১৫ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে: প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলমান লোডশেডিংয়ের কারণে সারাদেশে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জানিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আশাকরি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

সোমবার (৫ জুন) তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছেন, চলমান তাপদাহ ও লোডশেডিংয়ের কারণে দেশের মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে, যা কাঙ্ক্ষিত নয়, তবে খুব শিগগিরই জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছি... আশা করছি, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হবে।

নসরুল হামিদ বলেন, লোডশেডিংয়ের পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে, যা সবার জানা উচিত। কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব এবং পরবর্তীতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজারে ভয়াবহ অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে, তা আপনারা সবাই জানেন।

তিনি বলেন, গ্যাস, কয়লা, ফার্নেস অয়েলসহ সব ধরনের জ্বালানির দাম আন্তর্জাতিক বাজারে আকাশচুম্বী হয়েছে, এমনকি বাজারে এর প্রাপ্যতাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, অন্যদিকে, ডলারের বিনিময় হার লাগামহীনভাবে বেড়েছে। এটি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গ্যাস, কয়লা এবং ফার্নেস অয়েলের মতো জ্বালানি আমদানিতে প্রভাব ফেলেছে, যার ফলে চলমান লোডশেডিং হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে সরকার তার আন্তরিক প্রচেষ্টায় দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এনেছে। দেশের বিদ্যুতের আগের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে নসরুল হামিদ বলেন, ২০০৮ সালে মাত্র ৪৪ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ পেতো, যা এখন শতভাগ। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, তখন দেশবাসী দিনে কমপক্ষে ১৬-১৮ ঘণ্টা লোডশেডিং ভোগ করেছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের চাহিদার কথা মাথায় রেখে আমরা গত এক যুগে বিদ্যুতের উৎপাদন ৫ গুণেরও বেশি বাড়িয়েছি। বর্তমানে আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ২৭ হাজার ৩৬১ মেগাওয়াট (ক্যাপটিভ সহ)। উৎপাদন ক্ষমতার দিক থেকে বিদ্যুৎ বিভাগে কোনো অভাব নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকট এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা বাজারের ব্যাপক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কারণে আমরা অপ্রত্যাশিত লোডশেডিংয়ের সম্মুখীন হচ্ছি।

নসরুল হামিদ বলেন, আমি আপনাদের দুর্ভোগের জন্য দুঃখিত। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, চলমান পরিস্থিতি সাময়িক। আমরা খুব কম সময়ের মধ্যে একটি ভালো অবস্থানে ফিরে আসতে পারবো।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে, বাংলাদেশ বিভিন্ন স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। আমি আশা করি, আপনাদের (দেশবাসী) আস্থা ও সমর্থন অব্যাহত থাকবে। এই দুর্ভোগ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একসাথে আমরা লাঘব করতে সক্ষম হব।

   

নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে আইন আরো সহজ হতে হবে: স্পিকার



ডেস্ক রিপোর্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে রাষ্ট্রের আইন ও নীতিমালা আরো সহজ হতে হবে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

শনিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অপরাজিতা নেটওয়ার্ক আয়োজিত জাতীয় অপরাজিতা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

স্পিকার বলেন, ‘অপরাজিতাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে, নারীর অধিকার বাস্তবায়নের পথ আরো সহজ হবে। এমন এক সময় আসবে যখন নারীরা সংরক্ষিত আসনে নয় সরাসরি আসনে নির্বাচন করবে।’

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সঠিক সিদ্ধান্তের কারনে নারীরা আজ এগিয়ে যাচ্ছে এবং সেটা রাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় দৃশ্যমান। তবে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে রাষ্ট্রের আইন ও নীতিমালা আরো সহজ হতে হবে।’

বিশেষ অতিথি আসাদুজ্জামান এমপি বলেন, ‘সমালোচনা থাকতে পারে, তারপরও বলবো নারীর অধিকার ও উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে বেশী কাজ হয়েছে এই সরকারের আমলে। নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে, এই অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতা আমাদের সকলকে ধরে রাখতে হবে।’

আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, এমপি বলেন, আমরা নারীরা অনেক কঠিন পথ পারি দিয়ে আজকের আসনে আছি। আশা করি অপরাজিতা বোনেরা আজকের সম্মেলন থেকে শিক্ষা নিয়ে আরো কঠিন পথকে সহজতর করবে। আরমা দত্ত এমপি বলেন, নারীদের রাজনৈতিক অঙ্গনে অংশগ্রহণ থাকবে, নির্বাচেন অংশগ্রহণ তত সহজ হবে।

নাছিমা জামান ববি, এমপি বলেন, নারীরা সব সময় নির্বাচন ও রাজনীতিতে বাধাগ্রস্ত হয়, বিশষ করে নির্বাচনে আরো বেশী বাধাগ্রস্ত হয়। অনেক বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে নারীদেরকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হতে হয়। বাংলাদেশে নিযুুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো রেঙ্গলি বলেন, অপরাজিতা সম্মেলনে নারী ও পুরুষের অংশগ্রহণ বলে দেয় বাংলাদেশের রাজনীতি ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ ভবিষ্যতে ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে।

