পূর্ব শত্রুতার জেরে রাজবাড়ীতে দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। ওই দুই নেতা স্থানীয় বালু ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
মিজানপুর ইউনিয়নের সূর্যনগর রেলগেট এলাকায় বুধবার (৪ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে ওই ঘটনা ঘটে।
আহত দুই আওয়ামী লীগ নেতা হলেন, মিজানপুর ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হান্নান শেখ (৪৫) ও একই ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর মন্ডল (৩৫)।
স্থানীয়রা জানান, হান্নান শেখ মিজানপুর ইউনিয়নের জৌকুড়া ঘাটে বালু ব্যবসা করেন। বুধবার (৪ অক্টোবর) বিকালে হান্নান ও সাগর মন্ডল সূর্যনগর রেলগেট এলাকায় চায়ের দোকানে বসেছিলেন। এ সময় ২৫-৩০ জন দুর্বৃত্ত হান্নান শেখ ও সাগরকে চাপাতি, রামদা দিয়ে কুপিয়ে ও হাতুড়িপেটা করে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
হান্নান শেখের স্ত্রী শিল্পী খাতুন অভিযোগ করে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বালুর ব্যবসাকে কেন্দ্র করে আমার স্বামীর সঙ্গে রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সদস্য আজম আলী মন্ডলের দ্বন্দ্ব ছিল। আমার স্বামীকে হত্যার হুমকিও দিয়ে আসছিলেন ওই আজম। বিকালে আমার স্বামী চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় আজম মন্ডলের নির্দেশে মিজানপুর ইউনিয়নের সূর্যনগর গ্রামের মো. বড় আলিম, পিয়াস, রাব্বি, শাকিল, কদম আলী, তসলিম তুষারসহ ২৫-৩০ জন সন্ত্রাসী আমার স্বামী ও সাগরকে কুপিয়ে ও হাতুড়িপেটা করে পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা আমার স্বামীকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে আমার স্বামী ও সাগরের অবস্থার অবনতি হলে তাদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আহত দুইজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করা হয়েছে।’
অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা পরিষদের সদস্য আজম আলী মন্ডল বলেন, ‘আমার লোকজন ওই হামলার সঙ্গে জড়িত নয়। আমি সারাদিন রাজবাড়ীতে ছিলাম। হান্নান শেখ ও সাগর মন্ডল মাদক সেবন করে। স্থানীয়রা হয়তো তাদের গণপিটুনি দিয়ে থাকতে পারেন।’
রাজবাড়ী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত আছে।’