করে তা সাধারণ মানুষের নাগালে পৌঁছে দেন। মোবাইল ফোন সহজলভ্য করতে এবং ভি-স্যাটের মাধ্যমে ইন্টারনেট চালুসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় ডিজিটাইজেশনে বঙ্গবন্ধুর বপন করা বীজটিকে চারা গাছে রূপান্তর করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়নে আমরা যে যুদ্ধটি শুরু করেছি তা সফলতার দ্বারে কড়া নাড়ছে। আমরা সৌদি আরবে আইওটি ডিভাইস রফতানি করছি। বিশ্বের ৮০টি দেশে বাংলাদেশ থেকে সফটওয়্যার রফতানি হচ্ছে। ২০১৮ সালের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কর্তৃপক্ষের সাথে দ্বিপক্ষীয় আলোচনাসহ সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সরকারের যে কোন পরামর্শ গুরুত্বের সাথে আমলে নিচ্ছে এবং ভবিষ্যতে তা আরও কার্যকর হবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আমেরিকা প্রবাসী উদ্যোক্তা মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ এবং বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ বক্তৃতা করেন।

   

মোংলা থেকে ১১৫ কিলোমিটার দূরে রিমাল, জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোংলা সমুদ্বরন্দর থেকে ১১৫ কিলোমিটার দূরে আছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

রোববার (২৬ মে) রাত ৯টায় আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আব্দুল কালাম মল্লিকের দেওয়া আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তি-১৫ -এ এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (২১.৫ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.২ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি রোববার (২৬ মে) রাত ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০৫ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৫ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর দিকে ধীর গতিতে অগ্রসর হয়ে মোংলার দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ- খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম অব্যাহত রেখেছে। ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে পরবর্তী ৫ থেকে ৭ ঘণ্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।

;

জোয়ারের সময় স্থলভাগে উঠবে রিমাল

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রিমালের কেন্দ্র যখন উপকূলে উঠে আসবে তখন জোয়ারের সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থায় উঁচু জলোচ্ছ্বাসে উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হতে পারে।

এতে করে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, রিমালের আঘাতে এরইমধ্যে সাতক্ষীরা, ভোলা, চরফ্যাশন, কুয়াকাটাসহ উপকূলীয় এলাকা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিতে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

তিনি বলেন, রিমালের কেন্দ্র আর দেড় থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যে স্থলভাগে উঠে আসবে। এ সময় জোয়ারের সম্ভাবনা আছে। তখন উঁচু জলোচ্ছ্বাসে উপকূল প্লাবিত হয়ে ক্ষয়ক্ষতি বাড়ার শঙ্কা আছে। এ ছাড়া বর্তমানে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ঘূর্ণিঝড়টি আগাচ্ছে। জোয়ার থাকলে বাতাসের গতিবেগও বাড়তে পারে। এতে উপকূলবাসী আতঙ্কে আছে।

ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র স্থলভাগে উঠে আসার ৫ ঘণ্টার মধ্যে পুরো ঝড় স্থলভাগে উঠে আসবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করছে। কেন্দ্র উঠে আসার পরবর্তী ৩ থেকে ৫ ঘণ্টার মধ্যে রিমাল বাংলাদেশ অতিক্রম করতে পারে। এ সময়টা খুবই শঙ্কার। ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমের সময় প্রবল বৃষ্টিপাতের শঙ্কা রয়েছে। এতে ভূমিধস ও জলাবদ্ধতাসহ বিভিন্ন ধরনের দুর্যোগ, দুর্ভোগ ও ভোগান্তির সৃষ্টি হতে পারে।

এসব থেকে ক্ষতি কমাতে বিভিন্ন বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। দুর্যোগ পরবর্তী উদ্ধার ও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।

এ সময় সন্ধ্যার মধ্যে উপকূলের প্রায় ৯ হাজার আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষ পৌঁছে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, সব আশ্রয়কেন্দ্রে খাবার, পানি ও চিকিৎসা সামগ্রীর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে কাজ চলছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী মহিববুর বলেন, ‘আমরা দুর্যোগ মোকাবিলায় আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করেছি। এছাড়া রেডক্রিসেন্ট ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও সংগঠনগুলোও তৎপর আছে। সমন্বিতভাবে দুর্যোগ মোকাবিলায় ক্ষয়ক্ষতি কম হবে।’

;

আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে আগ্রহ কম মোংলার মানুষের

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে আগ্রহ কম মোংলার মানুষের

আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে আগ্রহ কম মোংলার মানুষের

  • Font increase
  • Font Decrease

মহাবিপদের বার্তা নিয়ে প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হলেও বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় বসবাসরত সাধারণ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে চাচ্ছে না।

মোংলা উপজেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, প্রায় ৩০ হাজার লোক আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান গিয়েছে কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে সর্বোচ্চ ৫ হাজার মানুষ দেখা গেছে।

রোববার (২৬ মে) রাতে বার্তা ২৪.কমের বাগেরহাট প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম দুলু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, মোংলা অঞ্চলে সারাদিন বৃষ্টি ও বাতাস কম থাকলেও রাত ১০টার পর প্রচণ্ড বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়েছে। রাত ১০টা থেকে ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোংলাতে আঘাত হানতে শুরু করেছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, প্রায় ৩০ হাজার লোক আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে কিন্তু সরেজমিনে বেশ কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রে ঘুরে সর্বোচ্চ ৫ হাজার মানুষ দেখা যায়। সেখানে তাদের জন্য শুকনো খাবার এবং খিচুড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আইলা ও সিডরের মতো ঘূর্ণিঝড় রিমাল তেমন শক্তিশালী নয়। আবহাওয়া অধিদফতর থেকে ৭ কিংবা ১০ নম্বর বিপদ সংকেত দেওয়া হলেও মানুষের মধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য তেমন আগ্রহ দেখা যায়নি।

এর হিসেবে তিনি বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ সবসময় ঝড়-তুফানের সাথে যুদ্ধ করে বেচে থাকে। অপরদিকে বিপদ সংকেত অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়ের তেমন প্রভাব না পড়ার কারণে মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে বলেও জানান তিনি।

;

বিমানের নতুন এমডি জাহিদুল ইসলাম



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেডের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব মো. জাহিদুল ইসলাম ভূঞা।

রোববার (২৬ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

বিমান এয়ারলাইনসের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও শফিউল আজিমকে গত ২১ মে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়।

;