পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অতিকথনে ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের মানুষ বেহেশতে আছে বক্তব্য দেওয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে যা যা করা দরকার, তা করতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছি। এমন বক্তব্যে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রে এখন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একের পর এক বেফাঁস মন্তব্যে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে সরকার। তার অতিকথনে ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগও। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা বলার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা উচিত। না হলে এসব কথায় মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাবে।

তারা আরও বলেন, একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্য দেওয়ার এখতিয়ার নেই। এসব কথা বলে শুধু সরকার নয়, জনগণকেও বিব্রত করেছেন তিনি। তাদের মতে, একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের সরকার টিকিয়ে রাখে জনগণ। এতে অন্য কোনো দেশের কিছু করার সুযোগ নেই। তাই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ ধরনের বক্তব্য লজ্জাজনক। কথা বলার ক্ষেত্রে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আরও সতর্ক থাকা উচিত।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতকে অনুরোধ আওয়ামী লীগ করে না, করেনি। শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষ থেকেও কাউকে এমন দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। যিনি (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) এ কথা বলেছেন, সেটা তার ব্যক্তিগত অভিমত হতে পারে। সেটা আমাদের সরকারের বক্তব্য না, দলেরও না।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ভারত আমাদের সঙ্গে বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ। ভারত আমাদের দুঃসময়ের বন্ধু। ’৭১-এ রক্তের বন্ধনে আমরা আবদ্ধ। তাই বলে আমরা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতকে অনুরোধ করব—এ ধরনের কোনো অনুরোধ আওয়ামী লীগ করে না, করেনি। শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষ থেকেও কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। আমাদের সমর্থন, ক্ষমতার উৎস বাংলাদেশের জনগণ।

যিনি এ কথা বলেছেন, সেটা তার ব্যক্তিগত অভিমত হতে পারে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এটা আমি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই। এতে ভারতও লজ্জা পায়। কীভাবে আমরা এ কথা বলি? বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কটা ভালো আছে। অহেতুক কথা বলে এটা (বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক) নষ্ট করবেন না।

আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বেফাঁস মন্তব্যে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হতে পারে। কারণ, তার দেশের সরকার টিকিয়ে রাখছে অন্য দেশের সরকার। এতে তারা (জনগণ) মনে করতে পারে তাদের ভোটের দাম নেই। তার (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) এই বক্তব্য ঠিক হয়নি।

সাধারণ জনগণ বলছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা দেশের জন্য সম্মানজনক নয়। গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে আরও দায়িত্বশীল কথা বলা উচিত।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বক্তব্য নিয়ে চলছে তীব্র সমালোচনা। তারা বলছেন, আমাদের দেশ কারা চালাচ্ছে.? একটি দেশ ধ্বংস হওয়ার জন্য জঘন্য রাজা, ঘুমন্ত প্রজা এবং বিক্রিত মন্ত্রীরাই যথেষ্ট!

শামীম মল্লিক নামে একজন লিখেছেন, রাষ্ট্রবিরোধী এবং দেশদ্রোহী বিশ্বাসঘাতকতার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত। কেনো ভারতের সহায়তা চেয়েছে জানার জন্য, প্রয়োজনে বিচার বিভাগীয় তদন্ত সাপেক্ষে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

মতিউর রহমান নামে আরেকজন লিখেছেন, একটি স্বাধীন দেশের মন্ত্রীর বক্তব্য এমন হতে পারে! স্বাধীন দেশের স্বাধীন জনগণের প্রতি আস্থা বা বিশ্বাস নেই। মুজিবের আদর্শের ৩০ লাখ শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করেছে এরা দেশদ্রোহী ।

   

ঈদুল আজহায় মিলতে পারে টানা ৫ দিনের ছুটি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঈদুল আজহায় মিলতে পারে টানা ৫ দিনের ছুটি

ঈদুল আজহায় মিলতে পারে টানা ৫ দিনের ছুটি

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদুল ফিতরের দুই মাস ১০ দিন পর মুসলমানরা ঈদুল আজহা পালন করে থাকেন। সেই হিসেবে ঈদুল আজহা (কোরবানির ঈদ) আগামী জুন মাসের ১৭ তারিখ (সোমবার) হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এতেই টানা পাঁচ দিনের ছুটি পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এর মধ্যে দুই দিন সাপ্তাহিক আর বাকি তিন দিন ঈদের ছুটি।

সরকারি ছুটির তালিকা অনুযায়ী, কোরবানির ঈদের ছুটি শুরু হবে ঈদের আগের দিন অর্থাৎ ১৬ জুন (রোববার) থেকে। যা চলবে ১৮ জুন (মঙ্গলবার) পর্যন্ত। এর আগে ১৪ ও ১৫ জুন (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি। সে হিসাবে মোট পাঁচ দিনের ছুটি মিলছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।

সারা বিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য প্রতি বছর দিনটি পালন করেন। হিজরি বর্ষপঞ্জি হিসাবে জিলহজ মাসের ১০ তারিখ থেকে শুরু করে ১২ তারিখ পর্যন্ত তিন দিন ঈদুল আজহা চলে। হিজরি চন্দ্র বছরের গণনা অনুযায়ী ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার মাঝে ২ মাস ১০ দিনের ব্যবধান থাকে।

এবার ১০ জিলহজ বা কোরবানির ঈদ হতে পারে জুন মাসের ১৬ বা ১৭ তারিখে। সৌদি আরবের চাঁদ দেখা কমিটির ঘোষণা অনুযায়ী জুন মাসের ১৬ তারিখে দেশটিতে কোরবানির ঈদ পালিত হবে।

বাংলাদেশে সাধারণত সৌদি আরব, কাতার, ওমান, আরব আমিরাত এসব দেশের পরের দিন কোরবানির ঈদ পালন করা হয়। সেই হিসাবে বাংলাদেশে কোরবানির ঈদ পালিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে জুন মাসের ১৭ তারিখে। তবে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে তারিখে পরিবর্তন হতে পারে।

উল্লেখ্য, পবিত্র ঈদুল ফিতরে সরকারি চাকরিজীবীরা টানা ৫ দিন ছুটি পেয়েছিলেন।

;

১ টাকা ৪৩ পয়সায় ঢাকায় পৌঁছাবে রাজশাহীর আম



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মাত্র ১ টাকা ৪৩ পয়সায় (প্রতি কেজি) ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনে ঢাকায় যাবে রাজশাহীর বিখ্যাত রসালো আম। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১০ জুন লোকসান মাথায় নিয়েই পঞ্চমবারের মত চালু হবে 'ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন'। এবার ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনটি ঢাকায় যাবে আইকনিক পদ্মা সেতু হয়ে।

ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর থেকে প্রতিদিন বিকেল ৪টায় ছেড়ে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন হয়ে রাত সোয়া ২টায় ঢাকায় পৌঁছাবে। ট্রেনটি চলাচলের সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই শেষে সব প্রস্তুতি নিয়েছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে।

শনিবার (১১ মে) দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম।

রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার দিন বলেছিলাম রেলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হবে। এজন্য সবার সহযোগিতা চাই। চাষি ও ব্যবসায়ীদের কম খরচে আম পরিবহনের সুবিধা দিতে প্রধানমন্ত্রী এই ট্রেন দিয়েছেন।

উদাহরণ টেনে রেলমন্ত্রী বলেন, অনেক সময় এমন হয়েছে যে- কোনো অসুস্থ মানুষের পাশে কেউ না থাকলে সে বাঁচে না। ধরেন রেলওয়েও এখন অসুস্থ। তাই চাষি ও ব্যবসায়ীরা আমাদের পাশে থাকেন। আমরা আপনাদের জন্য সম্ভাব্য সর্বোচ্চ সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করবো।

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, নিরাপদে স্বল্প সময়ে ও স্বল্প খরচে আম পরিবহনের লক্ষ্যে আগামী ১০ জুন চালু হচ্ছে ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন। ২০২০ সালে প্রথম ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন চালু করা হয়। ২০২০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত চার বছর মোট ৩৯ লাখ ৯৫ হাজার ৭৯৮ কেজি আম পরিবহণ করা হয়েছে। এতে সরকারের ৪৬ লাখ ২৯ হাজার ১৪০ টাকা রাজস্ব অর্জিত হয়েছে। তবে অধিক লাভের কথা চিন্তা না করে আমরা আম পরিবহণ ব্যবস্থা আরও নিরাপদ ও সহজ করতে এবং ট্রেনকে জনপ্রিয় করতে চাই। আমরা রাস্তার ওপর চাপ কমাতে চাই। এজন্য যা যা করণীয় তাই আমরা করবো। আমরা চাই কম খরচে রেলের মাধ্যমে এই অঞ্চলের জন্য আম পরিবহন সহজ হোক। কুরিয়ারের বিকল্প হিসেবেই আমরা এটি করতে চাচ্ছি।

এদিকে সেমিনারে জানানো হয়, ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনটিতে মোট ছয়টি লাগেজ ভ্যানের মাধ্যমে ২৮ দশমিক ৮৩ টন আম পরিবহন করা যাবে। তবে এবার ট্রেন যাবে পদ্মা সেতু হয়ে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর স্টেশন থেকে প্রতিদিন বিকেল ৪টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে এই ট্রেন। যাত্রা পথে রহনপুর স্টেশন থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, আব্দুলপুর, ঈশ্বরদী, পোড়াদহ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও ভাঙ্গা স্টেশনসহ মোট ১৫টি স্টেশনে যাত্রাবিরতি দেবে। আর ঢাকায় পৌঁছাবে রাত ২টা ১৫ মিনিটে।

রাজশাহী থেকে ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনটিতে রাজধানী ঢাকা পর্যন্ত প্রতি কেজি আম পরিবহণে ভাড়া লাগবে ১ টাকা ৪৩ পয়সা। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে লাগবে ১ টাকা ৪৭ পয়সা, পোড়াদহ থেকে ১ টাকা ১৯ পয়সা, রাজবাড়ী থেকে ১ টাকা ৭ পয়সা, ফরিদপুর থেকে ১ টাকা ১ পয়সা এবং ভাঙ্গা থেকে পড়বে ৯৮ পয়সা।

সেমিনারে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ২০২০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনে ৩৯ লাখ ৯৫ হাজার ৭৯৮ কেজি আম পরিবহণ করা হয়েছে। ট্রেন ভাড়া পেয়েছে ৪৬ লাখ ২৯ হাজার ১৪০ টাকা।

আর চার বছরে ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহী হয়ে ঢাকায় যাতায়াতে তেলই খরচ হয়েছে ৯২ লাখ ৯১ হাজার টাকা। ফলে কয়েক বছরে ট্রেনের লোকসান হয়েছে ৪৬ লাখ ৬১ হাজার ৮৬০ টাকা। এরপরও জনস্বার্থ বিবেচনায় তারা লাভের আশা না করে ট্রেনটি চালাবেন।

এই ব্যাপারে সেমিনারে উপস্থিত আম ব্যবসায়ী ও চাষিরা তাদের নিজস্ব বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, ট্রেনে করে আম চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকায় পাঠাতে খুব কম খরচ হলেও বারবার ওঠানামা করার কারণে ঝামেলা বেশি হয়। গ্রাহক পর্যায়ে ডেলিভারিতেও সমস্যা হয়। এতে অনেক আম প্রায় সময় নষ্টও হয়। তাই সড়কপথ ও কুরিয়ার সার্ভিসকেই বেছে নেন অধিকাংশ ব্যবসায়ী।

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন , রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও রেলওয়ে মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, নাটোরের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সর্দার শাহাদত আলী, রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মো. মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদারসহ রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসক, রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা।

;

যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত আছি: নানক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি জামায়াতের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।

শনিবার (১১ মে) মোহাম্মদপুরের গজনবী রোডে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও সমাবেশের বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপি জামায়াত অপশক্তি দীর্ঘ দশ বছর পর্যন্ত শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টি করেছে। ধ্বংসের পথ বেছে নিয়েছে। তারিখের পর তারিখ দিয়েও সরকারকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি বিএনপি-জামায়াত।

এসময় তিনি জেনেভা ক্যাম্পের বাসিন্দাদের স্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করার যে প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন তা শীঘ্রই বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান।

এছাড়াও গাবতলী থেকে বুড়িগঙ্গা পর্যন্ত বেড়িবাঁধকে ফোর লেন করার প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম বলেছেন, বিএনপি নামক দলটি ভারত জুজুর ভয় দেখাচ্ছে, ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে যখন এগিয়ে যাচ্ছি তখন তারা দেশে অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি করতে চায়। নির্বাচনে তারা বিশ্বাস করে না, পেছনের দরজা দিয়ে আসতে চায়। নির্বাচনের একমাত্র মাধ্যম নির্বাচন, সে জন্য ৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে। এছাড়া আর কোনোভাবে ক্ষমতায় আসার সুযোগ নেই। তারেক রহমান যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের নেতৃত্বে আছে তারা ততদিন বিরোধী দলেও আসতে পারবে না। তাই আমার আহবান, তার নেতৃত্ব পরিহার করে নির্বাচনের পথে আসুন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, তাদের অজুহাত ভারত সরকার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়েছে, তাদের পণ্য বর্জন করতে হবে। তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা যাবে না। মুক্তিযুদ্ধে যারা আমাদের এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিল, খাবার দিল তাদের বর্জন করে অর্জন করব কাকে? ভারতকে বর্জন করে যদি পাকিস্তানকে অর্জন করতে চান তাহলে মনে রাখবেন সাড়ে তিন হাত বাঁশের লাঠি নিয়ে ওদের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ করব।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লায়লী প্রমুখ।

;

ফলাফল শিট ঘষামাজা, ভোট পুনঃ:গণনার দাবি প্রার্থীর



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সদ্য অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁও হরিপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানিয়েছেন হাঁস প্রতীকের পরাজিত উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোছা. মোকাররমা চৌধুরী (বাবলী)।

শনিবার (১১ মে) দুপুরে হরিপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

ভোট শেষে ফলাফল শিটে পোলিং এজেন্টের স্বাক্ষর না নেওয়া, অধিকাংশ ফলাফল শিটে ঘষামাজা ও কারচুপিসহ সুকৌশলে পরাজিত করা হয়েছে উল্লেখ করে নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের দাবি জানান তিনি।

মোকাররমা চৌধুরী বলেন, সকাল থেকে আমার কর্মী-সমর্থক ও ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা প্রদান করেন কলস প্রতীকের প্রার্থীর কর্মীরা। নানাভাবে বিশৃঙ্খলা তৈরি করার চেষ্টা সত্ত্বেও ভোটাররা ভোট দিয়েছেন। ভোট গ্রহণ শেষে ভোট গণনা শুরু হলে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্ট ও কর্মীগণ প্রিজাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারগণের যোগসাজশে হাঁস প্রতীকের ভোট কলসের বান্ডিলে বেঁধে গণনা করার চেষ্টা করে। আমার এজেন্টের আপত্তির মুখে সঠিকভাবে ভোট গোছানোর পর গণনা করা হয়। এতে কেন্দ্র সমূহে আমি জয়লাভ করেছি বলে গণনায় প্রকাশ পায়। পরবর্তীতে আমার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে অব্যবহৃত ব্যালেটে নতুন করে সিল মেরে এবং হাঁস প্রতীকের ভোট আমার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী কলস প্রতীকের পক্ষে ও কলস প্রতীকের ভোট আমার হাঁস প্রতীকের পক্ষে দেখানো হয়। এমন অন্যায় ও অনধিকারে ভোটের ফলাফল পরিবর্তন করে আমাকে পরাজিত করা হয়। এই ঘটনা ইতিমধ্যে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বেসরকারী ফলাফলে দেখা যায় পুরো উপজেলায় ৪৭৪৪টি ভোট বাতিল দেখানো হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং অযোক্তিক। এই বাতিলকৃত ভোটগুলোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র সমূহে আমার দায়িত্বপ্রাপ্ত এজেন্টগণ প্রিজাইডিং অফিসারগণের নিকট আপত্তি করেন কিন্তু প্রিজাইডিং অফিসারগণ তা কর্ণপাত করেননি।

এ সময় ঠাকুরগাঁও জার্নালিস্ট ক্লাবের সভাপতি রেজাউল প্রধান, হরিপুর উপজেলা ও রাণীশংকৈল উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতিসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও ভোটে দায়িত্বরত প্রার্থীর পোলি এজেন্ট ও কর্মী সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।

;