টিকেট নিতে মানুষের ঢল, রয়েছে নানা অভিযোগ
একদিকে ছয় বছর পর বাংলাদেশের মাটিতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। অন্যদিকে গত বছরের মার্চের পর এবারই দর্শকের উপস্থিতি থাকবে মাঠে। টিকেট কিনার জন্য দর্শকের রয়েছে ভিড় আর অভিযোগও রয়েছে অনেক।
বৃহস্পতিবার(১৮ নভেম্বর)শহীদ সোহরাওয়ার্দী মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে এসে এমন চিত্র দেখা যায়। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে বিসিবির নির্দিষ্ট বুথ থেকে টিকেট বিক্রি হচ্ছে। দেখা যায়, পুরষের দু' সারি এবং নারীদের জন্য এক সারিসহ মোট তিন সারিতেই বিক্রি হচ্ছে ক্রিকেট।
এদিকে টিকেক কিনতে আসা রাফি বলেন, সেই সকাল ৮ টায় আসছি, ১১টার দিকে টিকেট নিতে পেরেছি। এই দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার কষ্ট লাঘব হয়েছে টিকেট হাতে পাওয়ার পর। আরও আনন্দিত হবো আগামীকাল জিতার মধ্য দিয়ে।
টিকেট নিতে আসা একজন নারী ক্রিকেটপ্রেমী বলেন, আমি বাংলাদেশের সব খেলায় দেখি। গত টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপকে বাংলাদেশের জন্য একটা এক্সিডেন্ট মনে করে এবার ভালো খেললেই আমরা খুশি। আর সরসারি খেলা দেখতে পারবো এটাই আমাদের জন্য অন্যরকম আনন্দ।
এদিকে বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে দর্শকের ঢল। টিকেট বিক্রিতেও দেখা যাচ্ছে পরিবর্তন। বিক্রি হয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে স্লো। অনেককে দেখা যায় বাহিরে টিকেট বিক্রি করতেছে। যে টিকেট ১০০ টাকা তা কিনতে হচ্ছে ২০০ টাকা দিয়ে।
তেমনি একজন ভুক্তভোগী আসাদ বলেন,আমি আসছি প্রায় ঘণ্টাখানেক হয়। লাইনে দাঁড়িয়েও দেখি টানতেছে না তেমন। একজন এসে বলল টিকেট লাগবে কিনা? পরে ওনার কাছ থেকে ১০০ টাকার টিকেট ২১০ টাকা দিয়ে নিয়েছি।
এছাড়া অভিযোগ উঠেছে বুথে বিক্রি করা টিকেট নিয়েও। বেলা আর মানুষ বাড়ার সাথে সাথে স্লো করে দিয়ে তারা নতুন মূল্য সংযোগ করেছে বলে অভিযোগ।
একজন শিক্ষার্থী টিকেট দেখিয় বলেন, এই টিকেট বিসিবি নির্ধারিত মূল্য ১৫০ টাকা হলেও নতুন করে ওরা মূল্য সংযোগ করেছে ৩'শ টাকা। সকালে যেভাবে বিক্রি করেছে এখন খুব স্লো। উদ্দেশ্য এরা পরে এর দাম বাড়িয়ে বিক্রি করবে অন্যদের মাধ্যমে।
দীর্ঘক্ষণ টিকেট বিক্রি না করাতে এখানে শিক্ষার্থীদেরও দেখা যায় বিক্ষোভের আওয়াজ। দালাল দালাল বলেও স্লোগান দিচ্ছেন অনেকে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, আমাদের হয়রানি আর টিকেটের মূল্য বাড়ানোর জন্য এমন চতুরতা করছেন কর্তৃপক্ষ।
এদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন সুজন জানিয়েছেন, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬ পর্যন্ত চলবে টিকেট বিক্রি।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দীর্ঘদিন সরাসরি খেলা না দেখতে পারলেও এখনও বিসিবির রয়েছে নির্ধারিত নীতিমালা। এবার ধারণক্ষমতার ৫০ শতাংশ দর্শক থাকবে মাঠে। থাকতে হবে করোনাভাইরাসের টিকার সনদ।
এছাড়া অন্যান্যবারের মতো এবার অনলাইনে টিকেট কেনার সুযোগ থাকছে না। আগ্রহী সমর্থকদের টিকেট কিনতে হচ্ছে সশরীরে। অপরদিকে বিসিবির দেয়া টিকেটের সর্বনিম্ন মূল্য ১০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা। গ্র্যান্ডস্ট্যান্ড ১০০০ টাকা, ভিআইপি স্ট্যান্ড ৫০০ টাকা, শহীদ মুশতাক ও জুয়েল স্ট্যান্ড ৩০০ টাকা, নর্থার্ন ও সাউদার্ন স্ট্যান্ডের টিকিটের মূল্য ১৫০ টাকা এবং ইস্টার্ন স্ট্যান্ডের টিকিটের মূল্য ১০০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছেন আগেই।
উল্লেখ্য যে, আগামীকাল থেকে শুরু হওয়া তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ শেষে ডিসেম্বরের শেষদিকেই শুরু হবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ।