আমিন কলোনীতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে চসিক মেয়র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানাধীন পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডস্থ আমিন কলোনীতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

বুধবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোবারক আলীকে সঙ্গে নিয়ে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ আমিন কলোনী পরিদর্শন করেন।

এ সময় সময় মেয়র বলেন, অগ্নিকাণ্ড একটি দুর্ঘটনা। আমাদের সচেতনতার অভাবে এ ধরণের দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়। আমরা সচেতন হলে এসব দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। তিনি ক্ষতিগ্রস্থ ১শত ৪০ পরিবারের মাঝে ২০ কেজি করে চাউলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন এবং ক্ষতিগ্রস্থদের বিপদে হতাশ না হয়ে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানান।

এ সময় সিটি মেয়রের সঙ্গে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি এম.ইলিয়াছ সরকার, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম, স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

   

খালাসের অপেক্ষায় বন্দরে বিস্ফোরক বোঝাই ৬ ট্রাক



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানিকৃত ৮৪ মেট্রিক টন বিস্ফোরকসহ ২ দিন ধরে খালাসের অপেক্ষায় ৬টি ট্রাক।

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বিস্ফোরকের এ চালানটি আমদানি করেন দিনাজপুরের গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে খালাসের অপেক্ষায় ৬টি ভারতীয় ট্রাক বেনাপোল বন্দরের ৩১ নম্বর ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে দাঁড়িয়ে আছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বেনাপোলের মেসার্স নাজমুল অ্যান্ড ব্রাদার্স নামের একটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠান পণ্য চালানটি খালাসের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বেনাপোল কাস্টমসে দাখিল করেছে। কাজ সম্পন্ন হলে ভারতীয় ট্রাক থেকে এসব বিস্ফোরক দ্রব্য খালাস করে বাংলাদেশি ট্রাকে নেওয়া হবে। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) ট্রাকগুলো দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে বেনাপোল বন্দর থেকে ছেড়ে যেতে পারে বলে জানা গেছে।

এদিকে সাধারণ ব্যবসায়ীরা জানান, মাঝেমাঝেই এসব বিস্ফোরক পণ্য এপথে আমদানি হয়ে থাকে। সাধারণ পণ্যের সাথে বন্দরে এসব বিস্ফোরকবাহী ট্রাক রাখা হয়। এসব পণ্য আরো নিরাপদ স্থানে নিয়ে দ্রুত খালাস করার ব্যবস্থা থাকা দরকার।

বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্র্যাফিক) রেজাউল করিম জানান, ভারত থেকে ৬টি ট্রাকে ৮৪ টন বিস্ফোরক আমদানি হয়। কাগজ পত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষ না হওয়ায় এখন পর্যন্ত এসব ট্রাক বন্দরে রয়েছে। খনন কাজ পরিচালনার জন্য ভারতের নাগপুর থেকে এ বিস্ফোরক দ্রব্য আমদানি করা হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বন্দর এলাকায় প্রশাসনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

;

‘মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরা মানবাধিকারের প্রেসক্রিপশন দেয়, এটিই দুর্ভাগ্য’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা 
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য যে, চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরাই বেশি বেশি মানবাধিকারের কথা বলে, নানা প্রেসক্রিপশন দেয়।’

রোববার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেসক্লাবে চিটাগাং জার্নালিস্ট ফোরাম ঢাকা (সিজেএফডি) আয়োজিত জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য ও সিজেএফডি’র সাবেক দুই প্রয়াত সভাপতি এম ওয়াহিদ উল্লাহ এবং শীলব্রত বড়–য়া’র স্মরণসভায় বিশ্ব মানবাধিকার দিবস প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'আজকে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। এখন দেখা যাচ্ছে যে, যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তারা মানবাধিকার নিয়ে বেশি কথা বলা শুরু করেছে। দেশে আগুনসন্ত্রাস চালিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা এবং অবরোধ ডেকে দিনের পর দিন মানুষকে যারা অবরুদ্ধ করে রাখতে চায়, মানুষ তাদেরকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যখন স্বাভাবিক কাজকর্ম চালায়, তখন চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে মানুষের অধিকার হরণ করে, মানবাধিকার হরণ করে তারা আবার প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে মানবাধিকারের কথা বলে। এটিই আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য।'

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ফিলিস্তিনে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, পাখি শিকার করার মতো করে মানুষ শিকার করছে, নারী ও শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে ,১৮ হাজার নিহত মানুষের মধ্যে ১৩ হাজার নারী ও শিশু। সেখানে হত্যা বন্ধের বিপক্ষে যারা কথা বলে, সেখানে হত্যাযজ্ঞ চালানোর জন্য যারা ইসরাইলকে অস্ত্র সরবরাহ করে, তারা আবার বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারের প্রেসক্রিপশন দেয়, এটিই বিশ্ববাসীর জন্য দুর্ভাগ্য।’

প্রয়াত সাংবাদিক এম ওয়াহিদ উল্লাহ ও শীলব্রত বড়ুয়া সাংবাদিক সমাজের উজ্জ্বল মুখ ছিলেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা গণমাধ্যমের জন্য আজীবন কাজ করে গেছেন। সাংবাদিক হিসেবে লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে থেকে পেশাগতভাবে তারা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তাদের কাজ করে গেছেন।’

