আলোচনায় এখন ‘মন্ত্রিসভা’



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
সচিবালয়-সংগৃহীত।

সচিবালয়-সংগৃহীত।

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরের অবস্থানে আছে তাদের নির্বাচনী শরিক জাতীয় পার্টি। তৃতীয়স্থানে আছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

নির্বাচনের ভোটের আলোচনার পর দৃষ্টি এখন মন্ত্রিসভার দিকে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের মন্ত্রিসভা কেমন হতে পারে? কোন চমক থাকছে কি-না? এই আলোচনা এখন নানা মহলে।

বেসরকারি ফলাফলে, আওয়ামী লীগ ২৫৭, জাতীয় পার্টি ২২, বিএনপি ৫,গণফোরাম ২, বিকল্পধারা ২, ওয়ার্কার্স পার্টি ২, জাসদ ২, তরিকত ফেডারেশন ২, জেপি ১, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৪টি আসনে জয়ী হয়েছেন। নির্বাচনী সহিংসতার কারণে স্থগিত করা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে নির্বাচন। অন্যদিকে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীর মৃত্যূতে নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়েছে গাইবান্ধা-৩ আসনের নির্বাচন।

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই মুহূর্তে নবনির্বাচিত এমপিরা এলাকায় অবস্থান করছেন। দু’একদিনের মধ্যেই তারা ঢাকায় চলে আসবেন। এক সপ্তাহের মধ্যেই নতুন মেয়াদের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপরই মন্ত্রীসভার বিষয়টি সামনে আসবে।

শেখ হাসিনার মন্ত্রীসভায় মানেই নিত্যনতুন চমক। যার শুরুটা হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। নির্বাচনে জয়ী হয়ে শেখ হাসিনা প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন ওই বছরের ২৩ জুন। সে সময় প্রধানমন্ত্রী প্রথম সর্বদলীয় সরকার গঠনের আগ্রহ প্রকাশ করে বলেছিলেন, আমরা সকলে মিলে দেশটাকে এগিয়ে নিতে চাই। তখন জাতীয় পার্র্টির ১ জন, জাসদের ১ জন এমপি মন্ত্রিসভায় যোগদান করেন। মাঝামাঝি সময়ে এসে বিএনপি’র দু’জন নেতা মন্ত্রিসভায় যোগদান করেন। যদিও তাদেরকে বিএনপি দল থেকে বহিস্কার করে দেয়।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শেখ হাসিনা। তখন মহাজোটের শরিক দলগুলোকে নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করেন।

দশম সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি তৃতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। ওই সময়েও মন্ত্রিসভায় প্রধান বিরোধীদল জাতীয় পার্টির ৩ জন, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও জেপির একজন করে নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করে চমক দেখান।

একাদশ সংসদেও  বিপুলসংখ্যক আসন নিয়ে শপথ নিতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। মন্ত্রিসভায় এবার রাজপথের বিরোধীদল বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্ট থেকে কেউ থাকছে কি-না সে গুঞ্জন নানা মহলে। আবার জাতীয় পার্টি বিরোধীদল হলে গতবারের মতো মন্ত্রিসভায় থাকবেন কি-না সে বিষয়ে চলছে নানা রকম মুখরোচক আলোচনা। তাদের শরীকদল থেকে কে কে থাকছেন সে নিয়েও অনেক হিসেবে নিকেশ। গতবারের কোনো মন্ত্রী বাদ পড়ছেন? নতুন কে বা আসছেন? মন্ত্রিসভার আকার কেমন হবে তা নিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা।

কেমন মন্ত্রিসভা চাই?

আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভা নিয়ে মানুষের মধ্যে দারুণ আগ্রহ। তারা যেমন গত মন্ত্রীসভার বিতর্কিতদের এবার দেখতে চাননা। ঠিক তেমনি তরুণ-প্রবীণের সমন্বয়ের তৈরি একটি কার্যকর ও দায়িত্বশীল মন্ত্রিসভা চান। যারা হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরীক্ষিত, জনমানুষের প্রতি অনুভূতিপ্রবণ ও জবাদিহিতায় উৎসাহী।

মন্ত্রিসভা নিয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বার্তা২৪কে বলেন, আওয়ামী লীগ যে বিশাল ম্যান্ডেট পেয়ে নির্বাচনে জয় লাভ করেছে এবার তাদের জনগণের সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। আর সেজন্য আওয়ামী লীগের ইশতেহারে আগামী পাঁচবছরের কর্মপরিকল্পনা সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সেই ইশতোহার  অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সমাজকে দুর্নীতিমুক্ত করা। যেটাকে বলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স‘। আমি চাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরীক্ষিত ব্যক্তিরাই মন্ত্রিসভায় স্থান পাক।

মন্ত্রিসভা গঠনের ক্ষেত্রে নবীণ ও প্রবীণের সমন্বয়ের কথা তুলে ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শান্তা তাওহিদা বার্তা২৪কে বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী নির্বাচনের সময় ব্যক্তির পড়াশুনা, কর্মক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা, বিশেষত্ব এই বিষয়গুলোও গুরুত্বদিয়ে দেখা দরকার। সেটা হলে নেতৃত্বের সফলতা দেখতে পাব।

