রাজধানীতে শীতের আমেজ, জমে উঠছে হকার্স



সুলতান মাহমুদ আরিফ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শুরু হয়েছে শীতের আমেজ। শীতের সাথে নিবিড় সম্পর্ক হলো শীতের পোশাকের সাথে। আর এই সময়টাতে রাজধানীর নিউমার্কেটসহ পুরো ঢাকা যেন থাকে শীতের পোশাকের দখলে। নতুন-পুরানো শীতের পোশাকের জন্য ভীড় জমে মধ্যবিত্ত থেকে শুরু সব শ্রেণীর লোকদের।

রাজধানীর নিউমার্কেট, হকার্সসহ সব জায়গা ধীরে ধীরে দখলে যাচ্ছে শীতের পোশাকের। গতবারে করোনায় হওয়া লস কাটিয়ে উঠতে এবার পূর্ব প্রস্তুতি নিয়েই একটু আগেই শুরু করেছেন শীতের বেচা কেনা। হকার্স ঘুরে দেখা যায়, বিক্রেতারা পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের জন্যও বাহারি ডিজাইনের সোয়েটার, জ্যাকেট ও চাদর তুলে সাজিয়েছেন দোকান। ক্রেতাও বাড়ছেন ধীরে ধীরে। জমে উঠছে শীতের বাজার।

সরেজমিন ঘুরে বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা অগ্রীম শুরু করেছেন এবার শীতের বেচা-কেনা। গতবছরের করোনার লস কাটিয়ে উঠতে আগে থেকেই শুরু করেছেন শীতের পোশাক বিক্রি। তবে গত করোনাপূর্ব শীতকালের তুলনায় ক্রেতা চোখে পড়েনি তেমন। পুরোদমে শীত আসার আগেই মুখোরিত হয়ে থাকবে এই এলাকা,এমনটি প্রত্যাশা করছেন শীতবস্ত্র খুচরা এবং পাইকারি বিক্রেতারা।

ব্যবসায়ীরা জানান, এবারের শীতের মৌসুমের ব্যবসাটা একটু অন্যরকম। আমাদের জন্য এবার বড় চ্যালেঞ্জ গত বছরের লস কাটিয়ে উঠা। গতবছরের অনেক শীতবস্ত্র আমাদের এখনও রয়ে গেছে, সেগুলো দিয়ে আমাদের অনেকে এবার ব্যবসা শুরু করেছি। ক্রেতা বাড়লে আশা করি আমরা আমাদের গত বছরের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারবো।

গাউছিয়া মার্কেট এলাকার ব্লেজার দোকানদার শাহীন বলেন, আমরা সপ্তাহখানেক আগ থেকে শীতের ব্লেজার বিক্রি শুরু করলাম। এখনও তেমন কাস্টমার পাচ্ছি না। শীততো মাত্র শুরু হলো। তবে সেই তুলনায় কাস্টমার অনেক। আমাদের শো রুমে ১৫শ’ থেকে ৩ হাজার টাকার ব্লেজার আছে। শীতের পুরোদম আসলে আমাদের জমজমাট বেচা-কেনা হবে আশা করি।

হকার্স মার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ছোট-বড় সব বয়সের রেডিমেইড ব্লেজার ১২শ’ থেকে ১৫শ’ টাকা আবার মানভেদে ৪ হাজার টাকা দামেও বিক্রি হচ্ছে। শীতকালীন পায়ের মোজা যেন না হলে চলেই না। হকার্স মার্কেটে ছোট-বড় সব ধরনের শীতের মোজা বিক্রি হচ্ছে ৩০-৫০ টাকা করে। ১-৩ বছরের বাচ্চার সোয়েটার বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকা করে। ১৫-২০ বছর বয়সের মেয়েদের সোয়েটার বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা করে।

এছাড়া হকার্স মার্কেটে শীতের জিন্স সোয়েটার বিক্রি হচ্ছে ৩শ’ টাকা করে। আবার ১০-১২ বছরের বাচ্চাদের শীতের পায়জামা বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা করে। মেয়েদের শীতের ট্রাউজার বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা করে।