একটি রাষ্ট্রের বিকাশের জন্য ভালো সাংবাদিকতার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক সময় রাষ্ট্র পথ হারিয়ে ফেলে। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে যারা থাকেন তারাও অনেক সময় পথ হারিয়ে ফেলে, সে ক্ষেত্রে একজন সাংবাদিক কিন্তু রাষ্ট্র যাতে সঠিকখাতে প্রবাহিত হয় এবং যারা দায়িত্বে থাকেন তারা যাতে খেই হারিয়ে না ফেলে সে ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আজকে যারা সাংবাদিক সমাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তারা ভালো সাংবাদিক তৈরির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবেন।’

;

অবৈধভাবে পেঁয়াজ মজুদ করলে জব্দ করবে জেলা প্রশাসন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
অবৈধভাবে পেঁয়াজ মজুত করলে জব্দ করবে জেলা প্রশাসন

অবৈধভাবে পেঁয়াজ মজুত করলে জব্দ করবে জেলা প্রশাসন

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারত থেকে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের খবরে অস্থির হয়ে উঠেছে পেঁয়াজের বাজার। সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও রাতারাতি দফায় দফায় পেঁয়াজের দাম বেড়ে লাগাম ছেড়েছে। এবার সেসব অবৈধভাবে পেঁয়াজ মজুদদারদের সতর্ক করে দিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) রাতে জেলা প্রশাসক এসব কথা জানিয়েছেন। এদিন বিকেলে অস্থির পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে অভিযানে নামে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: উমর ফারুক।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘কোনো আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য অবৈধভাবে মজুদ কিংবা এসব পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ালে জেলা প্রশাসন মজুদ করা পণ্য জব্দ করতে পারে। আড়ত ও বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে জেল-জরিমানা, পণ্য জব্দ, আড়ত-দোকান সিলগালাসহ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে পেঁয়াজের ক্রমবর্ধমান মূল্য নিয়ে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের সাথে বসে তাদের মতামত, পরামর্শ, যুক্তি উপস্থাপন করবে।’

এসময় খাতুনগঞ্জে মূল্য তালিকা না থাকা, ক্রয় বিক্রয় রশীদ অসংরক্ষণের মতো অনিয়ম ও সরকার নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত দামে বিক্রির অপরাধে দুটি মেসার্স মেহের আলী ট্রেডার্সকে ১০ হাজার টাকা এবং মেসার্স মোহাম্মদ আলি আহম্মদ ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ব্যবসায়ীর দাবি বেশি দামে কেনার কারণে উচ্চমূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে। আবার খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি তাদেরও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে পাইকারি বাজার থেকে। পাইকারি দোকান থেকে সংগ্রহকৃত রশিদে দেখা যায় সৌমিক ট্রেডার্স, আবুল বশর অ্যান্ড সন্স, মেসার্স মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, মেসার্স জান্নাতুল মাওয়া এই আড়তগুলো থেকে কেজিপ্রতি ১৭৫-১৯৮ টাকায় পাইকারি দোকানে বিক্রি হয়। জানা যায় খাতুনগঞ্জ, চাক্তাই এবং পাহাড়তলী বাজারে আড়তদাররা উচ্চমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক বলেন, বাজারে বিভিন্ন দোকানে জরিমানা করার পাশাপাশি মনিটরিং অব্যাহত থাকবে। এছাড়াও সরবরাহ কমার অজুহাতে যাতে ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়াতে না পারে সেই বিষয়েও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।

অভিযানে আড়তদারদের জরিমানা পাশাপাশি সবাইকে সতর্ক করা হয়। অস্বাভাবিক মূল্যে পেঁয়াজসহ ভোগ্যপণ্য বিক্রির অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

;

পেঁয়াজের বাজার: ম্যাজিস্ট্রেট এলে ১১০, চলে গেলে ২০০



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার পৌর শহরের জমদ্দার বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটকে দেখেই ১৮০ টাকার পরিবর্তে পেঁয়াজের কেজি ১১০ টাকায় বিক্রি করেন দোকানিরা। তবে ম্যাজিস্ট্রেট চলে যাওয়ার পর ফের ২০০ টাকায় বিক্রি হয় পেঁয়াজ।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশন (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ফখরুল ইসলাম বাজারের পাইকারি ও খুচরা দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় সরকার নির্ধারিত দামের চাইতে অতিরিক্ত মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করায় ২ জন ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, শনিবার থেকে ছাগলনাইয়ার বিভিন্ন হাট-বাজারে ১১০ টাকার পেঁয়াজ দাম বাড়িয়ে ১৮০ টাকা দরে বিক্রি করেন দোকানিরা। রোববার দুপুরে জমদ্দার বাজারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি টের পেয়ে দোকানিরা ১৮০ টাকা থেকে দাম কমিয়ে ১১০ টাকা করে কেজিপ্রতি পেঁয়াজ বিক্রি করেন। তবে বিকেলে আবারও ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে দেখা গেছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ফখরুল ইসলাম জানান, যেসব দোকানে আগের ক্রয়কৃত মূল্যের পেঁয়াজ মজুদ রয়েছে তাদেরকে ক্রয় মূল্যের চেয়ে সামান্য লাভে বিক্রি করতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা যদি অধিক মূল্যে ক্রয় করে সেক্ষেত্রে বিক্রয় মূল্য কিছুটা বাড়তে পারে। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হবে।

;