৬১ শতাংশ সেতুর কাজ সম্পন্ন, দেড় কিলোমিটারে বসছে স্প্যান



আরিফুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

প্রমত্তা ও উত্তাল যমুনার বুকে বসানো হয়েছে ভারি ভারি যন্ত্র। তারমাঝেই সারিবদ্ধভাবে নদীতে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে প্রতিটি দৃশ্যমান পিলার। উত্তাল এই যমুনা নদীর ওপর দেশের দ্বিতীয় বৃহতম বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে নির্মাণ করা হচ্ছে আরেকটি বৃহত্তর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু। সেতুকে ঘিরে যমুনার নদীর টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর ও সিরাজগঞ্জের ২ প্রান্তে দিন-রাত বিরতহীনভাবে কাজ করছেন দেশি-বিদেশি শতশত প্রকৌশলী ও নিমার্ণ শ্রমিকরা। দেশের অন্যতম এই বৃহৎ মেগা প্রকল্প বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর কাজ ইতোমধ্যে ৬১ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। দ্রুত গতিতে কাজ চলমান থাকলেও শুকনো মৌসুম থাকায় কাজে ধীরগতি। যার ফলে, কাজ শেষ করতে অতিরিক্ত ৩-৪ মাস বেশি সময় লাগতে পারে বলে প্রকল্প সূত্র থেকে জানা যায়।

এদিকে, ইতিমধ্যে যমুনা নদীর টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর অংশে ৭৫ শতাংশ এবং সিরাজগঞ্জ অংশে ৪৬ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করেছে নির্মাণাধীন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ঢাকা ও উত্তরবঙ্গের ২২টি জেলার সঙ্গে ট্রেন চলাচল সহজ করতে যমুনা নদীর ওপর পৃথক রেল সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে, যা আন্ত:এশিয়া রেল যোগাযোগে মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। ডুয়েলগেজের এ সেতুতে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানো যাবে। তবে, শুরুতে (উদ্বোধনের ১ বছর) সাধারণত ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করবে।

দেখা যায়, যমুনা নদীর ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর কাজ চলছে। শতশত দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী ও নির্মাণ শ্রমিকরা কাজের দায়িত্ব পালন করছেন। কেউ পাইলিংয়ের কাজ করছেন, কেউ স্পেনের কাজ করছেন। আবার কাউকে ঢালাইয়ের কাজ করতে দেখা গেছে। বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর ৫০টির মধ্যে ৩১টি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে এবং ১৬ টি পিলারে ইতিমধ্যে দেড় কিলোমিটারের বেশি স্প্যান বসানো ও ২৬ টি পিলারে স্প্যান বসানোর উপযোগী করা হয়েছে। বাকি পিলারের বিভিন্ন স্তরের ঢালাইয়ের কাজ চলমানসহ অন্যান্য কাজ চলমান রয়েছে। অন্যদিকে, যমুনা নদীতে পানি কম থাকায় সেতু নিমার্ণ কাজে ধীরগতি লক্ষ্য করা যায়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর প্রকল্প পরিচালক (পিডি) আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান জানান, বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ৩৮টি ট্রেন চলাচল করে। নতুন রেল সেতু চালু হলে মালবাহীসহ ৮৮টি ট্রেন চলাচল করার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ট্রেন চলাচলের আন্তঃসংযোগ সৃষ্টি হবে। দ্রুত কাজ শেষ করার লক্ষ্যে সাইটের কর্মীরা রাত-দিন পরিশ্রম করছেন। সেতুর ৫০টি পিলারের মধ্যে ৩১টি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে। এ পর্যন্ত ৬১ শতাংশ কাজ বাস্তবায়িত হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও শুকনো মৌসুম থাকায় কাজে ধীরগতিতে চলছে। এ কারণে আরও অতিরিক্ত ৩-৪ মাস সময়ের প্রয়োজন হতে পারে বলে ধারণা করছি।

