শিক্ষক সংকট চরমে, তবুও নিয়োগে অবহেলা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

দেশে বর্তমানে শিক্ষক সংকট চরমে হলেও নিয়োগে চলছে অবহেলা। যার কারণে বেকার হয়ে আছেন অনেক নিয়োগ বঞ্চিতরা।

মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক প্যানেল প্রত্যাশী-২০১৮’ কেন্দ্রীয় কমিটির মানববন্ধনে এমন মন্তব্য করেন আগত বক্তারা।

বিজ্ঞাপন

বক্তারা বলেন, বিগত বিশ বছরের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের নিয়োগে দেখা যায়, নানান জটিলতার কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রতিবছর সময়মত শিক্ষক নিয়োগ সম্ভব হচ্ছে না। যার ফলে শিশুদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, শিক্ষার মূল ভিত্তি দুর্বল হচ্ছে।

মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে মো.আব্দুল কাদের বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা হলাে একটি দেশের শিক্ষার মূল ভিত্তি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অদৃশ্য জটিলতার কারণে আমরা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়ােগ ২০১৮ এর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও নিয়োগ বঞ্চিত। নিয়ােগ বাণিজ্য ও নিয়ােগের দীর্ঘসূত্রিতা যার অন্যতম প্রধান কারণ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ২৪ লাখ পরীক্ষার্থীর মধ্যে আমরা মাত্র ৫৫ হাজার ২৯৫ জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই যা মােট অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীর মাত্র ২.৩ শতাংশ। এদের মধ্যে ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে চূড়ান্তভাবে সুপারিশ করা হয়েছে যা মােট পরীক্ষার্থীর মাত্র ০.৫৬ শতাংশের মধ্যে থেকেও ৩৫০০ এর অধিক কর্মস্থলে যােগদান করেননি।

মানববন্ধনে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক প্যানেল প্রত্যাশী-২০১৮ এর সাধারণ সম্পাদক বলেন, করােনায় প্রাথমিক শিক্ষায় শিশুদের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে দিতে দ্রুত শিক্ষক সংকট দূরীকরণের জন্য প্যানেল বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের নিয়ােগের ক্ষেত্রে ব্যাংক নিয়ােগের মতাে প্যানেল পদ্ধতি চালু করার দাবি জানান তিনি।

এছাড়া বিভিন্ন জেলা থেকে আগত বক্তারা বলেন, সেশনজটের কবলে পড়ে আমরা যারা মূল্যবান বয়স হারিয়ে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছি তারা নিয়মিত বিজ্ঞপ্তি হতে বঞ্চিত হয়েছি! কেন সংবিধানে উল্লেখিত আইনের সাম্যতা পাবাে না বলে জানতে চান তারা।

বক্তারা বলেন, দেশে শূন্যপদের ভিত্তিতে প্যানেলে নিয়ােগ বিসিএস, ব্যাংক-বিমা, স্বাস্থ্য খাতসহ আরাও অনেক সেক্টরে চালু আছে। প্রাথমিকেও এই নিয়োগ পদ্ধতি চালু করতে হবে।

করােনাকালীন সময়ে ২০১৭ সালের ভাইভায় উত্তীর্ণ অপেক্ষমান তালিকা হতে ৫০৫৪ জন নার্স ও ৩৯তম বিসিএস হতে ২০০০ জন নন ক্যাডার ডাক্তারকে ভাইভা ছাড়া মিডওয়াইফ নিয়োগ দিলেও বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা ২৪ লাখের মধ্যে লিখিত ও মৌখিকে পরীক্ষিত হয়েও আমরা বঞ্চিত রয়েছি বলে জানান তারা।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সহ সভাপাতি ইমরান হোসেন, ঠাকুরগাঁ জেলা সভাপতি ফজলুল হক, রংপর বিভাগের সমন্বয়ক বিপ্লব, কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক তানিয়া তাসনিমসহ আরও অনেকে।