বিএসএফের গুলিতে স্বামীর মৃত্য, ফেসবুকে ছবি দেখে লাশ শনাক্ত করলেন স্ত্রী
-
-
|
ছবি: সংগৃহীত
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মিজানুর রহমান নামের এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে নোনাগঞ্জ সীমান্তের ভারতীয় অংশে এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মিজানুর রহমানের রক্তাক্ত মৃতদেহের ছবি ছড়িয়ে পড়ে। তাতে বিএসএফের গুলিতে মৃত্যুর বিষয়টি বলা হয়। ছবি দেখে তাঁর স্ত্রী নাসিমা খাতুন লাশটি তাঁর স্বামীর বলে শনাক্ত করেছেন।
নিহত মিজানুর রহমান (৫০) ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের নবী ছদ্দিনের ছেলে। তিনি জীবননগরের সীমান্ত ইউনিয়নের বেনীপুর গ্রামের আয়ুব আলীর জামাতা। বিয়ের পর তিনি শ্বশুরবাড়িতে ঘরজামাই থাকতেন। মিজানুর-নাসিমা দম্পতির চার বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। তার মরদেহ ভারতের কৃষ্ণনগর মহকুমা হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইশাবুল ইসলাম মিল্টন জানান, মিজানুর রহমান কিছুদিন ধরে ভারতীয় গরুর ব্যবসা সাথে জড়িত। এছাড়াও সাম্প্রতিক সে অবৈধভাবে মানুষ পারাপারের কাজ করত। বৃহস্পতিবার তিনি নিজে এবং তার সহযোগীরা কয়েকজন মানুষ নিয়ে অবৈধভাবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণগঞ্জ থানার নোনাগঞ্জ সীমান্তে যান। সেখান থেকে ফেরার সময় বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে তিনি মারা যেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, তার মরদেহ বাংলাদেশে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
ঝিনাইদহ মহেশপুর-৫৮ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মাসুদ পারভেজ রানা জানান, শনিবার বেলা ১১টার দিকে এক নারী মৌখিকভাবে তার স্বামী নিখোঁজের বিষয়টি আমাদের কাছে জানিয়েছেন। কোনো বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে কি না? জানতে আমরা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের কাছে চিঠি দিয়েছি। বিএসএফ’র কাছ থেকে জানার পর আমরা বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারব।
