তিস্তার চরে সবুজের সমারোহ: ব্যস্ত কৃষকরা

  • বর্ণালী জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

তিস্তা নদীতে কয়েকমাস আগেও ছিল অথৈ পানি। এখন সেই পানি শুকিয়ে যাওয়ায় তিস্তার বুকে জেগে উঠেছে হাজার হাজার হেক্টর চর। যেদিকে চোখ যায় শুধু ধু-ধু  বালুচর ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়ে না। সেই বালুচরে ভুট্টাসহ আলু, পেঁয়াজ, রসুন ও মিষ্টিকুমড়া চাষাবাদে ব্যস্তসময় পার করছেন স্থানীয় কৃষকরা। ব্যাপক পরিসরে তিস্তার চরে চাষাবাদ হওয়ার ফলে কর্মসংস্থান হয়েছে অনেক পুরুষ ও নারী শ্রমিকের। কেননা কৃষি সেক্টর ছাড়া তেমন কোনো কাজের সুযোগ নেই এ অঞ্চলে।

কৃষকরা বলছেন, এ বছর বন্যায় ভারত থেকে কাদা পানি আসার ফলে তিস্তা নদীতে পলি জমে এসব চর দেখা দিয়েছে। এসব জমিতে বিভিন্ন আবাদ ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তারা।

বিজ্ঞাপন

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় আলু চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার ৩ শত হেক্টর জমিতে আর ভুট্টা ৩২ হাজার ৯ শত ২০ হেক্টর জমিতে। এছাড়াও পেঁয়াজ ৯ শত এবং রসুন ৪ শত হেক্টর জমিতে চাষাবাদের লক্ষমাত্রা রয়েছে।

তিস্তার চরে চাষাবাদে ব্যস্ত কৃষক। ছবি: বার্তা২৪.কম 

কৃষকরা বলেন, তিস্তার চরে এক একর জমিতে আলু, পেঁয়াজ, কুমড়া আবাদ করতে গড়ে খরচ হয় ১৫-২০ হাজার টাকা। এক বিঘা জমিতে ৩০-৩৫ মণ আবাদ করে স্থানীয়দের চাষাদের অভাব ঘোচে।

বিজ্ঞাপন

কৃষক সালাউদ্দিন বলেন, আমি ৫ একর জমি লিজ নিয়ে আবাদ করে নিজের পরিবারের চাহিদা মিঠিয়ে বাকিটা বিক্রয় করি।

মাঠে কাজ কাজ করতে আসা নারী শ্রমিকরা বলেন, এখন মৌসুম তাই কিছু টাকা উপার্জন হইলে পরে সংসারে আগায়। তাই বাড়িতে বসি না থাকিয়া আইছি। সারাদিন কাজ করলে ৩৫০-৪০০ টাকা মজুরি পাই।

এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ওবায়দুর রহমান মণ্ডল বলেন, তিস্তায় এক মৌসুমে পানি থাকলেও আরেক মৌসুমে সোনার ফসল ফলে। এই ফসলে কৃষকেরা অনেক উপকৃত ও সচ্ছল হয়ে থাকেন। শীতকালীন সবজি, আলু, পেঁয়াজ, কুমড়া, ভুট্টা, গম আবাদ হয় এখানে। যেহেতু দাম ভালো পান কৃষকরা তাই তাদের উৎসাহিত করছি আমরা। এতে নিজেদের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অর্থনৈতিক খাতেও অবদান রাখা সম্ভব।