শীতবস্ত্র কিনতে আসা জাকির হোসেন বার্তা২৪.কম’কে বলেন, আমি আমার জন্য এবং আমার বাচ্চার কিছু শীতবস্ত্র কিনলাম। প্রতিবছরই আমি কিনতে আসি এখানে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছরও তেমন কোন পরিবর্তন নাই। দাম আমার কাছে একই মনে হচ্ছে। তবে ক্রেতা এখনও খুব কম। আমরা একটু আগেই শীতবস্ত্র কিনি। পরে দাম বেড়ে যায়। শীত যত বাড়বে নিউ মার্কেট হকার্স এলাকা তত মানুষে ভরপুর হয়ে যাবে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতি থাকবে জমজমাট।

নিউ সুপার মার্কেটের আইডিয়া শো রুমের জাকির হোসেন বলেন, আমরা এখানে অনেকেই সিজনালী ব্যবসা করি। যেমন, ঈদ আসলে আমরা সব রেখে ঈদের পোশাক বিক্রি করি, গরমকাল আসলে গরমের কাপড় বিক্রি করি। আবার এখন শীত আসছে, আমরা শীতের কাপড় তুললাম। মোটামুটি কাস্টমারও আছে। যেহেতু শীত মাত্র শুরু হলো, আস্তে আস্তে কাস্টমারও বাড়বে। আমরা শীতকালে কখনও লস করি না। মোটামটি আমাদের পুষিয়ে যায়। এবার ভালো লাভ হবে আশা করি।

জাকির বলেন, দ্রব্যমূল্যের সাথে মূলত এসব বাড়তি কমতির সম্পর্ক। দ্রব্যমূল্যের দাম কমলে মানুষ বাড়তি টাকা দিয়ে মার্কেট করে। দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়লে আর বাড়তি মার্কেট করা সম্ভব হয় না। তাই দ্রব্যমূল্য যত নিয়ন্ত্রণে থাকবে আমাদের ক্রেতাও তত বাড়বে বলে জানান জাকির।

সাদ্দাম হোসন নামক একজন শো-রুম ব্যবসায়ী বলেন, শীত এখনও পুরোদমে শুরু না হওয়াতে কাস্টমার কম। তবে এবার একটু প্রথম দিকেই আমরা শুরু করেছি। আশা করি এবার ভালো কিছু করার মাধ্যমে আমরা গতবারের লস কাটিয়ে উঠতে পারবো।

বাচ্চাদের শীতের জুতা বিক্রেতা মানিক বলেন, শীত শুরু না হলেও গত বছরের তুলনায় এবার ভালো বিক্রি হচ্ছে। তবে পুলিশের বাঁধার কারণে ঠিকমত বসতে পারছি না। যদি ঠিকমত এবার বিক্রি করতে পারি তাহলে গতবারের লস কাটিয়ে উঠতে পারবো। গতবার করোনার কারণে অনেক লস হয়েছে, বেকার ছিলাম। শীততো মাত্র শুরু হলো, তবুও ক্রেতা আছে। শীত পড়লে আরও বাড়বে।

শীতের পোশাক কিনতে আসা আলাউদ্দিন বলেন, এবার এখনও জম জমাট হয়ে উঠেনি শীতের বাজারের মার্কেটগুলো। তবে যে হারে শীত পড়ছে খুব শিগগিরই শীতের পোশাক কিনাতে ধুম বেজে উঠবে। আমি এক দাম একশ টাকা করে বিক্রি করা শীতের পোশাক কিনলাম ৫টা। যা আরও কয়েকদিন পর দাম বেড়েও যেতে পারে।

এবার হকার্স মার্কেট এলাকায় গত কয়েক বছরের তুলনায় ফুটপাতে দোকান খুব কম। যা বসে তাও পুলিশের চক্ষু আড়ালে। পুলিশ আসলে সরে যায়, আবার গেলে বসে। যখন বসে তখন পুরো রাস্তা জ্যাম হয়ে যায় এদের কারণে। বিশেষ করে ওভারব্রিজের চিত্র যেন খুব ভয়ানক। মানুষের পারাপার যেন অস্বস্তির ছায়া। গা ঘেঁসে পার হওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। পুলিশ যখন থাকেনা, তখন পুরো ওভারব্রিজ দখল করে সরু পথ রাখে হকাররা। যার কারণে রাস্তার এপাশ-ওপাশে যাওয়া লোকেরা পড়ে দারুণ ভীড়ে।

ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটের (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) একজন ব্যবাসায়ী বলেন, ফুটওভার ব্রিজ পুরোটা হকাররা দখল করে রাখে। তাদের জন্য আমরা ব্যবসা করতে পারি না। এদের ভীড় ঠেলে কাস্টমার রাস্তা পার হয়ে মার্কেটে আসতে চাই না। এরা যতক্ষণ পুলিশ থাকে ততক্ষণ সরে থাকে, পুলিশ গেলেই আবার পুরো ব্রিজ দখল করে রাখে। এদের সংঘবদ্ধতা অনেক বড়। এদের বিরুদ্ধে কিছু বললে এরা এক সাথে তেঁড়ে আসে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে নিউ মার্কেট হকার্স অ্যাসোসিয়েশন সেক্রেটারি মো. মিজানুর রহমান বার্তা২৪.কম’কে বলেন, আমরা আমাদের সাধ্যমত হকারদের রাস্তা থেকে সরানোর চেষ্টা করছি। তবে এরা আমাদের কথা শুনে না। এদের ভিন্ন একটা শক্তি আছে। এদের বিরুদ্ধে আমরা তেমন কিছু বলতে পারি না। তবে আমরা আমাদের জায়গা থেকে সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে প্রশাসন চাইলে সব সম্ভব।

   

কুমারখালীতে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ধান কাটা নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় ইউনুস আলী (৬০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। 

শনিবার (১৮ মে) সকালের দিকে উপজেলার খোর্দ্দ বনগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ইউনুস আলী কুমারখালি উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের খোদ্দ বনগ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, শনিবার সকালে ৭টার দিকে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে ইউনুস আলী ও মুক্তার আলীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মুক্তার আলী ও তার লোকজন মিলে ইউনুস আলীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ইউনুসকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুজন, তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম জানান, সকালে ধান কাটাকে কেন্দ্র করে ইউনুস আলী ও মুক্তার আলীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ইউনুস আলী জখম হন। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর মারা যান।

তিনি আরও জানান, নিহত ইউনুস আলী ও মুক্তার আলী একে অপরের আত্মীয়। সম্পর্কে বেয়াই। তাদের উভয়ের ছেলে মেয়ের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনাকে কেন্দ্র করে অশান্তি বিরাজ করছিল। ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

;

২৮ বছরে ঢাকার সবুজ কমে দাঁড়িয়েছে ৯ শতাংশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের রাজধানী ঢাকায় গত ২৮ বছরে সবুজ এলাকা কমে দাঁড়িয়েছে ৯ শতাংশ, অন্যদিকে জলাভূমিও নেমে দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৯ শতাংশ এ। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) এক গবেষণায় এই চিত্র উঠে এসেছে।

শনিবার (১৮ মে) সকালে রাজধানীর জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে নগর গবেষণা কেন্দ্রের ৫২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপী সম্মেলনে এই তথ্য জানা যায়।

বিআইপির প্রতিবেদনে দেখা যায়, ঢাকা শহরের সবুজ এলাকা এবং জলাভূমি কমেছে সেই সঙ্গে দুই দশকে বেড়েছে মাত্রাতিরিক্ত ধূসর এলাকা ও কংক্রিটের পরিমাণ, যা শহর এলাকার তাপমাত্রা বাড়িয়ে আরবান হিট আইল্যান্ডের প্রভাবও বাড়ছে। দেশে চলমান যে তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে তার মূল কারণ নগরে সুবজায়ন কমে যাওয়া।

বাংলাদেশের মতো ক্রান্তীয় আর্দ্র জলবায়ুর দেশে নগর পরিকল্পনায় সাধারণ মানদণ্ড অনুযায়ী একটি আদর্শ শহরে ২৫ শতাংশ সবুজ এলাকা এবং ১০ থেকে ১৫ শতাংশ জলাশয়-জলাধার থাকা বাঞ্ছনীয়। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় গত বছরে তাপমাত্রা বেড়েছে ৫ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাড়ার কথা ছিল ১ থেকে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বিআইপি-এর গবেষণা অনুযায়ী ঢাকায় কংক্রিট আচ্ছাদিত এলাকা ১৯৯৯ সালে ছিল ৬৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ, ২০০৯ সালে বেড়ে হয়েছিল ৭৭ দশমিক ১৮ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৮১ দশমিক ৮২ শতাংশে। ফলে সার্বিকভাবে ঢাকার পরিবেশের ভারসাম্য ব্যাহত হচ্ছে নেতিবাচকভাবে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল সরোয়ার জানান, তাপপ্রবাহের কারণে মানুষের বিভিন্নভাবে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়, শ্রমিকের কর্মক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে, অবনতি হয়েছে কৃষি উৎপাদনে, ব্যাহত হয় শিল্প প্রক্রিয়া, তাপের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিভিন্ন অবকাঠামো।

তিনি আরও জানান, চলমান তাপপ্রবাহকে চরম আবহাওয়াগত পরিস্থিতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাপপ্রবাহ মানবস্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেছে। চলমান প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে ২০২৪ সালে সমগ্র বাংলাদেশে এ পর্যন্ত প্রায় ১১ জনের মৃত্যু হয়।

অনুষ্ঠানে নগর গবেষণা কেন্দ্রে সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। আলোচক হিসেবে ছিলেন, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবুল কালাম, বুয়েটের অধ্যাপক ড. ইসরাত ইসলাম, বিআইপির সভাপতি ড. আদিল মুহাম্মদ খান স্থাপতি ইকবাল হাবীব।

;

ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট।

শনিবার (১৮ মে) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে আগুন লাগে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার লিমা খানম।

তিনি জানান, ধোলাইখালে চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে সূত্রাপুর ও সিদ্দিকবাজার থেকে পাঁচটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা। 

;

জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে নওগাঁর সাহাগোলার ‘মটকা চা’



শহিদুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁ আত্রাই উপজেলার সাহাগোলার মোড় স্টেশন এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ‘মটকা চা’। দুধ, চিনি ও বিভিন্ন মসলার সংমিশ্রণে তৈরি এ চা খেতে প্রতিদিন স্টেশনে ভিড় করেন চা-প্রেমীরা। মাটির ছোট্ট হাড়িতে পরিবেশন করা হয় এই মটকা চা।

সরেজমিনে শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে সাহাগোলা মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, মাটির তৈরি ছোট্ট পাতিল প্রথমে পানি দিয়ে ধুয়ে জ্বলন্ত চুলায় গরম করা হচ্ছে, এবং উত্তপ্ত গরম হয়ে গেলে সেটিকে আবার নামিয়ে ভেতরে দুধ ঢালা হচ্ছে, এরপর বিভিন্ন ধরনের মসলা ও শেষে দেওয়া হচ্ছে দুধের সর। এভাবেই পরিবেশন করা হচ্ছে বিভিন্ন রকমের মসলা দিয়ে তৈরি মটকা চা।

জানা গেছে, দেশে প্রথম মটকা চায়ের আবির্ভাব ঘটে রাজধানী ঢাকার মিরপুরের পশ্চিম শেওড়াপাড়ার ‘মটকা চা এবং মোমো’ ক্যাফেতে। ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এটির যাত্রা শুরু হয়। মাটির পেয়ালায় পরিবেশন করা হয় এই মটকা চা। এই চায়ের মূল আকর্ষণ হলো মাটির পেয়ালা। ভিন্নধর্মী স্বাদের এই চা পান করতে বিভিন্ন জায়গা থেকে ছুটে যেতেন চা-প্রেমীরা। তবে এখন এই মটকা চায়ের বিস্তার দেশের অনেক প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। চায়ে নিজস্ব অনেক ইতিহাস থাকলেও মটকা চায়ের স্পষ্ট কোনো ইতিহাস অদ্যাবধি জানা যায়নি। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, এই মটকা চা প্রথমে রাজস্থান থেকে এসেছে। ভারতে প্রায় ৭০ ভাগ মানুষ মটকায় চা পান করে। ভারতের মটকা চা ব্যাপক জনপ্রিয়। মূলত উৎপত্তিস্থল ভারতে।

মটকা চা খেতে আসা ছামিউল (২৮) বলেন, আমার বাড়ি নিয়ামতপুর উপজেলায়। শুনেছি সাহাগোলার মটকা চায়ের অনেক স্বাদ তাই কয়েক বন্ধু মিলে আজকে খেতে চলে এসেছি। চায়ের পাশাপাশি এখানকার পরিবেশ অনেক সুন্দর। তবে স্থায়ী জায়গা যদি করা যেত তাহলে আরও দূর থেকে মানুষজন এসে নিরাপদে খেতে পারতো।


আফরিন বলেন, আজকেই প্রথম এসেছি এখানে। জায়গাটা অনেক সুন্দর, আর পাশেই রেল-স্টেশন আছে। সব মিলিয়ে খুব ভালো লাগছে। মটকা চা আমি আগেও খেয়েছি, তবে এটির আলাদা মজা পেলাম খেয়ে। আবারো আসবো খেতে।

খাদেমুল ইসলাম ক্যাপ্টেন বলেন, আমি সেখানে গিয়ে দেখলাম অনেক ভিড় এবং দোকানিও অনেক। আমার কাছে পরিবেশ ভালো লেগেছে, তবে চায়ের মান আরও উন্নতি করা দরকার।

এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা আকমল বলেন, আমাদের এখানে এতো লোকসমাগম হতো না, কিন্তু যখন থেকে মটকা চা আর মালাই চা শুরু হয়েছে, তখন থেকেই এলাকাটা বেশ পরিচিত হয়ে গেছে। আমাদেরও ভালো লাগে, যখন দেখি দূর থেকে মানুষ চা খেতে আসে।

দোকানী আতাউল ইসলাম বলেন, প্রায় ২ বছর আগে সাহাগোলায় সর্বপ্রথম মটকা চা আমি বানানো শুরু করি। এখন ১৫টির অধিক দোকান আছে সেগুলো তখন ছিল না। আমরা সব সময় চেষ্টা করি স্বাস্থ্যসম্মতভাবে চা পরিবেশন করতে। ভালো লাগে বলেই অনেক দূর থেকে মানুষ এসে আমাদের চা খায়।

আরেক দোকানি রনি বলেন, সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় শুক্রবার বেশি ভিড় হয় এবং বিক্রি ভালো হয় বিধায় লাভও থাকে। এটি আমি ১ বছর ধরে বিক্রি করি। আতাউল ভাই শুরু করেছিল। লাভ মোটামুটি ভালোই হচ্ছে।

আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঞ্চিতা বিশ্বাস বার্তা২৪.কমকে বলেন, উন্নয়ন সমন্বয় সভায় সাহাগোলা নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে, যেহেতু অনেক লোকজন আসেন। এখানে শুধুমাত্র চা বিক্রি হচ্ছে না, পাশাপাশি দূর দূরান্ত থেকে মানুষজন বেড়াতেও আসছেন। এটা নিয়ে আমরা ভাবছি।

;