রাজধানীর সব বাসেই এখন ডিজেলচালিত স্টিকার!

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির পরই বাসের ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনে নামেন মালিকেরা। যার পরিপ্রক্ষিতে শুধু ডিজেলচালিত বাসের ভাড়া ঢাকায় ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়। আর সিএনজিচালিত বাসের ভাড়া আগের মতোই আছে। ডিজেলের দাম বাড়ানোর আগে রাজধানীতে হর হামেশাই দেখা মিলতো সিএনজিচালিত বাসের। কিন্তু, ডিজেলচালিত নাকি সিএনজিচালিত সহজে শনাক্ত করতে স্টিকার লাগানোর পরই রাজধানীতে দেখা মিলছে না সিএনজিচালিত বাসের।

অথচ বাস মালিক সমিতির হিসেব অনুযায়ী রাজধানীতেই ১৩ কোম্পানির ১৯৬টি বাস সিএনজিতে চলছে। কিন্তু রাস্তায় তাদের দেখা মিলছে না। রাজধানীর রাস্তায় প্রতিটি বাসে লাগানো হয়েছে ডিজেলচালিত বাসের স্টিকার। নেওয়া হচ্ছে ইচ্ছেমতো ভাড়া। নিরুপায় সাধারণ যাত্রীরা।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৭ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। এছাড়া বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলে এমনটি জানা গেছে।

রাজধানীর রায়েরবাগ থেকে শাহবাগ এবং শাহবাগ থেকে মোহাম্মদপুর পুরো এলাকা ঘুরে দেখা যায় প্রতিটি বাসে লাগানো হয়েছে ডিজেলচালিত বাসের স্টিকার। রাজধানীতে সিএনজিচালিত বাস থাকলেও একটিও দেখা যায়নি। যাত্রীরা জানায় ভাড়া বৃদ্ধির পর থেকেই একটিও সিএনজিচালিত বাস দেখা যায়নি।

বিজ্ঞাপন
রাজধানীতে দেখা মিলছে না সিএনজিচালিত বাসের

যাত্রী রোমানা বেগম বলেন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, প্রতিদিন রায়েরবাগ থেকে শাহবাগ আসা যাওয়া করি। এই কয়দিনে কোনও গ্যাসে চালিত একটি গাড়ি চোখে পড়েনি। তারা গাড়ির সামনে ডিজেলচালিত স্টিকার লাগিয়েছে। কোনটা তেলে আর কোনটা গ্যাসে চলে আমরাতো বুঝতে পারি না। যেভাবে পারছে ভাড়া নিচ্ছে, এসব তো দেখার কেউ নেই। ভাড়া দুই টাকা বাড়লে এরা পাঁচ টাকা নিচ্ছে। আমরা তো নিরুপায়।

তুরাগ বাসের সুপারভাইজার মোতালেব বলেন, সিএনজিচালিত বাস খুব কম, তেলের গাড়ি বেশি। আর যেগুলো সিএনজিতে চলে সে সব গাড়ি রাস্তায় বের করা হয়নি। সিরিয়াল পড়লে বের হবে। আমরা ভাড়া বেশি নেই না। সরকারের ঠিক করে দেওয়া ভাড়াই নেই। আর পাবলিক কি এমনি এমনি ভাড়া বেশি দেবে নাকি।

শাহবাগের রজনীগন্ধা বাসের চেকার আবুল কালাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, তেলের দাম বাড়ানোয় বাস ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। সরকারই ভাড়া ঠিক করে দিয়েছে। আর ঢাকা শহরে শতকরা নব্বই ভাগ গাড়ি ডিজেলে চলে। সিএনজিচালিত গাড়ি খুব কম, তাই হয়তো বেশি দেখা যাচ্ছে না। তবে গাবতলীর বোরাক, তুরাগের কিছু গাড়ি সিএনজিতে চলে। আমাদের রজনীগন্ধার কোন গাড়ি সিএনজিতে চলে না। আমরা সরকারের দেওয়া চার্ট অনুযায়ী ভাড়া নিতে বলেছি বাসের সুপারভাইজারদের।