এক বছরে টাকার মূল্য ১২ শতাংশের বেশি কমেছে
আমদানি মূল্য বৃদ্ধি এবং রেমিট্যান্স প্রবাহ কমায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে মার্কিন ডলারের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে। তবুও কমছে না ডলারের তেজি ভাব, কাটছে না সংকট।
ডলারের বাজারে অস্থিরতা চলছে গত কয়েক মাস ধরেই। ফলে টাকার বিপরীতে এর দাম বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এখন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ৯৫ টাকা দরে ডলার বিক্রি করছে। গত বছরের জুলাইয়ে প্রতি ডলারের বিপরীতে বিনিময় হার ছিল ৮৪ টাকা ৮০ পয়সা। অর্থাৎ এক বছরে টাকার মূল্য ১২ শতাংশের বেশি কমেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ বেড়ে যাওয়া, এলএনজি আমদানির দেনা পরিশোধ, রফতানি আয়ের চেয়ে আমদানি ব্যয় মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি এবং দেশ থেকে টাকা পাচারসহ নানা কারণে বাজারে ডলারের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে ডলারের দাম বেড়ে যাচ্ছে। ডলারের দাম বাড়ায় আমদানি ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। ফলে ভোগ্যপণ্য, জ্বালানি তেল, শিল্পের কাঁচামালসহ সব আমদানি পণ্যের ব্যয় বাড়ছে। এতে মূল্যস্ফীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে সরকার ডলারের লাগাম টেনে ধরতে বিলাসী পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করা এবং সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়াসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। তবুও পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটছে ডলারের মূল্য।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ডলারের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত রিজার্ভ থেকে ১৫০ কোটি (দেড় বিলিয়ন) ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি ও প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স কমে যাওয়ায় দেশে ডলারের তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে। এ জন্য প্রতিনিয়ত বাড়ছে ডলারের দাম। এতে রিজার্ভ থেকে ডলার ছেড়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবুও প্রতিনিয়ত দামও বাড়াচ্ছে। এর পরও সংকট কাটছে না।