ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ডা. মাজহারুল হক আর নেই



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ভাষাসৈনিক ডা. এ.এ.মাজহারুল হক। ছবি: সংগৃহীত

ভাষাসৈনিক ডা. এ.এ.মাজহারুল হক। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন এবং একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে সক্রিয় অবদান রাখা কিশোরগঞ্জের বরিষ্ঠ চিকিৎসক ডা. এ.এ.মাজহারুল হক (৯৮) ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট আবাসিক এলাকার নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে, পাঁচ মেয়ে, আত্মীয়স্বজন ও অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজে পড়ার সময় থেকেই তিনি মাতৃভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্রদের উদ্যেগে শহীদদের স্মরণে নির্মিত প্রথম ইটের শহীদ মিনার তৈরিতেও তিনি যোগ দেন।

ছাত্রাবস্থায় থাকার সময় ১৯৪৬-৪৭ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিরোধে ব্রিটিশ হটাও আন্দোলনে প্রবলভাবে যুক্ত ছিলেন তিনি। ভাষা আন্দোলনে সংক্ষিপ্ত কারাবাসসহ সরাসরি অংশগ্রহণ করেন।

১৯৭১ সালে তিনিই প্রথম মুক্তিকামী কিশোরগঞ্জবাসীকে স্বাধীনতার ঘোষণা অবহিত ও প্রচার করেন। তাঁর নেতৃত্বে নিজ বাসভবনেই আত্মসমর্পনের মাধ্যমে সর্বপ্রথম স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করা হয়।

তিনি মাতৃভূমির প্রায় প্রতিটি বিজয়-সংগ্রামেই, বিশেষ করে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন এবং একাত্তরের মহান মুক্তিসংগ্রামে প্রত্যক্ষভাবে সক্রিয় অবদান রাখেন।

কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের গৌরাঙ্গবাজারের বাসিন্দা ভাষাসৈনিক ডা. এ.এ.মাজহারুল হক শুধু মুক্তিযুদ্ধেই অংশগ্রহন করেননি, মানুষের সেবায়ও নিয়োজিত ছিলেন। দীর্ঘ ৬৯ বছর তিনি কিশোরগঞ্জের গরিব, অসহায় মানুষদেরকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে চিকিৎসা সেবা দিয়ে গেছেন। এছাড়াও একজন সমাজসেবক, রাজনীতিবিদ হিসেবেও মানুষের পাশে থেকে তাঁদের কল্যাণে নিরন্তর ভূমিকা রেখেছেন। ডা. এ.এ. মাজহারুল হক ও সমাজসেবী নূরজাহান বেগম প্রতিষ্ঠিত কিশোরগঞ্জের সমাজ-সংস্কৃতি-সাহিত্য বিষয়ক সমীক্ষাধর্মী মাজহারুন-নূর ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মরহুম বিভিন্ন জনহিতকর ও সমাজসেবামূলক কাজ করে গেছেন।

এছাড়া বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসাসহ দ্বীনি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার সঙ্গে তিনি সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।

ডা. এ.এ.মাজহারুল হক এর মৃত্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

ডা. এ.এ.মাজহারুল হক এর বড় ছেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও বার্তা২৪.কম'র অ্যাসোসিয়েট এডিটর ড. মাহফুজ পারভেজ  এবং মেয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি শায়লা পারভীন সাথী তাদের পিতার আত্মার মাগফেরাত কামনার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

   

তাপমাত্রা কমে ঢাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। এটি দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় তাপমাত্রা কমে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকার জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ মেঘলা থাকতে পারে ও হালকা বৃষ্টি হতে পারে। উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৫-১০ কিমি বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। ফলে দিনের তাপমাত্রা প্রায় ১ থেকে ২ সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে রাজধানীসহ একাধিক স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) ভোর রাত থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়, যার প্রভাবে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে বাইরে বের হওয়া কর্মজীবী মানুষের।

এদিন সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ গত মধ্যরাত ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৬০ কিলোমিটার, দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ৫ ডিসেম্বর ভোররাত নাগাদ নিলর ও মাসুলিপট্টমের কাছ দিয়ে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম বাংলাদেশে প্রভাব পড়বে না জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ জানিয়েছেন, ৫ ডিসেম্বর ভোরে অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। তবে বাংলাদেশে এর তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না।

তবে এর প্রভাবে ৫ ও ৬ ডিসেম্বর দেশের উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। এতে তাপমাত্রা কমে আসবে। শীতের আমেজও পাওয়া যাবে।

;

বিশ্ব মানবিক মর্যাদা দিবসে দলিত সম্প্রদায়ের ৮ দফা দাবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ব মানবিক মর্যাদা ও মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ৫ ডিসেম্বর 'বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন (বিডিইআরএম)' কুড়িগ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে সকাল ১১ টায় কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে ৮ দফা দাবিতে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

কর্মসূচিতে বিভিন্ন উপজেলার রবিদাস, হরিজন ও অন্যান্য দলিত সম্প্রদায়ের শতাধিক নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধন থেকে সংগঠনের জেলা সভাপতি পরেশ রবিদাস ৮ দফা দাবি ঘোষণা করেন।

এসব দাবির মধ্যে রয়েছে জাতীয় সংসদে সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনে দলিত জনগোষ্ঠীর সংখ্যানুপাতে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত, জাতীয় সংসদে উত্থাপিত বৈষম্য বিরোধী বিল-২০২২ অবিলম্বে পাশ, পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের পেশাগত স্বাস্থ্যঝুঁকি সুরক্ষা, বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি চাকুরিতে ভর্তি কোটা চালু ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঝড়ে পড়া রোধ ও উপবৃত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি।

মানবন্ধনে সংগঠনটির জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;

‘চিকিৎসা সেবায় চিরদিন পথ দেখাবে ডা. আব্দুল মালিক’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. আব্দুল মালিক (অব.) এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর ) এক শোক বার্তায় প্রয়াত ডা. আব্দুল মালিক এর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান।

শোকবার্তায় তিনি বলেন, গণমানুষের চিকিৎসা সেবায় ডা. আব্দুল মালিক অসামান্য অবদান রেখেছেন। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। ডা. আব্দুল মালিক আজীবন বেঁচে থাকবেন তার কর্মের মাঝে। চিকিৎসা সেবায় চিরদিন পথ দেখাবে ডা. আব্দুল মালিক। তার মৃত্যুতে দেশের চিকিৎসা সেবায় যে শূন্যতা সৃষ্টি হলো তা সহসাই পূরণ হওয়ার নয়।

জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. আব্দুল মালিক এর মৃত্যুতে একইভাবে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি।

;

গাইবান্ধায় খাবারে বিষক্রিয়ায় ১৬ মাদরাসা শিক্ষার্থী হাসপাতালে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধা শহরের ফোরকানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসায় রান্না করা খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে ১৫ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অসুস্থ শিক্ষার্থীরা গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়া বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) এএসএম রুহুল আমিন। শিক্ষার্থীরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে একইদিন সকালে তাদের হাসাপতালে ভর্তি করে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।

আবাসিক মেডিকেল অফিসার এএসএম রুহুল আমিন বলেন, সকালে গাইবান্ধার ফোরকানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসার ১৫ থেকে ১৬ জন শিক্ষার্থী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে। অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে তাদের সবাইকে ভর্তি নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে (বিভাগে) তাদের চিকিৎসা চলছে।

এ সময় জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের ফুড পঁয়জোনিং (খাবারে বিষক্রিয়া) হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, বর্তমানে তারা আশঙ্কামুক্ত রয়েছে বলেও জানান এই চিকিৎসক।

ফোরকানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসার মোহতামিম মাওলানা মানসুর রাহমান মুঠোফোনে বলেন, "মাদরাসায় প্রায় ২০০ জন বাচ্চা সবাই আবাসিকে থাকে। তারা তিনবেলাই মাদরাসার রান্না করা খাবার খায়। প্রতিদিনের মতই গত রাতেও তারা স্বাভাবিক (সাদা ভাত, ডাল ও শিম ভাজি) খাবার খেয়ে শুয়ে পড়ে। এরপর রাত দুইটার দিকে হঠাৎ কয়েকটা বাচ্চার পাতলা পায়খানা হয় এবং কয়েকটা বাচ্চা পাতলা পায়খানার সাথে বমিও করে। পরে আমরা স্যালাইনসহ প্রাথমিক ওষুধ খাওয়াই। তারপরেও পায়খানা-বমির বিষয়টি কন্ট্রোল না হওয়ায় আমরা সকালে তাদেরকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে। আমরা প্রত্যেক বাচ্চার অভিভাবকে খবর দিয়েছি।

;