মাশরাফিকে ‘মন্ত্রী’ দেখতে চান নড়াইলবাসী
নড়াইল-২ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা খেলার মাঠ থেকে রাজনীতির মাঠে নেমেই বিজয়ী হয়েছেন। আর এ চমকের পেছনে প্রধান ভূমিকা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তিনি মাশরাফিকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছিলেন। এবার কী মাশরাফি বিন মর্তুজাকে মন্ত্রী পরিষদে জায়গা করে দিয়ে আরেকটি চমক দেখাবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা? তাহলে স্বাধীনতার পর এই প্রথম নড়াইলের কোনো সংসদকে মন্ত্রী হিসেবে পাবেন এলাকাবাসী।
জানা গেছে, আসলেন-ঘুরলেন-দেখলেন-জয় করলেন এবং চলেও গেলেন নড়াইল-২ আসনে বেসরকারিভাবে নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা। তিনি ভোটের মাঠ থেকে ঐতিহাসিক জয় তুলে নিয়ে ফিরে গেলেন খেলার মাঠে। মাশরাফি এবার বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দল রংপুরের নেতৃত্ব দেবেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ করেই মাঠে ফিরে গেছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। এমপি হওয়ার পরেও মাঠে ফেরার তাড়া ছিল ঠিক আগের মতোই। আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া বিপিএলের তিনদিন আগেই মাঠে ফিরেছেন তিনি।
নড়াইল থেকে নির্বাচনের একদিন পরেই মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) ঢাকায় ফেরেন মাশরাফি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন মাশরাফিসহ নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা। ১০ জানুয়ারির মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ গঠনের ঘোষণা দেওয়ায় নড়াইলবাসী আশায় বুক বেধেছে। তারা মনে করছে প্রধানমন্ত্রী মাশরাফিকে যেমন ভালোবেসে সংসদ সদস্য বানিয়েছেন, তেমনি তাকে মন্ত্রী পরিষদে স্থান দিয়ে ঐতিহাসিক ঘোষণা দেবেন।
এদিকে মাশরাফি বিন মর্তুজাকে মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছে জোর আলোচনা।
আবিদ মুন্সী নামে একজন লিখেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে নড়াইলবাসীর প্রাণের দাবি, মাশরাফি বিন মর্তুজাকে (কৌশিক) পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হিসাবে দেখতে চাই।’
নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ মীর্জা নজরুল ইসলাম জানান, নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, খেলাধুলা, কৃষি, পরিবেশসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাশরাফি বিন মুর্তজা এমপি নির্বাচিত হওয়ায় এসব উন্নয়ন কার্যক্রম আরও বাড়বে। মাশরাফিকে মন্ত্রী হিসাবে ঘোষণা দেয়ার দাবিও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, নড়াইল-২ (লোহাগড়া-সদরের একাংশ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাশরাফি বিপুল ভোটের ব্যবধানে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। নৌকা প্রতীকে তিনি পেয়েছেন দুই লাখ ৭১ হাজার ২১০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ৮৮৩ ভোট। দু'জনের ভোটের ব্যবধান ২ লাখ ৬৩ হাজার ৩২৭ ভোট। নড়াইলের ইতিহাসে এতো বেশি ব্যবধানের বিজয় আর কেউ পাননি বলে জানা গেছে।