দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা আনতে পারে ইতিবাচক পরিবর্তন: স্পিকার
দায়িত্বশীল এবং নৈতিকতাসম্পূর্ণ সাংবাদিকতা একান্ত অপরিহার্য উল্লেখ করে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। মিডিয়া ইথিকস ফলো করা খুবই জরুরি।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়ির বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে (কেআইবি) ‘নগদ ডিআরইউ বেস্ট রিপোটিং অ্যাওয়ার্ড-২০২১’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিরীন শারমিন বলেন, বিশেষ করে বর্তমান প্রেক্ষিতে আমরা দেখতে পাচ্ছি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বা অনলাইনে পোস্ট দিয়ে নাশকতা ও সহিংসতা ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। কাজেই এসব বিষয় থেকে মানুষ ও সমাজকে কীভাবে সুরক্ষিত রাখতে পারি, সেই বিষয় গুলো নিয়ে আমাদেরকে ভাবতে হবে। বিশ্বে আজকে মিথ্যা নিউজ, প্রোপাগান্ডা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে মুহূর্তের মধ্যেই ক্যাপচার করে ফেলে। সেক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ও ইথিক্যাল সাংবাদিকতা পারে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে। যথাযথ তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে পরিবেশিত সংবাদ মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা গড়ে তুলতে পারে। একটি বিষয় আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে, জনস্বার্থকে আমাদের প্রাধান্য দিতে হবে। গণমাধ্যমকেও এ বিষয়ে অনুধাবন করতে হবে যে, মানুষের আস্থা যে মিডিয়া যত বেশি অর্জন করতে পারবে, সে ততই এগিয়ে যেতে পারবে।
তিনি বলেন, যারা সাংবাদিকতা পেশার সাথে জড়িত আছেন, সাংবাদিকতা নতুন চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে তাদেরকে ভাবতে হবে। যেভাবেই ব্যাখ্যা করি না কেন গণমাধ্যম গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণমাধ্যম জনজীবনে আজ অপরিহার্য অনুসর্গ। বিশ্বায়নের এই যুগে আমরা কেউ এখন দ্বীপে বসবাস করি না। আমরা সবাই ইন্টার কানেক্টেড একটি বিশ্বে বসবাস করি। প্রতি মুহূর্তেই আমরা অসংখ্য খবরের মুখোমুখি হই। যেটা মুহূর্তের মধ্যেই বর্তমান চিত্র পাল্টে দেয়।
স্পিকার আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে যে ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছিলেন, এর বাস্তবতা নিয়ে এখন কোন সন্দেহ নেই। দেশের বর্তমান প্রেক্ষিতে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মাধ্যমে সকল ধরনের সংবাদ অবাধে তারা প্রচার করছেন। বিশ্বের আনাচে-কানাচে থেকে সংবাদ সংগ্রহ করে চলমান ঘটনাবলী উপস্থাপন করে সকলকে অবগত করে যাচ্ছে গণমাধ্যম। বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমে যে ব্যাপক প্রসার তার মধ্য দিয়ে অনেক ধরনের ইস্যু চ্যালেঞ্জ হিসেবে নতুনভাবে আবির্ভূত হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে গণমাধ্যমকর্মীদের ও সাংবাদিকদের এই নতুন চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে অবশ্যই ভাবতে হবে।
অনুষ্ঠানে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, নগদের এমডি তানভীর আহমেদ মিশুক, বাংলাদেশ জার্নাল পত্রিকার সম্পাদক শাহজাহান সরদার, নগদের নির্বাহী পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হাসান সোহেল প্রমুখ।