কমনওয়েলথ সদস্যদের আকৃষ্ট করতে ‘বিনিয়োগ সম্প্রসারণ’ চান সালমান এফ রহমান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কমনওয়েলথ অর্থনীতির মধ্যে বিনিয়োগ সম্প্রসারণ চান সালমান এফ রহমান

কমনওয়েলথ অর্থনীতির মধ্যে বিনিয়োগ সম্প্রসারণ চান সালমান এফ রহমান

  • Font increase
  • Font Decrease

কমনওয়েলথ সদস্য দেশগুলো থেকে আরো বেশি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে 'বিশেষ নীতি' সহায়তার সুবিধা দিতে বাংলাদেশ প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরামের 'বাংলাদেশ অপরচুনিটি' শীর্ষক সেমিনারে তিনি একথা বলেন।

সালমান এফ রহমান বলেন "বিশ্বের স্বপ্লোন্নত ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া সমুদ্রপথ নিয়ন্ত্রণ ও বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রতিযোগিতায় বঙ্গোপসাগর একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে অবদান রাখছে।

তিনি আরও বলেন, এই বছরের শেষ নাগাদ বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ৪৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে। বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি পোশাক রপ্তানি, স্থিতিস্থাপক রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং স্থিতিশীল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি গত এক দশক ধরে প্রবৃদ্ধিকে ধরে রেখেছে।

এ সময় তিনি ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে একটি ঘটনার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, একবার এক ছেলে আমার কাছে অভিযোগ নিয়ে। সে বিদেশি একটি কোম্পানির ওয়েবসাইট এর কাজ করে ৫০০ ডলার দেশের ব্যাংকে নিয়ে আসছে কিন্তু ব্যাংক তাকে এই টাকা দিবে না। তার কাছে কন্ট্রাক্টের কাগজ চায়। তখন আমি প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলাপ করি বিষয়টি নিয়ে। প্রধানমন্ত্রী আইটি মিনিস্ট্রির মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সরকারিভাবে ফ্রিল্যান্সার কার্ড এর ব্যবস্থা করে দেন।

কমনওয়েলথ এন্টারপ্রাইজ এন্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান লর্ড মারল্যান্ড বলেন, বাংলাদেশ পোশাক রফতানির মাধ্যমে বিশ্বে তার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে। কমনওয়েলথের দেশগুলো বাংলাদেশের পোশাকশিল্প থেকে শিখতে পারে। কমনওয়েলথের মাধ্যমে সকল সম্ভাবনাকে সহযোগিতা করতে চাই। প্রায় দুই দশমিক পাঁচ বিলিয়ন মানুষের আবাসস্থল কমনওয়েলথ দেশগুলো উন্নত অর্থনীতি এবং উন্নয়নশীল অর্থনীতি উভয়কে এক জায়গায় নিয়ে এসেছে।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জি ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত সম্মেলনে দুই দিনব্যাপী কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর ১৩ জন মন্ত্রীসহ ৩০০ জনের বেশি আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি অংশ নিবেন।

সেমিনারে আরও আলোচনা করেন, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সাচন কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম, ইউনিলিভার বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট জাভেদ আখতার এবং ব্রিটিশ ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শ্রীনি নাগরাজন।

এর আগে সকালে ঢাকায় প্রধান অতিথি হিসেবে কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরামের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

   

ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা পড়া দুদক কর্মকর্তা কারাগারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম চট্টগ্রাম
মো. কামরুল হুদা। ছবি : সংগৃহীত

মো. কামরুল হুদা। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামে এক গয়না ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুষের ২০ লাখ টাকা আনতে গিয়ে পুলিশের জালে আটকা পড়া মো. কামরুল হুদা নামে সেই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে পাঁচলাইশ থানায় হওয়া একটি মামলায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

অভিযুক্ত মো. কামরুল হুদা দুদক কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তার গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলায়।

কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) (প্রসিকিউশন) কামরুল হাসান।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ব্যক্তির নাম পরিমল ধর। তিনি নগরের হাজারী গলি এলাকার গয়না ব্যবসায়ী।
অভিযুক্ত দুদক কর্মকর্তা কামরুল হুদা কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে গত ১৬ সেপ্টেম্বর পরিমলের দোকানে যান। সেখানে কামরুল নিজেকে দুদক কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে পরিমলের বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসার মাধ্যমে কালো টাকা উপার্জন করার অভিযোগ তোলেন। একই সঙ্গে তিনি দুদকের একটি চিঠিও দেন। এরপর একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে কামরুল দোকান ত্যাগ করেন।

বিষয়টি ভুক্তভোগী তার ভাতিজাকে জানান। ভাতিজা বিষয়টি নিয়ে কামরুলের দেওয়া নম্বরে বিভিন্ন সময় যোগাযোগ করেন। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত হয় কামরুলকে ২০ লাখ টাকা দিলে তিনি বিষয়টির সমাধান করবেন।

এর পর শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ওই ঘুষের টাকা বুঝে নিতে দুদক কর্মকর্তা কামরুল চকবাজার এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে আসেন।

অন্যদিকে বিষয়টি আগেই পাঁচলাইশ থানা পুলিশকে অবহিত করে রাখেন ভুক্তভোগী গয়না ব্যবসায়ী। সন্ধ্যায় উভয়ের মধ্যে বৈঠক চলাকালেও পুলিশ অভিযান চালিয়ে কামরুলকে গ্রেফতার করে।

তাকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার রাতে মামলা রুজু করে পুলিশ। মামলায় দুদক কর্মকর্তা কামরুল এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২ থেকে ৩ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানা গেছে।