প্রকল্প সূত্র থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের নকশা প্রণয়নের পর প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭ হাজার ৪৭ কোটি টাকা। পরে ডিসেম্বরে প্রকল্পে চূড়ান্ত নকশা প্রণয়নসহ বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) দেশের বৃহত্তম এ রেল সেতু নির্মাণে ৭ হাজার ৭২৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ঋণের আশ্বাস দেয়। প্রথম দফা ডিপিপি সংশোধনের পর সেতুর নির্মাণব্যয় ৭ হাজার ৪৭ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকায় দাঁড়ায়।

এরমধ্যে জাইকা ঋণ দেওয়ার কথা ১২ হাজার ১৪৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। যদিও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর প্রকল্পের ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছিল ৮ হাজার ৪৬৪ কোটি ২১ লাখ টাকা। এ হিসাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতুর নির্মাণ ব্যয় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। আইএমইডির প্রতিবেদনে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণ বিশ্লেষণ করে বলা হয়েছে, প্রকল্পের মূল ডিপিপিতে জমি অধিগ্রহণ ও আনুষঙ্গিক খাতে কোনো ব্যয় ধরা ছিল না। তবে, সেতু কর্তৃপক্ষ (বাসেক) জমি ব্যবহারে পরবর্তীতে রেলওয়ে সমঝোতা স্মারক সই করে। এতে ১৮৭ একর জমি স্থায়ীভাবে ব্যবহার ও ২৬৩ একর জমি অস্থায়ীভাবে ব্যবহারে বাসেককে (সেতু কর্তৃপক্ষ) ৩৪৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা দিতে সম্মত হয় বাংলাদেশ রেলওয়ে। এছাড়া মাটির কাজে ১৬৮ কোটি ২০ লাখ টাকা ও রেল ট্র্যাক নির্মাণে ৫৮ কোটি ৫ লাখ টাকা ব্যয় বেড়ে যায়। সম্ভাব্যতা যাচাই ও খসড়া নকশায় সেতুর পিলারের সংখ্যা ৪১টি ধরা হয়েছিল। চূড়ান্ত নকশায় তা বাড়িয়ে ৫০টি করা হয়েছে।

এরপর খসড়া নকশায় পাইলের গভীরতা ২৭ দশমিক ৭৯ মিটার ধরা হয়েছিল। চূড়ান্ত নকশায় গভীরতা বাড়িয়ে ৩৭ মিটার ধরা হয়েছে। খসড়া নকশায় স্প্যানের দৈঘর্য ১২০ মিটার ধরা হয়েছিল। পরে কমিয়ে ১০০ মিটার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে মূল সেতু, রেলওয়ে ট্র্যাক, এমব্যাংকমেন্ট, স্টেশন বিল্ডিং ও সাইট অফিস ইত্যাদি নির্মাণে ৫ হাজার ২১৩ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয় বাড়ে। এর বাইরে সিগনালিং ও টেলিকমিউনিকেশন খাতে ব্যয় বেড়েছে ৩ কোটি ৬ লাখ টাকা। পরিদর্শন বাংলো ও জাদুঘর নির্মাণ প্রকল্পে নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে। এ খাতে ব্যয় হবে ৬৯ কোটি ৭২ লাখ টাকা। তবে পরামর্শক খাতে প্রায় ৯০ কোটি টাকা ব্যয় কমেছে। আনুষঙ্গিক খাতে ব্যয় বেড়েছে ৫৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা, সাধারণ প্রয়োজনীয় খাতে ১ হাজার ৩৩২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা, পরিবেশগত সেফগার্ড খাতে ২২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা আনুষাঙ্গিক খরচ ধরা হয়।

আইএমইডি বলছে, ডিপিপিতে প্রথমে প্রকল্পটি ৯০ মাসের মধ্যে বাস্তবায়নের সময় বেঁধে দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে কাজ শুরু করতে দেরি হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ আরও ২৪ মাস বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ করার নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটাও প্রকল্পের অন্যতম দুর্বল দিক। রেলের সড়ক বাঁধ নির্মাণে যথাযথ ও অনুমোদিত পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়নি। এটাও প্রকল্পের অন্যতম দুর্বল দিক হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।

