‘ডিসেম্বরে ড্যাপ গেজেট, যৌক্তিক কারণে হতে পারে সংশোধন’
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী এবং ড্যাপ রিভিউ মন্ত্রিসভা কমিটির আহ্বায়ক মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান-ড্যাপ গেজেট আকারে প্রকাশিত হবে। তবে যৌক্তিক কারণে কোথাও সংশোধনের প্রয়োজন পড়লে সেটি করার সুযোগ থাকবে।
রোববার (২৪ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ড্যাপ চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাথে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, আগামী নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে জাতীয় সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ড্যাপ রিভিউয়ের জন্য গঠিত মন্ত্রীসভা কমিটির মাধ্যমে চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ করা হবে। গেজেট প্রকাশের পর বাস্তবায়নের সময় যদি কোথাও ভুল-ভ্রান্তি বা অসামঞ্জস্য থাকে কিংবা কোনো যৌক্তিক কারণে পরিবর্তনের অথবা সংশোধনের দরকার হয় তাহলে সেটি অবশ্যই করা হবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, দেশের আইন যদি পরিবর্তন হয়, সংবিধান যদি পরিবর্তন করা যায় তাহলে ড্যাপ পরিবর্তন অথবা সংশোধন করা যাবে।
মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, ড্যাপ চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে নগর পরিকল্পনাবিদ, পরিবেশবাদী, রিহ্যাব, বিএলডিএসহ সকল পক্ষের মতামত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া খসড়া ড্যাপ নীতিমালা ওয়েব সাইটে আপলোড করায় সেখানেও অনেকে মতামত দিচ্ছেন। সেগুলোও আমলে নেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ সকলের যৌক্তিক পরামর্শ ও মতামত অন্তর্ভুক্ত করেই এটি চূড়ান্ত করা হচ্ছে।
ড্যাপকে একটি ন্যায়সঙ্গত বা অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিকল্পনা হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজধানীকে একটি আধুনিক, দৃষ্টিনন্দন ও বসবাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তোলার সকল উপকরণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ভূমির সঠিক ব্যবহার করে আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকাসহ কৃষি অঞ্চল, জলাশয়, ওয়াটার রিটেনশন, বনাঞ্চল, উন্মুক্ত স্থান, বন্যা প্রবাহ এলাকাসহ সব কিছুই পরিকল্পনায় নিয়ে এটি প্রণয়ন করা হচ্ছে।
মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন রাজউক এর মাধ্যমে ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান প্রণয়ন করা হলেও ঢাকা দুই সিটি কর্পোরেশনের সাথে সমন্বয় করে এটি বাস্তবায়ন করা হবে।
ডিসেম্বরের মধ্যেই চূড়ান্ত করা হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এ সময়ের মধ্যেই চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ করার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ডিসেম্বরের মধ্যেই চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
সভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, গাজিপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউক চেয়ারম্যান এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী এবং প্রকল্প পরিচালক মোঃ আশরাফুল ইসলাম অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।