এদিকে মন্ত্রিসভায় তারুণ্যের প্রাধান্য চান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ। তিনি বলেন, নওফেল, মাশরাফি, তন্ময়ের মত তারুণ্যকে মনোনয়ন দিয়ে যেমন আওয়ামী লীগ চমক দেখিয়েছে তেমনি মন্ত্রিসভা গঠনে তরুণদেরও প্রাধান্য দেওয়া হোক। এটা তরুণদের অনুপ্রাণিত করবে।

ফ্রিল্যান্স কলামিস্ট শরিফুল হাসান বার্তা২৪কে বলেন, ‘আমরা এবার অতীতের কোনো ব্যর্থ, কোন বিতর্কিতকে, কোন দুর্নীতিবাজকে মন্ত্রিসভায় দেখতে চাই না। তার চেয়ে বরং তরুণদের মন্ত্রিসভায় দেখতে চাই। মন্ত্রিসভায় সত্যিকারের সৎ ও ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করুন। আর যারাই মন্ত্রী হবে বলে দিন, ব্যর্থ হলে দায় নিয়ে সঙ্গে সঙ্গেয পদত্যাগ করতে হবে। এবার জবাবদিহিতার সংস্কৃতি দেশে তৈরি করতে দেশে।’

   

‘সার্বজনীন নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম

  • Font increase
  • Font Decrease

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা তথা জনগণের বহুল আকাঙ্ক্ষিত স্বপ্নপূরণ করতে হলে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে নাগরিক সব সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। সার্বজনীন নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য উদ্ভাবন 'আমার গ্রাম, আমার শহর'। তিনি জনগণের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে নির্বাচনের পূর্বে ঘোষণা করেছিলেন, দেশের সব গ্রামে শহুরে সেবাগুলো পৌঁছে দেওয়া হবে। বর্তমান সরকার 'আমার গ্রাম, আমার শহর' বাস্তবায়নের মাধ্যমে সে প্রতিশ্রুতি পূরণে কাজ করে যাচ্ছে। সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো যেমন ভূমিকা রাখছে, তেমনি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রতি ছয় হাজার জনের জন্য স্থাপন করা হয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিক। কোভিডসহ যেকোনো দুর্যোগকালীন সময়ে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।

বুধবার (২৬ জুন) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিতব্য আরবান্ রিজিলিয়েন্স ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

স্থানীয় পর্যায়ে অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে ৯৭ শতাংশ অবকাঠামো নির্মিত হয়ে গেছে। যা একসময় কল্পনাও করা যেতো না। পল্লী অঞ্চলে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে না পারলে ঢাকা শহরে জনসংখ্যাগত সমস্যার সমাধান হবে না। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার প্রতিটি স্তরে নাগরিক সেবা পৌঁছে দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ভৌগোলিক অবস্থান, ভূ-সংস্থান এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বাংলাদেশ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হয়। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক সংকটকে আরও বাড়িয়ে তোলে। এই সংকট মোকাবিলায় সবার একসাথে কাজ করতে হবে। এ সম্পর্কিত পারস্পরিক জ্ঞান আদান-প্রদান করতে হবে। সরকারের পাশাপাশি দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক এনজিওগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. মাসুম পাটোয়ারী (যুগ্ম সচিব) এবং মূলপ্রবন্ধ পাঠ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানের সভাপতিত্বে এতে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ্ কুক, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফেন লিলারসহ প্রমুখ।

;

হালদা নদীতে মিলল মৃত ডলফিন, বয়সজনিত কারণে মৃত্যু!



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
মৃত ডলফিন, ছবি: সংগৃহীত

মৃত ডলফিন, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের হালদা নদীতে ভেসে ওঠা এক মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছে। প্রায় সাত ফুট দীর্ঘ ও ৮৮ দশমিক ৮৯ কেজি ওজনের এই ডলফিনটি। গবেষকরা জানিয়েছেন, বয়সজনিত কারণেই মৃত্যু হয়েছে এই ডলফিনের।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার গড়দুয়ারা এলাকায় নদীতে ভেসে আসে মৃত ডলফিনটি। এর আগে দেড়বছর হালদা নদীতে মৃত ডলফিন ভেসে ওঠার ঘটনা ঘটেছিল। স্থানীয়রা ডলফিনটি উদ্ধার করে নদীর তীরে তোলেন। পরে খবর পেয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিচার্স ল্যাবরেটরির গবেষকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ডলফিনটির সুরতহাল করে মাটি চাপা দেন।

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ও হালদা নদীতে গাঙ্গেয় প্রজাতির ডলফিনের বিচরণ রয়েছে। নদীপাড়ের বাসিন্দারা স্থানীয়ভাবে একে হুতুম বা ‍শুশুক নামে অভিহিত করেন। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) গাঙ্গেয় ডলফিনকে বিপন্ন হিসেবে লাল তালিকায় রেখেছে। ২০১২ সালের বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুসারে এই প্রজাতিটি সংরক্ষিত।

