চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী থানায় হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগে মো. পারভেজ (২৮) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে একটি একনলা বন্দুক উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) ভোরে নগরীর সিগন্যাল মোড় থেকে পাহাড়তলী থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। পরে তার দেওয়া তথ্যে রাত পৌনে ৯টার দিকে নগরীর হাজী ক্যাম্প এলাকায় একটি ভবনের পাশ থেকে মাটি খুঁড়ে একনলা বন্দুকটি উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাবুল আজাদ। তিনি জানান, গ্রেফতারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় গত ৫ আগস্ট পাহাড়তলী থানায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় অন্যান্য লোকজনের সঙ্গে মো. পারভেজও জড়িত ছিল। জিজ্ঞাসাবাদে সে তার নিকট একটি অবৈধ অস্ত্র আছে বলে জানায়। অস্ত্রটি সে পাহাড়তলী থানাধীন হাজী ক্যাম্পের ভিতরে আক্কেল আলী মিস্ত্রী বাড়ির পিছনে পরিত্যক্ত ভবনের পাশে মাটির নিচে কালো রঙের পলিথিনে মুড়িয়ে লুকিয়ে রেখেছে।
ওসি আরও জানান, একটি আভিযানিক দলকে সাথে নিয়ে হাজী ক্যাম্পের ভিতরে আক্কেল আলী মিস্ত্রীর বাড়ির পিছনে অবস্থিত পরিত্যক্ত ভবনের পাশে অভিযান চালিয়ে আসামির স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে উপস্থিত লোকজনের উপস্থিতিতে আজ শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে এক-নলা বন্দুকটি উদ্ধার করা হয়।
ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। ওইদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরীর অন্তত ১১টি থানা আক্রান্ত হয়। আগুন দেওয়া হয় আটটি থানায়। ছয়টি থানা থেকে লুট করে নেওয়া হয় অস্ত্র। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় কোতোয়ালি, পতেঙ্গা, ইপিজেড, সদরঘাট ও ডবলমুরিং থানা।
বান্দরবানের রুমার গহীন জঙ্গলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) তিনজন সদস্য মারা গেছেন।
রোববার (২৪ নভেম্বর) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়, বান্দরবানের রুমা উপজেলার গহীন জঙ্গলে সেনাবাহিনীর অভিযানে কেএনএ-এর গোপন আস্তানার সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিন কেএনএ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। এসময় অস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযান চলমান আছে বলেও জানিয়েছে আইএসপিআর।
নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এস এম মো. নাসির উদ্দীন ছাড়াও চার নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নিয়েছেন।
রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার পর সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তাদের শপথ পাঠ করান প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
এর আগে গত ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান সাবেক সচিব এ এস এম মো. নাসির উদ্দীন। তার সঙ্গে চার নির্বাচন কমিশনারের নামও ঘোষণা করা হয়।
ওই চার নির্বাচন কমিশনার হলেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব তহমিদা আহ্মদ ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাদের নিয়োগ দেন।
অতীতের নির্বাচন কমিশন একতরফা ভোটের আয়োজনের মাধ্যমে যে শপথ ভঙ্গ করেছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার।
রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক শেষে তিনি এই মন্তব্য করেন।
বদিউল আলম বলেন, আগের নির্বাচন কমিশন যে বিতর্কিত নির্বাচন ও কলঙ্কজনক নির্বাচন করেছে বা পাতানো নির্বাচন করেছে এটা করার মাধ্যমে তারা শপথ ভঙ্গ করেছে, সংবিধান ভঙ্গ করেছে এইজন্য তাদের বিচারের আওতায় আনার কথা সবাই বলেছে।
নাগরিক সমাজের প্রতিনিধের সাথে বৈঠক শেষে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আজকে যারা এসেছেন তারা অনেক অভিজ্ঞ গবেষক। আমরা তাদের সাথে খোলামেলা আলোচনা করেছি। এই আলোচনা থেকে যেটা সুস্পষ্ট হলো তত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করতে হবে শক্তিশালী করতে-বিশেষ করে আর্থিক স্বাধীনতা দিতে হবে বলে সবাই মন্তব্য করেছেন। সেই সাথে সরকারের অধীনে আরেকটা সরকার হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
তিনি বলেন, নাগরিক সমাজের যারা এসেছে তারা সবাই ভোটে 'না' ভোটের বিধান চালু করা কথা বলেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার দাবি জানিয়েছে। রাজনৈতিক দলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হলে দেশে গণতন্ত্র আসবেনা। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির পদকে শক্তিশালী করার কথা বলেছেন।
সংসদে সংরক্ষিত আসন নিয়ে তিনি বলেন, সংসদে নারী সংরক্ষিত আসনে সরাসরি ভোটে ব্যবস্থা করার কথা বলেছেন এবং নারীর জন্য সরাসরি আসন থাকতে হবে ও প্রত্যক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।