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পাটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, এমপি, জাতীয় পাটির কো-চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, এমপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারন সম্পাদক শিরীন আখতার। রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের উপর মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বরিশাল বিভাগের অপরাজিতা ফাহমিদা মুন্নী। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম ও উইমেন ফর উইমেনের সভাপতি জাকিয়া কে হাসান প্যানেল আলোচক ছিলেন।

সমাপনী অধিবেশনের প্রধান অতিথি সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দিপু মনি, এমপি বলেন, সারা বিশ্বের কোথাও নারীর পথ চলা সহজ নয়। তথাকথিত উন্নত দেশগুলো নারীরা একই সমস্যায় আছে। নারীর ক্ষমতায়নের জন্য শিক্ষা ও দক্ষতার প্রয়োজন, ফলে নারীর স্বাধীনভাবে চলাফেরা করবে এবং নারীরা প্রকৃত ক্ষমতায়ন হবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণস্বারক্ষতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, ঢাকায় সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের ডেপুটি ও হেড অব কো-অপরাশেন ‘করিন হেনচোজ পিগনানি’ ও হেলভেটাস বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কান্ট্রি ডিরেক্টর বেন ব্লুমেন্থাল।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সম্মেলনটির কার্যক্রম শুরু হয়। খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের আঞ্চলিক দল নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের বিষয়ের উপর পট গান ও দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে। সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রংপুর বিভাগের অপরাজিতা জেসমিন আখতার রিভা। প্রকল্প পরিচালক প্রশান্ত ত্রিপুরা প্রকল্পের অগ্রগতি, সাফল্য এবং সম্মেলনের উদ্দেশ্য তুলে ধরেন।

সম্মেলনটির বিভিন্ন অধিবেশনের সঞ্চালনায় ছিলেন খান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এডভোকেট রোখসানা খন্দকার, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক ও অপরাজিতা প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক ফৌওজয়া খোন্দকার ও রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম খোকন। অপরাজিতাদের পক্ষ থেকে রাজশাহী বিভাগের রহিমা বেগম উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

সম্মেলনে তৃণমূল পর্যায়ের ৩০০ জনের অধিক নারীনেত্রী, ৩০ জন নারীবান্ধব চেয়ারম্যান/মেম্বারসহ বাস্তবায়ন সংস্থাসমূহের নির্বাহী পরিচালকগণ, সুইজারল্যাল্ড দূতাবাসের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সাবিনা ইয়াসমিন লুবনা, হেলভিটাস বাংলাদেশের প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজ, অপরাজিতা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী চার সংস্থা প্রিপ ট্রাস্ট, খান ফাউন্ডেশন, রূপান্তর ও ডেমক্রেসিওয়াচের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। অপরাজিতাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখা, পুরুষ ও পরিবারের সদস্য দ্বারা অপরাজিতাদের নির্বাচন ও রাজনীতিতে অংশগ্রহণে উৎসাহ প্রদানের জন ৭২ জন নারী ও পুরুষকে সন্মাননা প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, সুইজারল্যান্ডের (এসডিসি-এর) সহযোগিতায়, “হেলভেটাস-সুইস ইন্টারকোঅপারেশন” নামক একটি সুইজারল্যান্ড-ভিত্তিক সংস্থার ব্যবস্থাপনায়, রূপান্তর, প্রিপ ট্রাস্ট, খান ফাউন্ডেশন ও ডেমক্রেসিওয়াচ- অপরাজিতা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে আসছে অক্টোবর ২০১৮ সাল থেকে। সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ১৬টি জেলাধীন ৬২টি উপজেলার ৫৪০টি ইউনিয়নে অপরাজিতা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পে মোট নয় হাজারের অধিক নারীনেত্রীদের নিয়ে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের কর্মকান্ড এবং তারা নিজেদের পরিচয় দিয়ে থাকেন 'অপরাজিতা'।

;

প্রেমিকাকে পেতে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
প্রেমিকাকে পেতে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি

প্রেমিকাকে পেতে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি

  • Font increase
  • Font Decrease

কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে রয়েছে নয়টি লোহার দানবাক্স। প্রতি তিন মাস পরপর দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এবার ৪ মাস ১০ দিন পর শনিবার সকাল ৭টায় দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। এতে মিললো রেকর্ড ২৭ বস্তা টাকা ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার। এছাড়া রয়েছে মনোবাসনা পূর্ণ করতে বিভিন্ন চিরকুট।

এমন একটি চিরকুট পাওয়া যায় গেল পাগলা মসজিদের দানবাক্সে। যেখানে একজন প্রেমিক তার প্রেমিকাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে চিরকুট লিখেন।

চিরকুটে লেখা ছিল, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আমি একটা মেয়েকে ভালোবাসি কিন্তু মেয়েটা আমাকে ভালোবাসে না। আমি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি যে আল্লাহ্ তাকে যেন আমার জীবনসঙ্গী হিসেবে কবুল করেন। মেয়েটার নাম মোছা. পারভীন আক্তার ও আমার নাম সাইফুল ইসলাম। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন আমাদেরকে কবুল করেন।

এমন আরেকটি চিরকুটে লেখা, আল্লাহ আমি যেন একটা মানসম্মত নাম্বার পাই। একটা ভালো কলেজে ভর্তি হতে পারি। আমার মাথার সব খারাপ চিন্তা দূর হয়ে যায়। আল্লাহ আমার মা-বাবারে ভালো রাখেন। আমি যেন রফিকুল ইসলাম কলেজে ভর্তি হতে পারি।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, ৪ মাস ১০ দিন পর আজ শনিবার সকালে পাগলা মসজিদে ৯টি দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। তিন মাস পরপর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার রমজানের কারণে ৪ মাস ১০ পরে দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এবার অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে।

;

বান্দরবানে কেএনএফ'র বিরুদ্ধে ১১ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতিবাদ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানে কেএনএফ'র অপতৎপরতার প্রতিবাদ জানিয়েছে ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নেতারা। সশস্ত্র সংগঠনটির সাথে অপর ছয়টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জড়িত থাকার দাবিও অস্বীকার করেছেন তারা।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেএসআই মিলনায়তনে ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সামাজিক নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। আয়োজিত সেই মতবিনিময় সভায় এই প্রতিবাদ জানানো হয়।

বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি খুশি রায় ত্রিপুরা, বম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি লালজারলম বম, এডভোকেট কাজী মহিতুল হোসেন যত্ন, চাকমা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি বুদ্ধ জ্যোতি চাকমা, ম্রো সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি রাংলাই ম্রো, সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম মনুসহ অনেকে।

মতবিনিময় সভায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দ কেএনএফ সদস্যদের সন্ত্রাসী তৎপরতা ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার অনুরোধ জানান। সেই সাথে এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে শান্তি কমিটির সাথে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ারও অনুরোধ জানান নেতৃবৃন্দ।

এসময় প্রকৃত অপরাধীদের কঠোর হস্তে দমন ও রাষ্ট্রদ্রোহীদের মদদ না দিয়ে বিচারের মুখোমুখি করার আহবান জানানো হয়।

বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’র সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে সমগ্র বান্দরবান জুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে।

;

খেলাধুলা শৃঙ্খলা, আনুগত্য ও দেশপ্রেম শেখায়: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খেলাধুলা মানুষকে শারীরিক ও মানসিক শক্তি জোগায়। পাশাপাশি শৃঙ্খলা, আনুগত্য এবং দেশপ্রেম শেখায়।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল শেষে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অন্যান্য খেলার পাশাপাশি দেশীয় খেলাকেও এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। সেইসঙ্গে খেলাধুলার বিকাশে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের বিষয়ে আলোকপাত করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি যখনই ক্ষমতায় এসেছেন, শিশুদের খেলাধুলায় আরও উৎসাহিত করার চেষ্টা করেছেন। কারণ, খেলাধুলা মানুষকে শারীরিক ও মানসিক শক্তি জোগায়। পাশাপাশি শৃঙ্খলা, আনুগত্য এবং দেশপ্রেম শেখায়।

প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি চান ছেলেমেয়েরা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীরচর্চা, সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।

সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, খেলাধুলায় আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন আরও বেশি আগ্রহী হয়ে অংশগ্রহণ করে, আমাদের দেশীয় খেলাধুলাকেও সমানভাবে সুযোগ দিতে হবে। কারণ দেশীয় খেলাগুলোর মধ্য দিয়ে আমাদের ছেলেমেয়েদের মেধা বিকাশের আরও সুযোগ হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা এই খেলাধুলার মধ্য দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। সারাবিশ্বের কাছে দেশকে পরিচিত করতে পারি। আমি সত্যিই খুব আনন্দিত যে, আমাদের ছেলেরা তো বটেই, মেয়েরাও দেশের বাইরে গিয়ে পারদর্শিতা দেখাতে পারছে। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে যখন আমরা এই প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু করলাম ছেলেদের এবং মেয়েদের। বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ এবং বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ। দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশে গিয়েও আমাদের ছেলে-মেয়েরা চমৎকার পারদর্শিতা দেখাচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা সাফ ওমেন-২০২২ এ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ অর্জন করেছে। এটা আমাদের মেয়েরাই এই অর্জন এনে দিয়েছে।

সরকার প্রধান বলেন, সরকার প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম করে দিচ্ছে, যাতে করে প্রত্যেকটি উপজেলাতেই খেলাধুলার সুযোগ সৃষ্টি হয়। শেখ হাসিনা বলেন, আমি চাই, আমাদের ছেলে মেয়েরা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা শরীর চর্চা ওর সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে নিজেদেরকে উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তুলবে। সবাই শিক্ষা দীক্ষা খেলাধুলা সবদিক থেকে আরও বেশি উন্নত হবে, সারা বিশ্বে আমরা মাথা উঁচু করে চলবো। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে আমাদের আজকের এই সোনার ছেলে মেয়েরা। সকলের প্রতি আমার অভিনন্দন ও আশীর্বাদ রইল।

;