গবেষকদের হিসেব অনুযায়ী, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাত্র ছয় মাসে হালদা নদীতে ১৮টি মৃত ডলফিন পাওয়া যায়। ২০১৮ সালের মার্চ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে ১০টি, ২০২১ সালে পাঁচটি এবং ২০২২ সালে ছয়টি মৃত ডলফিন পাওয়া যায়। এ পর্যন্ত হালদা নদীতে ৪১টি ডলফিনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবারের ঘটনার আগে সর্বশেষ ২০২২ সালের ৩ নভেম্বর হালদা নদী থেকে একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছিল। এছাড়া কর্ণফুলী নদীতে এ পর্যন্ত দুটি মৃত ডলফিন পাওয়া গেছে।

হালদা রিচার্স ল্যাবরেটরির কো-অর্ডিনেটর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া জানিয়েছেন ডলফিনটি কয়েকদিন আগে মারা গেছে। তিনি বলেন, ডলফিনটির শরীরে পচন ধরেছে। সুরতহাল করার সময় কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তাই প্রতিবেদনে আমরা বয়সজনিত কারণে মৃত্যু উল্লেখ করেছি।

তবে মৃত ডলফিনটির বয়স নির্ধারণ করা যায়নি। অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, ছয় থেকে সাত মাস পর ডলফিনটির হাড় সংগ্রহ করার পর পরীক্ষা করা হবে। তখন বয়স বলা যাবে। তবে একটি ডলফিন সাধারণত ১৫ থেকে ২০ বছর বাঁচে।

;

এফডিসিকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেওয়ার সুপারিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জাতীয় সংসদ/ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কাজের মানোন্নয়ন ও সুনিপুণভাবে কাজের তদারকিকরণে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনকে (এফডিসি) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনার জন্য কমিটির পক্ষ থেকে পুনরায় সুপারিশ করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

বুধবার (২৬ জুন) বিকেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির তৃতীয় বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে কমিটির সভাপতি আসাদুজ্জামান নূরের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান, ফেরদৌস আহমেদ, মোছা. জান্নাত আরা হেনরী, মো. নাইমুজ্জান ভূঁইয়া, মো. কামারুল আরেফিন এবং অনিমা মুক্তি গমেজ অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকের শুরুতে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্টে নিহত সব শহীদ, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনসহ সর্বস্তরের স্বাধিকার আন্দোলনে আত্মোৎসর্গকারী শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।

আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রোজ গার্ডেনে অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক আয়োজনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় আন্তরিকভাবে কাজ সম্পন্ন করায় কমিটির পক্ষ থেকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীসহ মন্ত্রণালয়ের সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়।

বৈঠকে সংস্কৃতি মন্ত্রলায়ের সচিব, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক, প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের মহাপরিচালক, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক, গণগ্রন্থাগার ও আর্কাইভ অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অন্যান্য অধিদফতরের প্রধান এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;

ইউরেনিয়াম বিক্রির নামে প্রতারণা, গ্রেফতার ৬



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
প্রতারণা চক্রের সদস্যরা, ছবি: সংগৃহীত

প্রতারণা চক্রের সদস্যরা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীতে আন্তঃজেলা ইউরেনিয়াম প্রতারণা চক্রের মূলহোতাসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে র‍‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব-৫)।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে র‍্যাব-৫ কার্যলয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাত পৌনে ১০টার দিকে নগরীর গ্র‍্যান্ড রিভার ভিউ হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন- রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার সাগরপাড়া এলাকার কেএম হাবিবুর রহমানের ছেলে কেএম রায়হানুল ফেরদৌস (৪৩), চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার রাধানগর এলাকার মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে নাদিরুজ্জামান ওরফে মিরুজ্জামান (৪২), ঝাউবোনা এলাকার মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে আব্দুস ছামাদ (৪০), দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার পশ্চিম গৌড়ীপাড়ার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে মোসলেম উদ্দিন (৬০), নবাবগঞ্জ উপজেলার মহাজের পুর বামুনগড় এলাকার মৃত সিয়াম উদ্দিনের ছেলে আয়েশ উদ্দিন (৬৭) ও কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার সাতবাড়িয়া এলাকার মৃত ইদ্রিস মিয়ার ছেলে রাজু মিয়া (৩৮)।

র‍্যাব-৫ জানায়, সাক্ষীদের সম্মুখে আসামীগনদের জিজ্ঞাসাবাদে পরস্পর যোগসাজশে ইউরেনিয়াম সদৃশ বস্তুর কথা বলে লোকজনের সঙ্গে প্রতারণা করে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিল বলে স্বীকার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে রাজশাহী মহানগরের রাজপাড়া থানায় নিয়মিত প্রতারণা মামলা রুজু করা হয়েছে।

;