‘বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষা ও শান্তি বিনির্মাণ প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষা ও শান্তি বিনির্মাণ প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বে শান্তিরক্ষায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী দেশ হিসেবে গৌরব ও মর্যাদা লাভ করেছে।

তিনি বলেন, আমরা জাতিসংঘে সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। নারীর অধিকার এবং জেন্ডার সমতা নিশ্চিতকরণে আমাদের প্রচেষ্টা উইম্যান পিস এন্ড সিকিউরিটি এজেন্ডা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখছে। শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারীদের অংশগ্রহণ ও সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও 'আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২৩' পালিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। এ দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তিনি গর্বভরে স্মরণ করেন এবং শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত বাংলাদেশের সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

তিনি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন সেই সকল শান্তিরক্ষীদের যারা বিশ্বশান্তির জন্য অকাতরে নিজেদের জীবন বিসর্জন দিয়ে বিশ্ব দরবারে দেশের পতাকাকে উজ্জ্বলতর করেছেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে আজ সর্বাধিক শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশসমূহের অন্যতম বাংলাদেশ। জাতিসংঘ মিশন এবং বহুজাতিক বাহিনীতে আমাদের শান্তিরক্ষীদের অনন্য অবদান বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে এবং এদেশকে বিশ্বের বুকে একটি মর্যাদাসম্পন্ন রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। একইসঙ্গে বিশ্বের অর্থনৈতিক ও সামরিকভাবে শক্তিশালী দেশসমূহের সঙ্গে আমাদের পারস্পরিক কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

করোনা মহামারির মধ্যেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে শান্তি স্থাপনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীগণ পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে ওই সকল দেশের জনগণের আস্থা অর্জন করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বে শান্তিরক্ষায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী দেশ হিসেবে যে গৌরব ও মর্যাদা লাভ করেছে, তা আমাদের শান্তিরক্ষীদের অসামান্য পেশাদারিত্ব, সাহস, বীরত্ব ও দক্ষতারই অর্জিত ফসল ।

বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের প্রতি প্রধানমন্ত্রী তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীগণ যাতে আরো আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জাতিসংঘের আহ্বানে সাড়া দিতে পারেন, সে জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের সকল প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, শান্তিরক্ষী সদস্যগণ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে তাদের দক্ষতা, পেশাদারিত্ব, সাহস ও নিষ্ঠা দ্বারা বাংলাদেশকে বিশ্বে একটি শক্তিশালী শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবেন এবং দেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর করবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে এবং একই বছর ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলায় প্রদত্ত তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে বলেছিলেন, মানবজাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্য শান্তি অত্যন্ত জরুরি এবং তাহা সমগ্র বিশ্বের নর-নারীর গভীর আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন ঘটাইবে।

সাধারণ অধিবেশনে তিনি বিশ্বের সর্বত্র শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনের বিষয়ে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তখন থেকেই বাংলাদেশ বিশ্বের শান্তিপ্রিয় ও বন্ধুপ্রতীম সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলছে এবং বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের অধীনে পরিচালিত সকল শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে আসছে। বিশ্ব শান্তি ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৩ সালের ২৩ মে 'জুলিও-কুরি শান্তি পদক'-এ ভূষিত করা হয় ৷

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার দর্শন অনুসরণ করে বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তির একনিষ্ঠ প্রবক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ‘আমরা ১৯৯৭ সালে জাতিসংঘে‘ শান্তির সংস্কৃতি’ সংক্রান্ত ঘোষণা এবং কর্মসূচি রেজ্যুলেশন আকারে উত্থাপণ করি যা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। পরবর্তীতে, জাতিসংঘ ২০০০ সালকে ইন্টান্যাশনাল ইয়ার অভ কালচার অভ পিস’ হিসেবে ঘোষণা করে এবং ২০০১-২০১০ সালকে দ কালচার অভ পিচ এন্ড দ্যা ডিকেড অভ ননভায়োলেন্স হিসেবে ঘোষণা করে। শান্তির বার্তাকে সর্বাত্মকভাবে সুসংহত করতে এবং এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নে ‘কালচার অভ পিস’ প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য বলে বাংলাদেশ মনে করে।

   

সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন নিয়োগ বন্ধের দাবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত বেসরকারি কর্মচারীদের চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তর ও নতুন নিয়োগ বন্ধের দাবিতে করেছে রাজশাহীর সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে রাজশাহী কলেজ প্রাঙ্গণে এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমন দাবি তুলে ধরেন।