তথ্যমতে, বঙ্গবন্ধু সেতুর উত্তর পাশে ৩০০ মিটার দূরে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন রেল সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। এজন্য পৃথকভাবে নদী শাসন করতে হচ্ছে না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর উভয় দিকে ৫৮০ মিটার ভায়াডাক্ট (সংযুক্ত উড়ালপথ) থাকবে। যমুনা ইকো পার্কের পাশ দিয়ে এটা বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম অংশের রেলপথের সঙ্গে যুক্ত হবে। এ জন্য ৬ দশমিক ২ কিলোমিটার সংযোগ রেলপথ নির্মাণ করতে হচ্ছে। পাশাপাশি ৩টি স্টেশন বিল্ডিং, ৩ টি প্লাটফর্ম ও শেড, ৩টি লেভেল ক্রসিং গেট ও ৬ টি কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। রেল সেতুর পূর্ব পাশে লুপ লাইনসহ প্রায় সাড়ে ১৩ কিলোমিটার, ১৩টি কালভার্ট ও ২টি সংযোগ স্টেশন নির্মাণ করা হবে।

বঙ্গবন্ধু সেতুতে ট্রেন চালানো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পারাপারের সময় গতি অনেক কমিয়ে দেওয়া হয়। সেতুর ওপর দিয়ে ব্রডগেজ পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল নিষিদ্ধ রয়েছে। এটা অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধকতা করে। এ জন্যই বঙ্গবন্ধু সেতুর উত্তর পাশে পৃথক রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্প অনুমোদনের পর ২০১৭ সালের মার্চে পরামর্শক নিয়োগ করা হয়। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে বিস্তারিত নকশা প্রণয়ন শেষ হয়। দুই অংশের জন্য ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে ঠিকাদার নিয়োগের চুক্তি সই হয়। বর্তমান প্রকল্পে রেলপথের পাশাপাশি সেতুর গ্যাস সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হবে। স্টিল অবকাঠামোয় প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু দিয়ে সাধারণ ট্রেন ছাড়াও দ্রুতগতির (হাইস্পিড) ট্রেনও চালানোর উপযুক্ত করে নির্মাণ করা হচ্ছে।

   

উপজেলা ভোট: প্রথম ধাপে ১৩ প্রার্থী এমপির স্বজন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের নিকট আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিধিনিষেধ জারি করেছেন। কিন্তু দলের নিষেধাজ্ঞার বাইরে গিয়ে নির্বাচনের প্রথম ধাপে অন্তত ১৩ জন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এদের মধ্যে রয়েছেন সংসদ সদস্যের পুত্র, চাচাতো ভাই, খালাতো ভাই, জামাতা, ভাইয়ের ছেলে, ভাই ও চাচা।

সোমবার (৬ মে) সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডি ২৭ নম্বরের ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।

টিআইবি জানায়, এই ধাপের নির্বাচনে তিন সংসদ সদস্যের পুত্র উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচন করছেন। এ তিনজন হচ্ছেন- মাদারীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের পুত্র আসিবুর রহমান, নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী'র ছেলে আতাহার ইশরাক চৌধুরী, বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের পুত্র মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন।

আর তিন সংসদ সদস্যের ছোট ভাই উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচন করছেন। তারা হলেন- বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নানের ছোট ভাই মিনহাদুজ্জামান, সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু'র ছোট ভাই মো. আবদুল বাতেন বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে, সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিমের ছোট ভাই এস এম নূর ই আলম নাজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন।

