সিলেটে কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না চিনি চোরাচালান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে প্রতিনিয়তই আসছে ভারতীয় চিনিসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রতিনিয়ত অভিযান চালিয়ে চোরাকারবারিদের গ্রেফতার করলেও তা বন্ধ হচ্ছে না। সিলেটের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। বেশির ভাগ সীমান্তই দুর্গম এলাকায়। ফলে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর টহলও কম। এই সুযোগে চোরাকারবারীরা অবাধে চিনিসহ বিভিন্ন ভারতীয় পন্য দেশে নিয়ে এসে বিক্রি করছে।

পুলিশ বলছে, প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে চোরাচালান উদ্ধারসহ অভিযান চালিয়ে জড়িতের আটক করছে পুলিশ। জানা যায়, পুলিশের পৃথক দুটি অভিযানে সিলেটের তিনটি থানায় প্রায় ৩৬৮ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করে পুলিশ। থানাগুলো হলো- গোয়াইনঘাট, গোলাপগঞ্জ ও জৈন্তাপুর।

রোববার (১ অক্টোবর) গোয়াইনঘাটে ৫০ কেজি ওজনের ১৪২ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করেছে পুলিশ। উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের পান্তুমাই গ্রাম থেকে ভারতীয় এসব চিনি জব্দ করা হয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারিরা পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় এসআই পিন্টু সরকার বাদী হয়ে গোয়াইনঘাট থানায় চোরাচালান আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় পলাতক আসামী ডালিম মিয়া (২২), শাকিল (১৮), সালেহ আহমেদ (২২), জুয়েল (২২), আব্দুল মজিদ (৪২), সিদ্দিককে (৫০) আসামি করা হয়েছে।

এব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানা অফিসার ইনচার্জ কেএম নজরুল বলেন, সব ধরনের অপরাধমুক্ত করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এই অভিযান ও ভারতীয় চিনি উদ্ধার তারই ধারাবাহিকতার অংশ। যেকোনো মূল্যে অপরাধমুক্ত থানা এলাকা গড়ে তুলতে পুলিশ বিভাগ কাজ করে আসছে।

এর আগে শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গোলাপগঞ্জ উপজেলা থেকে ১৮৬ বস্তা চিনি জব্দ করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। এসময় দুই চোরাকারবারিকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার মুজাফফরপুর গ্রামের মোহাম্মদ হাসন আলী শেখ এর ছেলে মো. সবুর আলী শেখ (৩৫) ও একই গ্রামের মোহাম্মদ হোসেন আলী শেখ এর ছেলে মোহাম্মদ কাউসার আলী শেখ (২৫)।।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা জানায়, পলাতক আসামি আব্দুল হক ও আলমের মাধ্যমে শুল্ক ও কর ফাঁকি দিয়ে ভারতীয় চিনি সংগ্রহ করে সিলেট শহরের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত হতো। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে এসআই ফায়াজ উদ্দিন ফয়েজ বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার মিডিয়া অফিসার এসআই পার্থ সারথী দাস।

একইভাবে শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটায় জৈন্তাপুর থানা পুলিশের অভিযানে আলুবাগান মোকামবাড়ি এলাকার তারা মিয়ার বসতঘর থেকে ৪০ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার করা হয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা পালিয়ে যান।

চোরাচালানের বিষয়য়ে জানতে চাইলে সিলেট জেলার সহকারি পুলিশ সুপার ও মিডিয়া ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা মো. সম্রাট তালুকদার বলেন, জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জেলা পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাছাড়া সীমান্তে চোরাচালান রোধ ও জড়িত অপরাধীদের চিহ্নিতকরণ এবং গ্রেফতারে জেলা পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।

 

   

ভারতের বিএসএফের বাংলাদেশি নারী মারধরের অভিযোগ 



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ এর বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এক নারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। 

এ সময় স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে প্রতিবাদ করলে ভারতীয় বিএসএফ রাবার বুলেট ছুড়ে এমন অভিযোগ বাংলাদেশীদের। পরে বিজিবি গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ওই উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের পকেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দা দুলাল হোসেন ও আনোয়ার হোসেন জানান, ওই সীমান্তে ৮৯৩ নং মেইন পিলারের ৮এস সাব পিলারের কাছে বাংলাদেশের ভূখন্ডে কাপড় শুকাতে যায় জোহরা বেগম নামে এক বৃদ্ধা নারী। এ সময় ভারতীয় কুচবিহার অঞ্চলের শিতলকুচি এলাকার ফুলবাড়ী বিএসএফ ক্যাম্পের এক সদস্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। এ সময় ওই এলাকার নেহাল উদ্দিনের মেয়ে বৃদ্ধা জোহরা বেগমকে মারধর করেন ওই বিএসএফ সদস্য। সীমান্তবর্তী লোকজন জড়ো হয়ে প্রতিবাদ করলে ভারতীয় বিএসএফ ফাঁকা রাবার বুলেট ছুড়ে চলে যায়।

খবর পেয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র সিঙ্গিমারী ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

সিঙ্গিমারী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সামছুল আলম জানান, 'প্রায় সময় ভারতীয় বিএসএফ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। আজও বাংলাদেশে প্রবেশ করে এক নারীকে মারধর করেন এবং ফাঁকা রাবার বুলেট ছুড়ে। এসব ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া দরকার।' 

সিঙ্গিমারী বিজিবি’র ক্যাম্পের ইনচার্জ নাসির হোসেন জানান, 'খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। তাৎক্ষণিক বিজিবি-বিএসএফ’র মধ্যে পতাকা অনুষ্ঠিত হয়। এ ঘটনায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।' 

;

অনুমতিবিহীন চিকিৎসা ক্যাম্প, ২ ভুয়া চিকিৎসককে কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে অনুমতিবিহীন চিকিৎসা ক্যাম্প থেকে দুই ভুয়া চিকিৎসককে আটক করে ১ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের একখুলিয়া এলাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ কারাদণ্ড দেন।

এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার ডা. আরেফিন আজিম সঙ্গে ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ২৪ বছর বয়সী মো. হাসান ও আব্দুল্লাহ আল রিয়াদ। 

জানা গেছে, সম্প্রতি ফটিকছড়ির বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে লিফলেট বিলিয়ে বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা করা হবে বলে প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়। প্রচারণায় বলা হয়, অভিজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা করানো হবে। সোমবার রাতে একখুলিয়া গ্রামে ডাক্তারি সরঞ্জাম নিয়ে চিকিৎসা দিতে আসে তারা। চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ৫০ টাকা ফিও নেয়। এ সময় চিকিৎসা দিতে আসা তাদের মতিগতি সন্দেহ হলে স্থানীয়রা তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে খবর দেয় উপজেলা প্রশাসনকে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আরেফিন আজিম বলেন, ‘বিনা অনুমতিতে চিকিৎসা ক্যাম্প করে চিকিৎসক না এমন দুজন রোগী দেখছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের আটক করা হয়। পরে দুজনকে একমাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।’

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারা মোতাবেক হাসান ও রিয়াদ নামের দুই যুবককে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’

;

জি এম কাদেরের সম্পদ বেড়েছে ৩ গুণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত পাঁচ বছরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের সম্পদ বেড়েছে প্রায় তিন গুণ। তার স্ত্রী শেরীফা কাদেরের সম্পদ বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। এ দম্পতির বাড়ি ভাড়া, ব্যাংকে নগদ টাকা ও শেয়ারও বেড়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জমা দেওয়া হলফনামা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জি এম কাদের লালমনিরহাট-৩ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। সেই হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেছিলেন, তার নগদ ছিল ১৪ লাখ ৪৭ হাজার ৯৭৩ টাকা। পাঁচ বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯ লাখ ৮৮ হাজার ২৫৩ টাকায়। একই সঙ্গে শেরীফা কাদেরের নগদ ছিল ২৭ লাখ ৬৪ হাজার ৭০১ টাকা, পাঁচ বছরে বেড়ে তা দাঁড়িয়েছে ৫৯ লাখ ৫৯ হাজার ৫৬৩ টাকা।

এছাড়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পাঁচ বছর আগে জমা ছিল ১৩ লাখ ২ হাজার ৪৩৫ টাকা। এবার হয়েছে ৩৫ লাখ ৯৫ হাজার ৭৯৩ টাকা। স্ত্রীর ছিল ৪ লাখ ৭ হাজার ২৫৮ টাকা, তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ লাখ ৯ হাজার ৩৫৯ টাকা।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন, বাড়ি ভাড়া থেকে আয় ৩ লাখ টাকা, শেয়ার সঞ্চয়পত্র আছে ৩০ লাখ টাকা আর প্রার্থীর ওপর নির্ভরশীলদের আয় ১০ লাখ টাকা। আগে চড়তেন ৪০ লাখ টাকা দামের প্রাডো গাড়িতে, এখন চড়েন ৮৪ লাখ ৯৮ হাজার ৪৭৫ টাকার জিপ গাড়িতে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জি এম কাদের হলফনামায় উল্লেখ ছিল- কৃষি, বাড়ি ভাড়া, ব্যবসা, শেয়ার বা সঞ্চয়পত্র, চাকরিতে তার বার্ষিক আয় নেই। প্রার্থীর ওপর নির্ভরশীলদের বাড়ি ভাড়ার ওপর আয় ১১ লাখ ৫৮ হাজার টাকা, আর ব্যবসা থেকে পান ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

পাঁচ বছর আগে স্ত্রী শেরীফা কাদের চড়তেন ১৫ লাখ টাকার গাড়িতে, এখন তিনি চড়েন ৮০ লাখ টাকার জিপে। নিজ ও স্ত্রীর নামে জমি, বাড়ি, স্বর্ণালংকার বাড়েনি।

পাঁচ বছর আগে মামলা না থাকলেও এবার জি এম কাদেরের নামে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। সেটি বিচারাধীন। তিনি ঋণমুক্ত।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের এবার রংপুর-৩ এবং ঢাকা-১৭ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়ন দাখিল করেছেন।

লালমনিরহাট-৩ আসন থেকে ১৯৯৬, ২০০৮ এবং ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন জি এম কাদের।

;

জাতীয় অধ্যাপক ডা. আব্দুল মালিক মারা গেছেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীতজাতীয় অধ্যাপক ডা. আব্দুল মালিক আর নেই

ছবি: সংগৃহীতজাতীয় অধ্যাপক ডা. আব্দুল মালিক আর নেই

  • Font increase
  • Font Decrease

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব) ডা. এ মালিক (৯৪) মারা গেছেন।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা সেতু।

আব্দুল মালিক ১ ডিসেম্বর ১৯২৯ সালের ১ ডিসেম্বর দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কুচাই ইউনিয়নের পশ্চিমভাগ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মরহুম ফুরকান আলী, মাতার নাম মরহুমা সৈয়দা নুরুন্নেছা খাতুন। প্রাইমারি স্কুল শেষে ১৯৩৯ সালে সিলেট সরকারি হাইস্কুলে ভর্তি হন। ১৯৪৭ সালে মেট্রিক (এসএসসি) পরীক্ষায় অংশ নিয়ে স্টার মার্কসহ প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন এবং সরকারি বৃত্তি পান। তখন এ ধরনের ফলাফল বেশ গৌরবের বিষয় ছিল।

মেট্রিক পাসের পর সিলেট সরকারি এমসি কলেজে ভর্তি হন। ১৯৪৯ সালে আইএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানে কেবল একটাই বোর্ড ছিল, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। এই পরীক্ষায় তিনি ১১তম স্থান অর্জন করেন।

আইএসসি পাসের পর ১৯৪৯ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। ১৯৫৪ সালে নভেম্বর মাসে মেডিকেল কলেজের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন।

১৯৫৮ সালে তাকে সিএমএইচ (সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল) পেশোয়ারে কর্নেল আজমিরের কাছে মেডিকেল স্পেশালিস্টের যোগ্যতা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এতে প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত হন।

১৯৬৩ সালে সরকার তাকে বিলেতে পাঠায় উচ্চশিক্ষার জন্য। ১৯৬৪ সালে তিনি এমআরসিপি পাস করেন এবং হ্যামার স্মিথ হসপিটাল অ্যান্ড পোস্টগ্রাজুয়েট মেডিকেল স্কুল, লন্ডন থেকে কার্ডিওলজিতে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

;