তারা বলেন, সরকারি কলেজগুলোতে মোট কর্মচারীর মধ্যে ৯৫ শতাংশ বেসরকারি কর্মচারী। এই সংখ্যা ৬ হাজারের বেশি। বাংলাদেশের প্রায় ৪০০টি সরকারি কলেজ ও ৩টি সরকারি মাদ্রাসায় বেসরকারি কর্মচারীরা বিগত ৫ থেকে ৩৫ বছর বা তারও অধিককাল ধরে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে কর্মরত আছে। আমাদের মাসিক বেতন ৫০০০ থেকে ৯০০০ টাকা। এই অল্প বেতনে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে খুবই কষ্টে জীবন যাপন করছি। সরকারি কলেজ ও মাদ্রাসা পরিচালনাকারী মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ ২০১৩ সালে জনবল নিয়োগ দেয়। কিন্তু বেসরকারি কর্মচারীদের কোনো অগ্রাধিকার দেয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আলী মোর্তুজা পনির।

আলী মোর্তুজা পনির বলেন, মাউশি কর্তৃপক্ষ ২০২০ সালে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের একটি রিট মামলার নির্দেশনা মোতাবেক অগ্রাধিকার থাকলেও মাউশি কর্তৃপক্ষ সে নির্দেশ মানেননি। আমরা চাকুরি স্থায়ী করার জন্য জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ৮ই নভেম্বর ২০২০ থেকে ২৬ শে নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সমগ্র বাংলাদেশের সরকারি কলেজ ও ৩টি মাদ্রাসায় কর্মরত বেসরকারি কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচি এবং অনশন কর্মসূচি পালন করি।

তিনি বলেন, সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারীদেরকে চাকুরি রাজস্বখাতে স্থানান্তর, সরকারি বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতনভাতা প্রদান এবং অস্থায়ীভাবে কর্মরতদের ব্যতিরেকে নতুন নিয়োগ পদ্ধতি বন্ধ করতে হবে। আমাদের এই দাবিগুলো আমলে নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে বেসরকারি কর্মচারীরা চলমান নিয়োগের বিরুদ্ধে প্রতিদিন এক ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করবে।

তিনি সংগঠনের পক্ষ থেকে তিনটি দাবি তুলে ধরে আরও বলেন, সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারীদেরকে চাকুরি রাজস্বখাতে স্থানান্তর করতে হবে। চাকুরি রাজস্বখাতে স্থানান্তরের পূর্ব পর্যন্ত সরকারি বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতনভাতাদি প্রদান করতে হবে। বহুদিন যাবৎ অস্থায়ীভাবে কর্মরতদের ব্যতিরেকে নতুন নিয়োগ বন্ধ করাতে হবে ও কর্মরতদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করতে হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি এহসানুল কবীর, মনোয়ার হোসেন মনু, সাধারণ সম্পাদক শাহ্ ওমর ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন সরদার, মহিলা সম্পাদক অঞ্জনা রাণী রায়, কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা আলফাজ উদ্দিন, হাফিজুর রহমান, মো: আবুল কালাম আজাদসহ রাজশাহীর বিভিন্ন সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারীবৃন্দ।

;

পৌনে দুই লাখ কৃষক পাবেন প্রণোদনার বীজ ও সার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা ২৪.কম রংপুর
পৌনে দুই লাখ কৃষক পাবেন প্রণোদনার বীজ ও সার 

পৌনে দুই লাখ কৃষক পাবেন প্রণোদনার বীজ ও সার 

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরে অঞ্চলে পাঁচ জেলায় রবি মৌসুমে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৪৭০ জন কৃষককে বীজ ও সার প্রণোদনা দিবে কৃষি মন্ত্রণালয়। 

১০টি শস্য আবাদের জন্য এই প্রণোদনা দেওয়া হবে। প্রত্যেক কৃষক এক বিঘা জমির জন্য উল্লেখিত বীজ ও সার পাবেন। এতে উপকৃত হবেন কৃষকরা।

রংপুর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয় তথ্য সূত্রে জানা গেছে, ভুট্টা, পেঁয়াজ, সরিষা, গম, চীনাবাদাম, সূর্যমুখী, মসুর, সয়াবিন, মুগ ও খেসারি ডালের আবাদ বৃদ্ধিতে এই বীজ এবং সার বিনামূল্যে কৃষককে দেওয়া হবে। তবে যে জেলায় যেসব ফসলের আবাদ ভালো হয় সে জেলার কৃষককে ওই ফসলের বীজ ও সার প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া হবে। 

প্রণোদনা হিসেবে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ জন কৃষকের মধ্যে রংপুর জেলায় প্রণোদনা পাবেন ৪০ হাজার ১১০ জন কৃষক। গাইবান্ধায় ৩৮ হাজার ২০০ জন, কুড়িগ্রামে ৪৮ হাজার ৮২০ জন, লালমনিরহাটে পাবেন ২৬ হাজার ৯০০ জন এবং নীলফামারীতে প্রণোদনা পাবেন ২২ হাজার ৪৪০ জন কৃষক প্রণোদনা পাবেন।

