চট্টগ্রামে সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটু পানি, দীর্ঘ যানজটে ভোগান্তি
চট্টগ্রামে এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে হাঁটু পানিতে তলিয়ে গেছে শহরের শুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো। পানির কারণে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজট। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে শুরু হওয়া টানা এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন স্থানে।
বিকেল ৫টার দিকে ঘুরে দেখা যায়, শহরের দুই নাম্বার গেইট, মুরাদপুর, হামজারবাগ, মুহাম্মদপুর, শোলকবহর, বহদ্দারহাট ও চকবাজারসহ বিভিন্ন স্থান পানিতে তলিয়ে গেছে। এমন কি শহরে প্রতিটি নালা বা ড্রেনের ওপর দিয়েও পানি প্রবাহিত হতে দেখা গেছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৬.১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
সহকারী আবহাওয়াবিদ মেঘনাদ তঞ্চঙ্গ্যা বার্তা২৪'কে বলেন, গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৮৬.১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এটা ভারি বৃষ্টিপাত, বর্ষার মৌসুম শুরু হওয়ায় এটা স্বাভাবিক বলা চলে। এখন থেকে থেমে থেমে এমন বর্ষণ চলতে থাকবে।
এদিকে পানির কারণে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দীর্ঘ যানজট লেগে থাকতে দেখা যায় দুই নাম্বার গেইট হতে বহদ্দারহাট সড়ক পর্যন্ত।
এছাড়া শোলকবহর থেকে বহদ্দারহাট কাঁচা বাজার পর্যন্ত ২-৩ ফুট পানি থাকার কারণে বেশ কিছুক্ষণ সব ধরণের যান চলাচল বন্ধ ছিল।
মুরাদপুর এলাকার ভ্যানে ফল বিক্রতা সেলিম বলেন, ‘ব্যাঙে মুতে (প্রস্রাব) দিলেও এদিকে পানি ওঠে যায়। এক ঘণ্টার মতো বৃষ্টি হয়েছে মনে হয়। বেচাকেনাও হয় না।’
বহদ্দারহাট থেকে জিইসি অফিসে যাবেন মোরশেদ, পানির জন্য একঘণ্টা বসে থেকে পরে হেঁটে মুরাদপুর এসে গাড়ি ওঠতে হয় তাকে।
পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থায় বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা থাকায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা। তাঁদের দাবি, যে সব জায়গাতে জলাবদ্ধতা হচ্ছে সেখানের খাল ও নালা-নর্দমা নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে না। এগুলো ভরাট হয়ে গেছে। পানি নামার পরিবর্তে উল্টো এলাকায় ঢুকে পড়ে। ফলে সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাঘাটে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। জোয়ার হলে ভোগান্তি চরমে ওঠে।