গাইবান্ধায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সিপিবির ৫ নেতার জামিন
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা সভাপতি মিহির ঘোষসহ জেলা সিপিবির পাঁচ নেতাকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৬ জানুয়ারি) গাইবান্ধা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আশিকুল খবির তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। তবে জামিন অযোগ্য ধারায় অভিযুক্ত হওয়ায় সদর উপজেলা সিপিবি সভাপতি ছাদেকুল ইসলাম মাস্টারের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
জামিন পাওয়া নেতারা হলেন- সিপিবি কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলা সভাপতি মিহির ঘোষ, পার্টির উপজেলা নেতা জাহাঙ্গীর আলম মন্ডল, দক্ষিণ গিদারীর পার্টি সদস্য আনিছুর রহমান, উত্তর গিদারীর পার্টি সদস্য নবাব আলী এবং বাদশা মিয়া।
বুধবার দুপুরে তাদের পক্ষে আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে গাইবান্ধা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু জানান, বিচারক উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। তবে দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সিপিবি প্রার্থী ও সদর উপজেলা সিপিবি সভাপতি ছাদেকুল ইসলাম মাস্টারের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় অভিযোগ থাকায় তার জামিন নামঞ্জুর করেন।
এরআগে গত ১৯ জানুয়ারি (বুধবার) রংপুর বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক ডক্টর আব্দুল মজিদের আদালত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া অপর এক মামলায় মিহির ঘোষসহ গাইবান্ধার ছয় সিপিবি নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ওই মামলায় সিপিবি নেতাকর্মীরা কারাভোগ করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের কাউন্সিল বাজারে দক্ষিণ গিদারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগণনাকালে সহিংসতার ঘটনায় একিট রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করেন গিদারী ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ ইদু। একই ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপর একটি মামলা করেন গিদারী ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা আতাউর রহমান। এ দুই মামলায় উল্লিখিত ছয়জনসহ ৬৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩০০ জনকে আসামি করা হয়।
পরে আসামিরা হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করতে গেলে আদালত তাদের ছয় সপ্তাহ সময় দিয়ে রংপুর সাইবার ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার নির্দেশনা দেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ১৯ জানুয়ারি (বুধবার) আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আসামি সিপিবি নেতা মিহির ঘোষসহ ছয়জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।