তথ্য সূত্রে আরও জানা গেছে,  রংপুর জেলার কৃষকদের ভুট্টা, গম, সরিষা, চীনাবাদাম এবং শীতকালীন পেঁয়াজের বীজ প্রণোদনা হিসেবে দেওয়া হবে। আগামী ১৬ অক্টোবর থেকে শুরু হবে রবি মৌসুম। তবে কবে থেকে প্রণোদনার বীজ ও সার কৃষককে দেওয়া হবে তা এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।

এ বিষয়ে রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ওবায়দুর রহমান মণ্ডল বলেন, ‘বিএডিসি (বীজ) কর্তৃপক্ষ আমাদের বীজ সরবরাহ করে। রবি মৌসুমেও তারাই বীজ সরবরাহ করবেন। সরিষার আবাদের সময় হয়ে গেছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে কৃষককে বীজ দেওয়া হবে। বাকি বীজ পর্যায়ক্রমে কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।’

;

কৃষকদের সারের বিপরীতে গুলি উপহার দিয়েছিল বিএনপি: হানিফ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯৯৫ সালে কৃষকদের সারের বিপরীতে গুলি উপহার দিয়েছিল বিএনপি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে কৃষক লীগের মহাসমাবেশে যোগ দিয়ে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, সার চাওয়ার অপরাধে কৃষকদের গুলি করে হত্যা করেছিলেন আপনারা (বিএনপি), সেজন্য এখনও জাতির কাছে ক্ষমা চাননি, তারপরও ক্ষমতায় যেতে চান। 

হানিফ বলেন, আপনারা খুনির দল, হত্যাকারীর দল, কোন সাহসে আপনারা আবার ক্ষমতায় যেতে চান? এই সরকার জনগণের সরকার। আপনারা নিজের চেহারা আয়নায় দেখুন।

কোন অবৈধ সরকার জনগণ ক্ষমতায় দেখতে চায় না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আজকে থেকে আমরা বলতে চাই, কোন অবৈধ সরকার জনগণ ক্ষমতায় দেখতে চায় না। দুর্নীতিবাজ কোন মানুষের নেতৃত্বের সরকার মানুষ দেখতে চায় না। আপনাদের থেকে সাধারণ মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সেটা আপনারা নিজেরাও দেখেছেন। আমেরিকার জরিপে দেখেছেন এখনো ৭০ ভাগ মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়।

প্রসঙ্গত, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে ১৯৯৫ ও ২০০৪ সালে নিহত হওয়াদের স্মরণে বাংলাদেশ আওয়ামী কৃষক লীগ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে এই মহাসমাবেশের আয়োজন করে।

;

সিমকার্ড খুলে নেওয়ায় কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
সিমকার্ড খুলে নেওয়ায় কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা

সিমকার্ড খুলে নেওয়ায় কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের বদরগঞ্জে পুজা মহন্ত (১৬) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। মোবাইল ফোন থেকে সিমকার্ড খুলে নেওয়ার ক্ষোভে মা-বাবার ওপর অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি পরিবারের।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বদরগঞ্জ থানার ওসি নজরুল ইসলাম। এর আগে শুক্রবার রাতে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

পুজা মহন্ত বদরগঞ্জ পৌরশহরের মমিননগর শাহাপাড়ায় সঞ্জয় মহন্তের মেয়ে। সে পার্বতীপুরের খোলাহাটি ডিগ্রি কলেজের মানবিক বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। 

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, কিছুদিন থেকে মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে পুজা। সারাক্ষণ মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাতো। লেখাপড়া বাদ দিয়ে ফেসবুক নিয়ে আসক্ত না হওয়ার জন্য ভাই ও মা-বাবা তাকে অনুরোধ করেন। কিন্তু পুজা কারো কথা শোনতো না। 

এক পর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার পুজার মোবাইল ফোন সেট থেকে সিম কার্ড খুলে নেয় পুজার বড় ভাই সাগর। এ নিয়ে পুজা চরম ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে বিকেলের দিকে দরজা বন্ধ করে পুজা ঘরের আঁড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। 

বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের লোকজন ঘরের দরজা ভেঙ্গে পুজাকে উদ্ধার করে প্রথমে বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ওইদিন তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় শুক্রবার রাত আটটার দিকে পুজা মৃত্যু হয়।

সঞ্জয় মহন্ত বলেন, ‘আমার একমাত্র মেয়ে পুজা। জেদের বসে সে এমন কাণ্ড করে বসবে তা কল্পনাও করতে পারিনি। এখন আমার সর্বনাশ হয়ে গেল।

বদরগঞ্জ থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, পুজা নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীর হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে।

 

;