এছাড়া পাবনার বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু'র ভাইয়ের ছেলে আবদুল কাদের, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সংসদ সদস্য মাজহারুল ইসলামের চাচা সফিকুল ইসলাম ও চাচাতো ভাই আলী আফসার, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সংসদ সদস্য মাহবুব আলম হানিফের চাচাতো ভাই আতাউর রহমান, মাদারীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সংসদ সদস্য শাহজাহান খানের চাচাতো ভাই পাভেলুর রহমান, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সংসদ সদস্য আব্দুর রাজ্জাকের ছোট ভাই হারুন অর রশীদ, খাগড়াছড়ি'র রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা'র জামাতা বিশ্ব প্রদীপ অধিকারী।

এর মধ্যে একই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সংসদ সদস্যের দুই জন স্বজন নির্বাচন করছেন এমন উপজেলার সংখ্যা ৩। তারা হলেন, মাদারীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের পুত্র আসিবুর রহমান ও পাভেলুর রহমান, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সংসদ সদস্য মাজহারুল ইসলামের চাচা সফিকুল ইসলাম ও চাচাতো ভাই আলী আফসার, পাবনার বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু'র ভাইয়ের ছেলে আবদুল কাদের ও ছোট ভাই মো. আবদুল বাতেন।

টিআইবির তথ্য মতে, ২০১৯ সালের তুলনায় আয় বৃদ্ধির দিক দিয়ে সবার ওপরে খাগরাছড়ির রামগড়ের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বিশ্ব প্রদীপ কুমার কারবারী। তার সম্পদ বেড়েছে ৩৩১৯.১৫ শতাংশ।

;

৪৩ ঘণ্টা পর সুন্দরবনের আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে: ফায়ার সর্ভিস



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে লাগা আগুন ৪৩ ঘণ্টা পর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

সোমবার (৬ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (প্রশাসন) ও মেইনটেন্স লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী।

তিনি বলেন, বনের আগুন নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। এটা সাধারণ কোন আগুন নয়। বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে অক্লান্ত পরিশ্রম করে সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এ কাজে সকল সংস্থা সহযোগিতা করেছে। তবে আগুন পুরোপুরি নিভতে আরও দুই থেকে তিন সময় লাগতে পারে, তীক্ষ্ণভাবে চারদিকে নজর রাখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সুন্দরবনে প্রতিবছরই এই সময়ে আগুনের ঘটনা ঘটে। আর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে অনেক প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়। তাই সবাইকে সতর্ক থাকবে হবে। যেহেতু সুন্দরবন আন্তর্জাতিক একটি ঐতিহ্য। তাই এই বনকে রক্ষার দায়িত্ব সবার।

খুলনাঞ্চলের বন সংরক্ষণ মিহির কুমার দো জানান, আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ আনতে সোমবার (৬ মে) ভোর থেকে তৃতীয় দফায় কাজ শুরু করা হয়। এখন কোথাও আগুন এমনকি ধোঁয়াও দেখা যাচ্ছে না। কাজেই আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে যেহেতু বনের আগুন তাই বনবিভাগের পক্ষ থেকে আরও দুই দিন এই এলাকা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

গত শনিবার (৪ মে) দুপুরে সুন্দরবনের আমরবুনিয়ার লতিফের ছিলা এলাকায় আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এদিকে, আগুন লাগার সঠিক কারণ এখনও জানাতে পারেনি বনবিভাগ। তবে তা উদঘাটনে কাজ করছে বনবিভাগের তদন্ত কমিটি।

;

বড় ভাইয়ের অস্ত্রের আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

টাকা পয়সা লেনদেনের জের ধরে বড় ভাইয়ের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আজিবার রহমান নামে একজন নিহত হয়েছেন। 

সোমবার (৬ এপ্রিল) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্তায় মৃত্যু হয় তার ।

তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বলাডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা । এর আগে শুক্রবার (৩ মে) রাতে সাতক্ষীরার সদর উপজেলার বলাডাঙ্গা গ্রামে দুই ভাইয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

