বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার পীঠস্থান: হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর
জাতীয়
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের অষ্টমীতে নগরের বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর।
সোমবার (৩ অক্টোবর) রাতে অষ্টমী পূজায় নগরের এনায়েত বাজার কেদার নাথ তেওয়ারী কলোনী দূর্গা পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
এসময় তিনি বলেন, যুগ যুগ ধরে চিরায়ত বাংলা সর্বজনীন বোধে অসাম্প্রদায়িক চেতনার পীঠস্থান। ধর্মীয় ভেদ বুদ্ধিতে এই দেশ স্বাধীন হয়নি। বঙ্গবন্ধু এই দেশ স্বাধীন করেছেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার ভিত্তিতে। যার ধারাবাহিক রক্ষা করে যাচ্ছে বঙ্গকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর পরশে বাংলাদেশ এখন সুসজ্জিত একটি দেশ। ধর্মীয় ভাবধারায় যার যার ধর্ম সেই নির্বিঘ্নে পালন করে যাচ্ছে শেখ হাসিনার বদৌলতে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মহাদেব ঘোষ, বিপু ঘোষ বিলু, শিবু প্রসাদ চৌধুরী,সুজিত ঘোষ, দিপু নাথ, রতন ঘোষ, মোরশেদ আলম, মোঃ ফরিদ, দেলোয়ার হোসেন ও সনাতন ধর্ম সংসদ এর উত্তম দে, প্রকাশ ষোষ, অজিত ভট্টাচায.অরুন দে,বিপ্লব দে, টুটুল মজুমদার, পিন্টু প্রসাদ, রাহল ভট্টাচার্য, সৌরভ চৌধুরী বাহাদুর প্রমুখ।
ছেলের ছাগলকাণ্ডে সমালোচিত এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজের হেফাজত থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি শর্টগান ও ২৪ রাউন্ড গুলি। অস্ত্র ও গুলির বৈধ কাগজ দেখাতে না পারায় এই দম্পতির বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনেও মামলা করবে পুলিশ।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক।
এর আগে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ভোরে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী লায়লা কানিজকে। পরে তাদেরকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়।
এ বিষয়ে ডিবিপ্রধান জানান, মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে তাকে নজরদারিতে রাখছিলাম। সর্বশেষ মঙ্গলবার ভোরে সস্ত্রীক তাকে গ্রেফতার করি।
তিনি আরও বলেন, মতিউরের বাড়ি থেকে পাওয়া শর্টগান ও ২৪ রাউন্ড গুলি ২০২১ সালের পর রিনিউ করা হয়নি। আবার সরকারের আদেশে সবাই অস্ত্র জমা দিলেও তিনি তা থানায় জমা দেননি। দুদকের মামলায় তাদের আদালতে পাঠানো হবে এবং অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের ঘটনায় অস্ত্র আইনে মামলা করবে।
রিমান্ডের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, এটা নিয়ে ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।
এদিকে এনবিআরের সাবেক এই কর্মকর্তা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুদকে সাতটির বেশি মামলা রয়েছে। যাতে দুই স্ত্রী ও সন্তানদের আসামি করা হয়েছে। এনবিআরে থাকাকালে শত শত কোটি টাকার মালিক বনে যান মতিউর।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে নয় জন কৃষক স্থানীয় কৃষি বিভাগের সঙ্গে পরামর্শক্রমে ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন শুরু করেছেন। তারা এসব উৎপাদিত সার নিজেদের জমিতে ব্যবহার করে বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করছেন।
রাসায়নিক সারের ব্যবহার ছেড়ে ভার্মি কম্পোস্ট কেঁচো সারের দিকে ঝুঁকছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের কৃষকেরা। রাসায়নিক সারের ক্ষতিকারক দিক বিবেচনা করে কৃষকরা এখন ব্যাপক হারে ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহার শুরু করেছেন। ফলে স্থানীয় কৃষি অফিসের সহায়তায় ৮টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে শুরু হয়েছে ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সারের উৎপাদন।
জানা গেছে, জমিতে অতিমাত্রায় বালাইনাশক, আগাছা নাশক, কৃত্রিম রাসায়নিক সার ব্যবহার করায় দিন দিন মাটির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হয়ে জৈব পদার্থের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। তাই ভূমিকা রাখছে কেঁচো সার। বালাই নাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবহারে বিনষ্ট মাটির উর্বরতা শক্তি ফিরিয়ে আনতে সক্ষম এই ভার্মি কম্পোস্ট।
সরেজমিনে দেখা যায়, গোমস্তাপুর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের ভার্মি কম্পোস্ট (কেঁচো) সার তৈরির উদ্যোক্তা কৃষক মো. সুমন আলী, তার নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় ছায়াযুক্ত স্থানে স্থানীয় কৃষি অফিসের আর্থিক সহায়তায় চৌগাছা স্থাপন করেছে। এতে পুরোনো গোবর আর কেঁচো দিয়ে রিংগুলো ঢেকে রেখেছেন। প্রতিটি চৌগাছায় দুই থেকে আড়াই হাজার কেঁচো রয়েছে। প্রথমে ৪০ থেকে ৪৫ দিন পর চৌগাছা থেকে ৩৫০০ কেজি ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরি হয়।
গোমস্তাপুর ইউনিয়নের কৃষক আনোয়ার হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি সবজিসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদনে কেঁচো কম্পোট সার প্রয়োগে খরচ হয় মাত্র আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত। কিন্তু রাসায়নিক সার ব্যবহারে সেই ফলন পেতে চাষিদের গুনতে হয় তিন থেকে চার গুন টাকা।অন্যদিকে এ সার তৈরিতে তেমন খরচ না হওয়ায় আমরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছি।
পার্বতীপুর ইউনিয়নের আরেক কৃষক ফাইজুদ্দিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমার উৎপাদিত কম্পোস্ট সার আমি আমার জমিতে ব্যবহার করি। ব্যবহার করার পরে আমি বাণিজ্যিকভাবে বাজারে বিক্রি করি। উৎপাদিত কম্পোস্ট সার ১৪-১৫ টাকা দরে নিজের চাহিদা মিটিয়ে উপজেলার বিভিন্ন কৃষকদের কাছে বিক্রি করি। এতে আমি আর্থিকভাবে ব্যাপক লাভবান। তাই এই কেঁচো সার বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করেছি।
গোমস্তাপুর ইউনিয়ন কৃষি অফিসের উপসহকারী শেখ মোঃ আল ফুয়াদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, কেঁচো সার ব্যবহারে মাটির জৈবশক্তি বৃদ্ধি পায় ও পিএইচ মান সঠিক মাত্রায় থাকে। এ ছাড়াও মাটির প্রকৃত গুণ রক্ষা করে, মাটির পানির ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে ফসলে পানি সেচ কম লাগে, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, মাটিকে ঝরঝরে করে ও বায়ু চলাচল বৃদ্ধি করে, উদ্ভিদেও শেকড়ের মাধ্যমে শোষণক্রিয়া স্বাভাবিক রাখে, বীজের অঙ্কুরোদগম শক্তি বৃদ্ধি করে ও গাছকে সুস্থ-সবল রাখে, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে এতে কৃষকের চাষ খরচ অনেক কম হয়, ফসলের ফলন বৃদ্ধি ও পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি করে।
গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তানভীর আহমেদ সরকার জানান, জৈব সার প্রদানের জন্য আমরা কাজ করেই যাচ্ছি উঠান বৈঠক, মাঠ দিবসেও কৃষকদেরকে পরামর্শ দিয়ে থাকি। জৈব সারের উপকারিতা ধান, গম, পাটসহ বিভিন্ন শাক-সবজি, ফলবাগানে এ সার ব্যবহার করে ভালো ফলন পাওয়া যায়। আর এর ব্যবহারের ফলে জমির উর্বরতা শক্তি বাড়ে, মাটিতে বায়ু চলাচল বাড়ে। পানির ধারণক্ষমতা বাড়ে ও বিষাক্ততা দূরীভূত হয়। এছাড়া মাছ চাষের ক্ষেত্রে কেঁচো সার প্রয়োগ করে কম খরচে অতি দ্রুত সুস্বাদু মাছ উৎপাদন করে অধিক মুনাফা অর্জন সম্ভব হয়। ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনে তেমন কোন খরচ নেই বললেই চলে। নিজেদের বাড়িতে পালিত গরুর গোবর অথবা সামান্য দামে গোবর কিনে এই সার উৎপাদন করা যায়। গোমস্তাপুর উপজেলা এই সার উৎপাদন করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। এছাড়া ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহারে মাটি স্বাস্থ্যবান হয়। বিষমুক্ত শাক-সবজিসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদনে কেঁচো সার খুবই কার্যকর। একজন কৃষক এই সার একবার ব্যবহার করলে, তিনি নিজের তাগিদে এই সারের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন।
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার টরকী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন নীলখোলা এলাকায় ট্রাকের সঙ্গে বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেলের ধাক্কায় চালক ও আরোহী নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মোটরসাইকেল চালক রিমু খান (২২) গৌরনদী উপজেলার দক্ষিণ রামসিদ্ধি গ্রামের হেদায়েত খানের ছেলে ও শাহজাদা তালুকদার (৬২) কটকস্থল গ্রামের বাসিন্দা।
জানা যায়, মোটরসাইকেলটি ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল চালক রিমু খান ও আরোহী শাহজাদা তালুকদার গুরুতর আহত হন। পরে রিমু খানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আর শাহজাদা তালুকদার বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
বরিশাল গৌরনদী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুর রহমান জানান, দুর্ঘটনার সময় শিমুল-সিফাত-শাহিক পরিবহনের একটি মালবাহী ট্রাক নীলখোলা এলাকায় মহাসড়কের পাশে মাল আনলোড করছিল। এমন সময় দ্রুতগতির মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটির সঙ্গে ধাক্কা খায়। ট্রাকটি ইতোমধ্যেই আটক করা হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বরিশাল গৌরনদী হাইওয়ে পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসন মহাসড়কে বেপরোয়া যান চলাচল বন্ধে সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে মাদক নিয়ন্ত্রণে দ্বন্দে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় আলোচিত ও মোহাম্মদপুর থানার চাঞ্চল্যকর সাগর হত্যা মামলার অন্যতম আসামি মো. আকরাম ওরফে কিলার আকরাম (৪৫) কে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আকরাম জেনেভা ক্যাম্পের চার নম্বর ব্লকের বাসিন্দা আহমেদ হোসেনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্প এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব-২। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-২ এর সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) খান আসিফ তপু।
তিনি জানান, সম্প্রতি মোহাম্মদপুর থানার জেনেভা ক্যাম্পের শীর্ষ মাদক কারবারি চুয়া সেলিম এবং ভূঁইয়া সোহেল গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে শর্টগান হতে সক্রিয়ভাবে প্রতিপক্ষের ওপর কিলার আকরামকে গুলি করতে দেখা যায়। আকরাম বর্তমানে চুয়া সেলিমের পক্ষের হয়ে সোহেল গ্রুপের ওপর হামলা চালায়। ওই ঘটনায় বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত ও সাগর নামের একজন নিহত হয়। সাগর নিহতের ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের হওয়া মামলায় আকরাম অন্যতম আসামি।
এএসপি তপু আরও জানান, আকরামের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের কারবারের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় মাদক, অস্ত্রসহ বিভিন্ন আইনে একাধিক মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।
গ্রেফতারকৃত আকরামকে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া শেষে মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।