দেশে মাদকের অবাধ প্রবেশের সুযোগ নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, দেশে মাদকের অবাধ প্রবেশের সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, সীমান্তে বিজিবিসহ দেশের সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থা মাদকের প্রবেশ ও অব্যবহার রোধ করার জন্য নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। নিয়মিত অভিযান, মোবাইল কোর্ট ও টাস্কফোর্সের অভিযান পূর্বের চেয়েও বৃদ্ধি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সংসদে সরকারি দলের সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর টেবিলে উপস্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত জিরো টলারেন্স, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কঠোর নজরদারি ও মাদকবিরোধী প্রচার-প্রচারণার কারণে মাদকাসক্তি বৃদ্ধি না পেয়ে মাদক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

তিনি বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরসহ সব সংস্থা ২০২১ সালে ৯৩ হাজার ১৯০টি মামলা এবং ২০২২ সালে ১ লাখ ৩২১টি মামলা দায়ের করেছে। এছাড়া ২০২১ সালে ১ লাখ ২২ হাজার ১৫২ জন এবং ২০২২ সালে ১ লাখ ২৪ হাজার ৭৭৫ জন আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে।

২০২২ সালে ৪ কোটি ৫৮ লাখ ৬৮ হাজার ৫৬৯ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, মাদকদ্রব্য অধিদফতর, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবিসহ আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর ব্যাপক কর্মতৎপরতার কারণে মাদক অপরাধীদের গ্রেফতার সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে মাদকদ্রব্য উদ্ধারও বৃদ্ধি পেয়েছে।

সরকারি দলের অপর সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের দিক নির্দেশনায় রাজধানী ঢাকায় মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টিসহ ছিনতাইকারী চক্রের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধ/নির্মূল করতে এবং ঢাকায় নিরাপদ পরিবেশ বজায় রাখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

এতে মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টিসহ বিভিন্ন অপরাধী চক্রের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানান তিনি।

কোটা আন্দোলন

তিন সমন্বয়ককে হেফাজতে নেয়ার কারণ জানাল ডিবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামসহ তিন জনকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সমন্বয়কদের হেফাজতে নেয়ার বিষয়ে মুখ খুলছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

শনিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে হেফাজতে নেয়ার কারণ জানান তিনি।

হারুন অর রশীদ বলেন, প্রধান সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার এই তিন জনকে আমরা গতকাল রাতে নিয়ে এসেছি। আপনারা জাানেন তারা বিভিন্ন জায়গা ফেসবুকে নিরাপত্তাহীনতার কথা বলছিলেন। তাদের একজনের বাবাও নিরাপত্তাহীনতার কথা বিভিন্ন জায়গা বলেছেন। আমরা মনে করি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী হিসেবে কেউ যদি কোথাও নিরাপত্তাহীনতার কথা বলে আমাদের দায়িত্ব তাদের সেইফলি সিকিউরিটি দেয়া। তাই আমরা তাদেরকে সেইফলি সিকিউরিটি দিচ্ছি।

পাশাপাশি আপনারা জানেন নুর এবং আরও কিছু নেতৃবৃন্দকে আমরা রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসা করেছি তারা তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে আমাদের কাছে বলেছেন সমন্বয়কদের সাথে তাদের কথা হয়েছে। তাই অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সাথে তাদের কি কথা হয়েছে এগুলো জানার জন্য আমরা তাদেরকে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করবো। পাশাপাশি আমরা তাদের সেইফলি সিকিউরিটি দিবো।

এর আগে গতকাল শুক্রবার (২৬ জুলাই) হাসপাতালে থাকা নাহিদের স্বজনেরা জানান, বেলা সাড়ে ৩টার দিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে একদল লোক এসে প্রথমে নাহিদকে তুলে নিয়ে যান। পরে আসিফ ও বাকেরকে নিয়ে যান।

উল্লেখ্য, এই তিনজনকে এর আগেও একবার তুলে নেওয়া হয়েছিল। গত ১৯ জুলাই মধ্যরাতে খিলগাঁওয়ের নন্দীপাড়া থেকে নাহিদকে তুলে নেওয়া হয়। পরে ২১ জুলাই ভোরে পূর্বাচল এলাকায় তাকে ফেলে যাওয়া হয়। অপর দুই সমন্বয়ক আসিফ ও বাকেরকেও ১৯ জুলাই তুলে নেওয়া হয়েছিল। পাঁচ দিন পর ২৪ জুলাই আসিফকে হাতিরঝিল ও বাকেরকে ধানমন্ডি এলাকায় ফেলে যাওয়া হয়। এর পর থেকে আসিফও গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাসপাতালে তার সঙ্গে থাকছিলেন বাকের। তারা তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

;

আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুলিশ বাহিনী: ধর্মমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশ বাহিনী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

শনিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির উদ্যোগে আয়োজিত কোটা সংস্কারের নামে বিএনপি-জামায়াত কর্তৃক রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের প্রতিবাদে এক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, ছাত্ররা কোটা সংস্কারের নামে যে আন্দোলন করেছে তাকে আমরা সমর্থন করি। ছাত্ররা যা করেছে ঠিক করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী ছাত্রদের কথা রেখেছেন। ছাত্রদের আন্দোলনে সুযোগ নিয়ে বিএনপি-জামায়াত ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চেয়েছিল। এই আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমাদের পুলিশ বাহিনী। আজকে পুলিশ বাহিনীর অনেক সদস্য হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। পুলিশ সদস্যকে মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, মেট্রোরেলের মাধ্যমে মানুষ খুব অল্প সময়ের মধ্যে আসা-যাওয়া করতে পারতো, সেই মেট্রোরেলে হামলা চালানো হয়েছে। এখন সাধারণ জনগণ যাতায়াত করতে কষ্ট পাচ্ছেন। বাংলাদেশকে অচল করে দেওয়ার জন্য দেশের প্রত্যেকটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তারা (বিএনপি-জামায়াত) হামলা করেছে। ক্ষয়ক্ষতি করার চিন্তা যারা করে ইসলাম তাদেরকে কখনো সমর্থন করে না। যারা দেশজুড়ে এই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।

;

খাগড়াছড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফ কর্মী নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খাগড়াছড়ি
খাগড়াছড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফ কর্মী নিহত

খাগড়াছড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফ কর্মী নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় প্রতিপক্ষের গুলিতে জুনেল চাকমা নামে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) এক কর্মী নিহত হয়েছেন।

শনিবার (২৭ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে দীঘিনালার কবাখালী ইউনিয়নের কাঙ্গারীমা ছড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জুনেল চাকমা দীঘিনালার আমতলী গ্রামের তত্তরঞ্জন চাকমার ছেলে।

হত্যাকাণ্ডের জন্য ইউপিডিএফ জনসংহতি সমিতি এমএন লারমাকে দায়ী করলেও সংগঠনটি তা অস্বীকার করেছে।

ইউপিডিএফ সংগঠক অংগ্য মারমা জানান, শনিবার সকালে দীঘিনালার কাঙ্গারীমা ছড়া এলাকায় মাস্টার ললিত চাকমার বাড়িতে অবস্থান নেয় জুনেল। এ সময় প্রতিপক্ষের অস্ত্রধারীরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।

দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল হক জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে রওনা দিয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের পর বিস্তারিত বলা যাবে।

;

আন্দোলন ঘিরে ১ লাখ নতুন সিম ঢাকায় ঢুকেছে: পলক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে এক লাখ নতুন সিম রাজধানী ঢাকায় ঢুকেছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ডাক ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত কয়েকদিনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি খাতে ক্ষতি প্রায় এক হাজার কোটি টাকা। শুধু টেলিকম খাতেই ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

শিগগরিই মোবাইল ইন্টারনেট খুলে দেওয়া হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামীকাল সকাল ৯টায় আমরা এমটবের সঙ্গে বৈঠক করবো। বৈঠকে সন্তুষ্ট হলে রোব বা সোমবারের মধ্যে মোবাইলের ফোরজি নেটওয়ার্ক খুলে দেওয়া হবে।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ঢাক বিভাগের ১৭টি জায়গায় হামলা হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ জুলাইয়ের মোবাইল অপারেটরদের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকার উত্তরা, রামপুরা, মোহাম্মাদপুর, যাত্রাবাড়ী ও গাজীপুরে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ নতুন সিম কার্ডের আবির্ভাব ঘটে। মহাখালীতে ৩টি ডেটা সেন্টারে ১৮টি আইআইজি’র সিস্টেম রয়েছে। সেখানে থাকা আইএসপি’র ৭০ শতাংশ সার্ভার থাকে। তাই ইন্টারনেট একা একাই বন্ধ হয়েছে। আমরা বন্ধ করিনি।

রেমিটেন্স পাঠানো বন্ধ হলেই যারা সরকার পতন হবে বলে মনে করেন তাদের উদ্দেশ্যে পলক বলেন, এতে তাদের পরিবারই ক্ষতি হবে। এতে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। তাই নিজের ক্ষতি করে অন্যকে ঘায়েল করবেন না। অপপ্রচার চালাবেন না।

ডাক অধিফতরের মহাপরিচালক তরুণ কান্তি সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, ডাক, টেলিযোগাযোগ সচিব ড. মুশফিকুর রহমান, ডাক অধিফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এস এম শাহাব উদ্দিন, বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ, হাইইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিএসএম জাফর উল্লাহম ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার।

;