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা জানান, এক গয়না ব্যবসাযীর করা একটি মামলায় শনিবার রাতে অভিযুক্ত কামরুল হুদাকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার সকালে অভিযুক্ত কামরুল হুদাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

;

রামু উপজেলায় দু'গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ-১, পরিস্থিতি থমথমে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নাইক্ষ‍্যংছড়ি (বান্দরবান)
গুলিবিদ্ধ সাহাবুদ্দিন শাকিল

গুলিবিদ্ধ সাহাবুদ্দিন শাকিল

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের বেলতলীতে দু'গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ১ জন। এছাড়া ২ জনকে হন্য হয়ে খুঁজছে অস্ত্রধারীরা। 

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যুবক সাহাবুদ্দিন শাকিল ( ২৭)। তিনি স্থানীয় নবী সুলতানের ছেলে। গুলিবিদ্ধ শাকিলকে প্রথমে নাইক্ষ্যংছড়ি হাসপাতালে পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা।

অপর দিকে অস্ত্রধারীরা যাদেরকে খুঁজছে তারা হলেন আনোয়ার হোসেন ও সোহেল।  আনোয়ারের বাড়ি বেলতলী এবং তাহের মেস্বারের ছেলে সোহেলের বাড়ি কচ্ছপিয়া গ্রামে।  

আহত শাকিল জানায়, সে প্রতিদিনকার ন্যায় বেলতলী স্টেশনের পূর্বপাশে ছিল। তখন বিকেল ৩টা বাজে। পশ্চিম দিক থেকে এলাকায় বহুল পরিচিত সন্ত্রাসী গ্রুপের নেতৃত্বে ৮/৯ টি মটর সাইকেল নিয়ে ১৬/১৭ জন যুবক স্বশস্ত্র অবস্থায় এসে তার উপর গুলি চালাতে থাকে। পরপর ৫ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করলেও তার গায়ে লাগে ২ টি। এ সময় তাকে বেদড়ক মারধরের পর মৃত ভেবে ফেলে যায় চলে যায় সন্ত্রাসীরা। পরে স্থানীয় এবং স্বজনরা তাকে উদ্বার করে।

অপর দিকে আনোয়ারের স্বাজনদের দাবী, শাকিলকে ফেলে রেখে আনোয়ার হোসেনকে অপহরণের চেষ্টা করে ঐ দলটি। অবস্থা বেগতিক দেখে পাড়ার মেয়েরা এসে তাদের গতিরোধ করে আনোয়ারকে ছিনিয়ে নেয় তারা। পরে সোহেলের খোঁজে কচ্ছপিয়া পার হয় অস্ত্রধারী।

এ বিষয়ে রামু থানাধীন গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। ঘটনায় জড়িত লোকদেরকে খোঁজা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

;

মিঠাপুকুরে সড়ক ভেঙে জনযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অতি বর্ষণের কারণে পানির চাপে রংপুরের মিঠাপুকুরে সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এতে প্রায় ১০ গ্রামের মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলার বালুয়া মাসিমপুর স্কুলের সামনে বড়বালাগামী পাকা সড়ক ভেঙে যায়।

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান ও উপজেলা প্রকৌশলী আখতারুজ্জামান ভেঙে যাওয়া সড়ক পরিদর্শন করেছেন। 

স্থানীয় বাসিন্দা জালাল উদ্দিন বলেন, কয়েক দিন থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এতে নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। পানির চাপের কারণে রাস্তাটি ভেঙ্গে যাওয়ায় আশেপাশের ১০টি গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। 

এদিকে একই দিন বজ্রপাতে দুখু মাহাতো (৫৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তার বাড়ি মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নের লোহনী গ্রামে।

মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুল হাসান বলেন, ভেঙে যাওয়া সড়ক দ্রুত সময়ের মধ্যে  মেরামতের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

;

ইয়াবা মামলায় দুই ভাইয়ের ১৫ বছর কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপনডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, চট্টগ্রাম  
ইয়াবা মামলায় দুই ভাইয়ের ১৫ বছর কারাদণ্ড

ইয়াবা মামলায় দুই ভাইয়ের ১৫ বছর কারাদণ্ড

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী থানার একটি ইয়াবা মামলায় দুই ভাইকে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞা এই রায় দেন।

দণ্ডিতরা হলেন- কক্সবাজার সদর থানার ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিজিবি ক্যাম্পের পাশে মৃত হাজী মোহাম্মদ ইসহাকের ছেলে মো. মোবারক হোসেন ও মোহাম্মদ সালমান।

মামলার নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৭ মার্চ রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরের পাহাড়তলী থানার এ কে খান বিদ্যুৎ অফিসের সামনে থেকে দুই সহোদরকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এই সময় মোবারকের কাছ থেকে ৬০ হাজার পিস ও ছোট ভাই সালমানের কাছ থেকে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। 

এ ঘটনায় র‌্যাব-৭ এর ডেপুটি অ্যাসিসটেন্ট ডিরেক্টর মো. জসিম উদ্দিন বাদি হয়ে নগরের পাহাড়তলী থানায় একটি মাদক মামলা দায়ের করেন। পরদিন ওই মামলায় আদালত তাদের কারাগারে পাঠান।

২০১৮ সালের ৯ মে এই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলা তদন্ত কর্মকর্তা। একই বছরের ২৫ নভেম্বর দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এ মামলায় ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষ। 

আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ বলেন, ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় দুই ভাইয়ের প্রত্যেককে ১৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে জামিনে গিয়ে পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

;