পোস্টার 'অপসারণের চ্যালেঞ্জ' কি জিতবেন মেয়র?



মনি আচার্য্য,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ সংসদ নির্বাচন সম্পূর্ণ হওয়ার ৪ দিন কেটে গেছে। ইতোমধ্যে নির্বাচনে বিজয়ীরা শপথ গ্রহণ শেষ করেছেন। নির্বাচন থেকে শুরু করে একের পর এক প্রক্রিয়া চলছে দেশের সংবিধান ও আইনানুযায়ী। কিন্তু নির্বাচন কেন্দ্রিক একটি বিশেষ কাজ নিয়ে এখনো দেখা গেছে অবহেলা।

নির্বাচন সম্পূর্ণ হওয়ার ