‘শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি এখন সময়ের দাবি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রেস ক্লাবের হলরুমে আয়োজিত গোল টেবিল বৈঠক

প্রেস ক্লাবের হলরুমে আয়োজিত গোল টেবিল বৈঠক

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্রব্যমূল্য, বাড়ি ভাড়াসহ সবকিছুর দাম বাড়লেও বাড়েনি শ্রমিকদের মজুরি। তাই কোনও বিলম্ব ছাড়াই শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি এখন সময়ের দাবি।

বুধবার (১০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের হলরুমে আয়োজিত গোল টেবিল বৈঠকে এ দাবি তুলে ধরেন আইবিসির নেতৃবৃন্দ।

গোল টেবিলে বৈঠকে বক্তারা বলেন, করোনাকালে চিকিৎসক, চিকিৎসা কাজে নিয়োজিতদের পরেই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে ছিলেন পোশাক শিল্পের ৪০ লাখ শ্রমিক। করোনাকালে চিকিৎসক, আইনশৃঙ্খলাবাহিনী এবং সরকারি কর্মচারীরা মারা গেলে তাদের জন্য বড় অংকের প্যাকেজ থাকলেও শ্রমিকদের জন্য অতিরিক্ত সুযোগ না দিয়ে বরং আরও কর্মচ্যুতসহ ৩৫ শতাংশ বেতন কেটে রাখা হয়েছে।

বক্তারা বলেন, করোনায় সরকারের কাছ থেকে ১১ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা পেলেও কারখানা লে-অফ করে শ্রমিকদের চরম বিপদে ঠেলে দেয় মালিকরা।এছাড়া সকল যানবাহন বন্ধ থাকার পরেও পোশাক শ্রমিকদের কাজে আসতে বাধ্য করে। এসব পরিস্থিতি সরকার এড়াতে পারে না বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।

বক্তারা আরও বলেন, তিন বছর আগে শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে। এ যাবত দ্রব্যমূল্য, বাড়ি ভাড়াসহ সবকিছুর দাম বাড়লেও বাড়েনি শ্রমিকদের মজুরি। তাই কোন বিলম্ব ছাড়াই মজুরি বৃদ্ধি এখন সময়ের দাবি।

এছাড়া বক্তারা ৮দফা দাবি তুলে ধরেন।

দফাগুলে হলো-

>> বিশেষ পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে শ্রম আইনের ১৪০ক ধারা অনুযায়ী গার্মেন্টস সেক্টরে পুনরায় মজুরি হার ঘােষণা দিতে হবে এবং তা ডিসেম্বর ২০২১ হতে কার্যকর করতে হবে।

>> ১ আগস্ট ২০২১ কারখানা খােলার পর যে সকল কারখানা লকডাউনে বন্ধের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ছুটির দিনে অতিরিক্ত কাজ করিয়েছে, সে সকল কারখানার শ্রমিকদেরকে অতিরিক্ত কাজের জন্য ওভারটাইম ভাতা পরিশােধ করতে হবে।

>> যে সকল কারখানা লকডাউনে বন্ধের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শ্রমিকদের মজুরি কর্তন করেছে, সে সকল কারখানা কর্তৃপক্ষকে কর্তনকৃত মজুরির টাকা শ্রমিকদেরকে ফেরত প্রদান করতে হবে।

>> ঈদের ছুটির পর শ্রমিকরা কর্মস্থলে আসতে যে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করেছিল তা পুষিয়ে নিতে প্রত্যেক শ্রমিককে যাতায়াত বাবদ ৩ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

>> করােনাকালীন সময়ে শ্রমিকদেরকে বেতনের ২৫% ঝুঁকি ভাতা হিসেবে পরিশােধ করতে হবে। লকডাউনে শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানাে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের মূল বেতনের ৫০% ঝুঁকি ভাতা পরিশােধ করতে হবে।

২।

>> ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে সকল প্রকার প্রত্যক্ষ ও পরােক্ষ বাঁধা দূর করে রেজিস্ট্রেশন দিতে হবে এবং অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। একাধিক ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশনে বাধা সৃষ্টি করা যাবে না।

>> শ্রম অধিদফতর (ডিওএল) এবং কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরকে (ডাইফে) আরাও সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন তথা দায়ী মালিকদের অন্যায় অনিয়মের বিরুদ্ধে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

>> শ্রম অধিদফতর (ডিওএল) এবং কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর (ডাইফে) নিয়ােজিত সকল কর্মকর্তাকে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে অনিয়ম এবং অবহেলার জন্য জবাবদিহি করতে হবে।

>> শ্রম অধিদফতর (ডিওএল) এবং কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর (ডাইফে) উভয় প্রতিষ্ঠান থেকে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদেরকে প্রত্যাহার করতে হবে।

৩। শ্রম আইন এবং শ্রম বিধিমালা আই.এল.ও কনভেনশন ৮৭ ও ৯৮ অনুযায়ী সংশােধন করতে হবে এবং শ্রম আইন ও বিধিতে অতীতে যুক্ত আইএলও কনভেনশন বিরােধী বিভিন্ন ধারাসহ সকল কালা কানুন বাতিল করতে হবে।

৪।

>> দেশের সকল পােশাক শিল্প অঞ্চলে সরকারি উদ্যোগে শ্রমিকদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা করতে হবে।
>> গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

৫।

>> শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও সামাজিক সুরক্ষার জন্য সােশ্যাল সেইফটি নেট গড়ে তুলতে হবে।
>> এমপ্লয়মেন্ট ইনজুরি ইস্যুরেন্স, আন এমপ্লয়মেন্ট জীবিকা ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।
>> আইএলও কনভেনশন ১২১ অনুযায়ী আহত এবং নিহত শ্রমিকদের জন্য ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে।
>> কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের প্রতি সকল প্রকার জুলুম নির্যাতন বন্ধে আইএলও কনভেনশন ১৯০সহ ১০২ ও ১৮৯ বাংলাদেশ সরকারকে অনুসমর্থন করতে হবে।
>> দ্রুততম সময়ের মধ্যে একযােগে কারখানা পর্যায়ে শ্রমিকদেরকে করােনার টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

৬।

>> শ্রমিক ছাঁটাই, শ্রমিক নির্যাতন ও প্রােডাকশন টার্গেট দিয়ে শ্রমিক হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
>> যে সকল কারখানার মালিক শ্রমিকদের বকেয়া বেতনসহ অন্যান্য পাওনা না দিয়ে পালিয়ে যায়, সে সকল কারখানার শ্রমিকদের পাওনা পরিশােধের দায় বিজিএমইএ/ বিকেএমইএ/ অথবা সরকারকে বহন করতে হবে।

৭।

>> দেশের চারটি বৃহত্তর পােশাক শিল্প অঞ্চল (গাজীপুর, সাভার-অশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম) এলাকায় শ্রমিকদের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এছাড়াও পেশাগত স্বাস্থ্যহানির জন্য ঢাকায় একটি বিশেষায়িত শ্রমজীবী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
>> শ্রমিক/ শ্রমিকদের সন্তানের জন্য লেবার ইনিস্টিটিউট স্কুল/কলেজ/ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করতে হবে।
>> প্রত্যেক কারখানায় ওএইচএস কমিটি এবং অ্যান্টি হেরেসমেন্ট কমিটি গঠন করতে হবে।
>> সরকারি চাকরিজীবী নারীদের মতো পােশাক শিল্পে নিয়োজিত নারী শ্রমিকদেরও মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ (মাস করতে হবে।

৮।

>> পক্ষ অবলম্বনকারী শিল্প পুলিশকে অবিলম্বে বিলুপ্ত করিতে হইবে।
>> কোন কারণে শিল্প এলাকায় শ্রম অসন্তোষ দেখা দিলে নিয়মিত পুলিশকে নিরপেক্ষ আচরণ করতে হবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আইবিসি'র সভাপতি মীর আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুল ইসলাম রাজুসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।

   

টর্নেডোর আঘাতে লন্ডভন্ড শ্যামনগর



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
টর্নেডোর আঘাতে লন্ডভন্ড শ্যামনগর

টর্নেডোর আঘাতে লন্ডভন্ড শ্যামনগর

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে টর্নেডোর আঘাতে শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।

রোববার (১৯ মে) বিকেলে উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের পশ্চিম কৈখালী, পূর্ব কৈখালি ও জয়াখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় বেশ কিছু গাছও উপড়ে পড়ে। তবে কেউ হতাহত হয়নি।

কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম জানান, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে হঠাৎ পাঁচ নদীর মোহনার দিক থেকে প্রচণ্ড বেগে একটি টর্নেডো ধেয়ে আসে। মুহূর্তেই এলাকার শতাধিক টিনশেড ও কাঁচা ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে যায়। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানকে জানানো হয়। এরই মধ্যে উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রভাষক সাঈদ উজ-জামান সাঈদ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস খালেদা আইয়ুব ডলি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রভাষক সাঈদ উজ-জামান সাঈদ জানান, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করা হবে।

;

গাইবান্ধায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
গাইবান্ধায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

গাইবান্ধায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পুকুরের পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (১৯ মে) বিকেলে উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের ডুমুরগাছা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তিন বছর বয়সী শিশু সাদ বাবু ওই গ্রামের হাবিব-মৌসুমী দম্পতির একমাত্র ছেলে।

মৃত্যুর বিষয়টি রাত সাড়ে নয়টার দিকে মোবাইল ফোনে নিশ্চিত করেছেন উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য তহিদুল ইসলাম।

এ সময় স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, শিশুটির মা ঘরের কাজে ব্যস্ত থাকায় খেলতে খেলতে কিছুক্ষণের মধ্যেই নিখোঁজ হয় শিশু সাদ্। পরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে শিশুটির মা নিজেই তাদের বাড়ির পিছনে পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখেন। পরে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথেই মৃত্যু হয়।

;

লোভের ফাঁদে ফেলে গ্রাহকের ২৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ, গ্রেফতার ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর অক্সিজেন এলাকায় একটি ভবনের ৫ম তলায় ‘আস্থা মাল্টিপারপাস সার্ভিস লিমিটেড’ নামে একটি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) অফিস চালু করে কয়েকজন মিলে। সেই এনজিওতে সদস্য হয়ে ঋণ নিতে বিভিন্ন প্রলোভন দেখানো হয় অসহায়-নিরীহ নারীদের। গত ১ মাস ধরে এভাবেই বিভিন্ন প্রলোভনে জামানত ও সঞ্চয়ের নাম করে সদস্যদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয় ২৬ লাখ টাকারও বেশি। পরে ঋণ না পেয়ে ওই অফিসের দুইজনকে আটক করে পুলিশে দিলে বেরিয়ে আসে প্রতারণার ছক।

শনিবার (১৮ মে) বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন অক্সিজেন কুয়াইশ রোড এলাকার তারেক বিল্ডিংয়ের ৫ম তলা থেকে তাদের আটক করে ভুক্তভোগীরা। পরে তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

গ্রেফতারকৃত দুইজন হলেন, মেহেদী হাসান সবুজ (৩৫) এবং মো. জাফরুল হাসান খান (২৮)। এরমধ্যে সবুজ বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জের হাওলাদার বাড়ির হালিম হাওলাদারের ছেলে। বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেডে বন্দর টিলা এলাকায় থাকেন তিনি। আর জাফরুল বাগেরহাট জেলার সরণখোলার চালিতাবুনিয়ার খান বাড়ির মো. আসলাম হোসেন খানের ছেলে। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামীর অক্সিজেন কাঁচাবাজার এলাকায় থাকেন।

পুলিশ জানায়, গত ১৯ এপ্রিল নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন অক্সিজেন কুয়াইশ রোড এলাকায় ‘আস্থা মাল্টিপারপাস সার্ভিস লিমিটেড’ নামে একটি বেসরকারি এনজিওর অফিস খুলে অভিযুক্তরা। গত এক মাস ধরে ওই এলাকার শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে গিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে এনজিও’র সদস্য হওয়ার প্রস্তাব দেয়। একইসঙ্গে তাদের আরো কয়েকজনকে সদস্য করার কথা বলে। পরে সদস্য হওয়ার জন্য ভুক্তভোগীরা অফিসে গেলে অভিযুক্তরা তাদের জানায়, এককালীন ১০ হাজার টাকা সঞ্চয় দিলে সপ্তাহের মধ্যে ১ লাখ টাকা এবং ২০ হাজার সঞ্চয় দিলে ২ লাখ টাকা ঋণ দিবে। এছাড়াও সদস্যদের পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে তাদের চিবিৎসা ভাতাসহ নানান সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। অভিযুক্তদের কথা বিশ্বাস করে ভুক্তভোগীরা প্রত্যেকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে সদস্যপদ নেয়। ভুক্তভোগীরা প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা জামানত দেয়। পরে তাদের একটি সঞ্চয় ও ঋণ পাস বই দেয় অভিযুক্তরা। এসময় অভিযুক্তরা সদস্যদের সঞ্চয় ও ঋণ পাশ বইতে কাজ আছে বলে নিয়ে যায় এবং জানায় ১৮ মে তাদের ঋণ দেওয়া হবে।

সেই প্রেক্ষিতে গতকাল ১৮ মে (শনিবার) সকালে ওই এনজিও অফিসে গেলে তালাবদ্ধ দেখতে পায়। পরে ভুক্তভোগীরা জানতে পারেন, অভিযুক্তরা ঋণ দিবে বলে এ রকম অনেকের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়া ঋণের টাকা না দেওয়ায় মেহেদী হাসান সবুজ এবং মো. জাফরুল হাসান খানকে আটক করে ভুক্তভোগীরা থানায় নিয়ে গেছে। তবে এ ঘটনায় আরো দুই অভিযুক্ত পলাতক রয়েছেন।

পরে এ ঘটনায় বায়েজিদ থানায় ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজন সদস্য তাদের বিরুদ্ধে বায়েজিদ থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ জনের কাছ থেকে সদস্য ফিসহ বিভিন্ন কারণে জামানত হিসাবে টাকা নেয়। পরে আটককৃতদের দেখানো মতে অফিস থেকে ১২৭টি সঞ্চয় ও ঋণ পাশ বই এবং ৫৭৬টি সদস্য আবেদন ফরম জব্দ করা হয়।

বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা বলেন, ‘প্রথমে অসহায়-নিরীহ মানুষের কাছে গিয়ে আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতার প্রলোভনসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কথা জানিয়ে বিশ্বাস অর্জন করতো তারা (অভিযুক্ত)। পরে ঋণ দিবে বলে সদস্যদের কাছ থেকে জামানত নিতো। এভাবে তারা বাদী ও বাদীর পরিচিত সদস্যদের কাছ থেকে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা এবং আরো বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের কাছ থেকে জামানত ও সঞ্চয়ের নামে ২৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল ওই এনজিওর সদস্যদের ঋণ দেওয়ার কথা ছিল। তবে সদস্যরা অফিসে গিয়ে জানতে পারেন তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। পরে সদস্যরা ওই এনজিও’র সঙ্গে জড়িত দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এক সদস্য বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। আরও দুইজন পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

;

ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান চলাচল বন্ধে বিআরটিএ'র জরুরি বিজ্ঞপ্তি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান চলাচল বন্ধে বিআরটিএ'র জরুরি বিজ্ঞপ্তি

ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান চলাচল বন্ধে বিআরটিএ'র জরুরি বিজ্ঞপ্তি

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহাসড়কে ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান চালনা বন্ধ কারণে জরুরি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

রোববার (১৯ মে) বিআরটিএ সদর কার্যালয় থেকে জরুরি এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

ঢাকাসহ মহাসড়কে লাইট ভাঙ্গা, সিট ভাঙ্গা মোটরযান চলাচলের কারণে প্রায়শঃ সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশ বর্তমানে একটি উন্নয়নশীল দেশ। ফলে ঢাকা মহানগরে চলাচলরত গণপরিবহনের সৌন্দর্যের উপর নগরের সৌন্দর্য ও দেশের ভাবমূর্তি অনেকাংশে নির্ভর করে। সড়ক দুর্ঘটনা পরিস্থিতি উন্নতির লক্ষে এ ধরনের ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান চলাচল বন্ধ করা প্রয়োজন।


মোটরযান চালক, যাত্রী, পথচারীসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ১ জুলাই -এর মধ্যে এ ধরনের ত্রুটিপূর্ণ মোটরযানকে ত্রুটিমুক্ত ও দৃষ্টিনন্দন করার জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায়, আগামী ১ জুলাই থেকে ত্রুটিপূর্ণ মোটরযানের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইন এবং বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

;