সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম কেন্দ্রীয় নারী কমিটির স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ ৭১-এর আয়োজনে ২১ মার্চ সন্ধ্যা ৬টায় অফিসার্স ক্লাবে কেন্দ্রীয় নারী কমিটির উদ্যোগে ৫২তম স্বাধীনতা বার্ষিকী উদযাপিত হয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে প্রজ্বলিত রাখা এবং প্রজন্মান্তরে স্বাধীনতার ইতিহাসের চর্চা প্রবহমান রাখার মূলমন্ত্র নিয়ে উদযাপিত হয় এ অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ছিলেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ ৭১ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা, সংস্কৃতিজন ম. হামিদ। সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদ এবং পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টে নিহত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও তাঁর পরিবারবর্গের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় নারী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবা নীরু। যুদ্ধদিনের স্মৃতি আলোচনা করেন রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত লেখক আফরোজা পারভীন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ম. হামিদ বলেন, স্বাধীনতা আমাদের আত্মপরিচয়ের ভিত্তি। তাই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে আরও বেশি চর্চা করা দরকার। এ জন্য তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী নারীদের কথা লিপিবদ্ধ করে ধারাবাহিক গ্রন্থ রচনার জন্য নারী কমিটির প্রতি আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশন করেন বিশিষ্ট আবৃত্তি শিল্পী অধ্যাপক রূপা চক্রবর্তী, সংগীত পরিবেশন করেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী কবি ও প্রাবন্ধিক বুলবুল মহলানবীশ, একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী ডালিয়া নওশিন।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন একাত্তরের মুক্তির গানের শিল্পী মুক্তিযোদ্ধা শারমিন মুরশিদ। সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় নারী কমিটির সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত নৃত্যসারথী সংস্কৃতিজন লায়লা হাসান। তিনি এ মুহূর্তে আমেরিকায় অবস্থানের কারণে অনলাইনে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন এবং কথা বলেন।
আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন যুদ্ধ অপরাধ তদন্তকারী সংস্থার সমন্বয়ক আ. রহিম, মহিলা পরিষদের সহসভাপতি লক্ষ্মী চক্রবর্তী, জনগল্প ৭১এর সম্পাদক নিশাত জাহান রানাসহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা ও সমবেত সংগীত পরিচালনা করেন নারী কমিটির দফতর ও প্রকাশনা সম্পাদক কথাসাহিত্যিক ঝর্না রহমান।