নিহতের মেঝো ভাই রস্তম আলী জানান, বড় ভাই আফসার আলী ও ছোট ভাই আজিবর রহমান গরুর মাংসের ব্যবসা করত। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাদের ব্যবসার টাকা নিয়ে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বড় ভাই আফসার আলী ঘর থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আজিবর রহমানের শরীরের এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। ওই সময় আহত অবস্থায় প্রথমে ছোটভাই আজিবর রহমানকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার (৬ মে) সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্তায় মৃত্যু হয় তার।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিদুল ইসলাম জানান, নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবারে রাতের ঘটনায় আফসার আলীর নামে একটি মামলা হয়েছে। মামলাটি এখন হত্যা মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হবে । মামলার আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলেছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

;

সুন্দরবনে আগুন: ধোঁয়া দেখলেই পানি দেওয়া হচ্ছে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,বাগেরহাট
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাগেরহাটের আমরবুনিয়ার লতিফের ছিলা এলাকায় পূর্ব সুন্দরবনে আগুন লাগা স্থানের কোথাও ধোঁয়া দেখা গেলে পানি দেওয়া হচ্ছে। পুনরায় আগুন লাগার বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।

তৃতীয় দিনের মতো সোমবার (৬ মে) সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে এ কাজ। অগ্নিকাণ্ডের এলাকা সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধারা স্টেশনের আমরবুনিয়া টহল ফাঁড়ির লতিফের ছিলায় পানি ছেটানো শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস ও বন বিভাগ। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের পাশাপাশি তাদের সহযোগিতা করছে নৌ বাহিনী ও কোস্টগার্ড।

বনের লতিফের ছিলা ও ড্রেনের ছিলার মাঝামাঝি এলাকায় আগুন লাগার বিষয়টি গত শনিবার নজরের আসার পর থেকেই নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে বন বিভাগ, কমিউনিটি প্যাট্রলিং গ্রুপ (সিপিজি), ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিমের (ভিটিআরটি), টাইগার টিমসহ স্থানীয় সেচ্ছাসেবী ও বনজীবীরা। তবে ঘটনাস্থল থেকে পানির উৎস দূরে হওয়াতে এবং দুর্গম পথের কারণে প্রথম দিনে সেখানে পানি ছেটানো সম্ভব হয়নি।


সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জ সহকারী বন সংরক্ষক রানা দেব বলেন, ‘গত রাত ১টা পর্যন্ত বন বিভাগ এককভাবে আগুন নেভাতে পাম্প মেশিন দিয়ে পানি স্প্রে করেছে। এর ফলে এখন আর কোথাও তেমন একটা আগুন দেখা যাচ্ছে না। যেখানে ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে সেখানেই পানি দেওয়া হচ্ছে। নিয়ন্ত্রিত আগুন পুরোপুরি নেভাতে সোমবার সকাল ৭টা থেকে বন বিভাগকে সহায়তা করছেন নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী দুই দিন ধরে এ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখে পানি ছিটানো হবে। তবে আপাতত আর ভয়ের কোনও কারণ নেই। কারণ আগুন যাতে আর ছড়াতে না পারে সেজন্য রবিবার ফায়ার লাইন কেটে সেখানে পানি দিয়ে রাখা হচ্ছে। আর আগুনের অস্তিত্ব তেমন একটা নেই, শুধু কিছু কিছু জায়গায় ধোঁয়া রয়েছে।’

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম তারেক সুলতান বলেন, সোমবার ভোর ৬টা থেকে পানি দেওয়া শুরু হয়েছে। পূর্ণ শক্তি দিয়ে পানি দেওয়ার কাজ চলছে। সে কারনে আগুন আর বাড়তে পারেনি। আশা করছি আজকের মাঝে আমরা এটা ফলাফল পাব।

প্রধান বন সংরক্ষক (সিসিএফ) মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী জানান, অগ্নিকাণ্ডে সুন্দরবনের ৫ একর বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে। তদন্ত রিপোর্ট শেষে বিস্তারিত জানাতে পারব।

;