ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে র্যাবের হাতে গ্রেফতার ২৪
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার চাঁদ উদ্যান ও শেরে বাংলানগর থানা শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালসহ তেজগাঁও বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতির ও ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে কিশোর গ্যাংয়ের ২৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) থেকে ২৯ নভেম্বর বিকেল ৪টা পর্যন্ত র্যাব-২ পৃথক বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেফতার করে।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (এএসপি) শিহাব করিম।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা বিভিন্ন অপরাধে মারাত্মকভাবে জড়িয়ে পড়ছে। কিশোর গ্যাং সদস্যরা মাদকাসক্ত হওয়ায় মাদকের টাকা জোগাড় করার জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে ডাকাতি, ছিনতাই ও চুরির মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে যায়।
বিশেষ করে র্যাব-২ বিভিন্ন মাধ্যমে জেনেছে মোহাম্মদপুর, হাজারীবাগ, আদাবর, শেরেবাংলা নগরের আশপাশ এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও পথচারীদের কাছ থেকে মোবাইল ছিনতাইসহ নানা অপরাধে জড়িত। এই বিষয়ে বিভিন্ন থানায় একাধিক সাধারণ ডায়েরি ( জিডি) ও মামলা হয়েছে। সাধারণ মানুষ এই সকল কিশোর গ্যাংয়ের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে এতে এলাকার পথচারী মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
রাজধানীবাসী বিভিন্ন এলাকায় চলাচলকালে ডাকাত ও ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। নারী, পুরুষ, স্কুলগামী শিক্ষার্থীসহ নির্বিশেষে সবাইকে তিক্ত অভিজ্ঞতায় পড়তে হয়।
এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-২ এই চক্রের উপর গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার চাঁদ উদ্যান এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ১২ জন এবং ১২ ছিনতাইকারীসহ কিশোর গ্যাংয়ের ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবকে জানিয়েছে, তারা একাধিক সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং চক্রের সদস্য। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রাতের অন্ধকারে ফুটপাতের দোকান ও পথচারীদের ক্ষুর-চাকু ও দেশিয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে টাকা-পয়সা, স্বর্ণালঙ্কার, মুঠোফোনসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করত।
গ্রেফতারকৃতরা র্যাবকে আরও জানিয়েছে, রাজধানীর বিভিন্ন থানায় তাদের নামে ডাকাতি ও ছিনতাইসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে পরবর্তীতে র্যাব-২ এই ধরনের অভিযান রাখবে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।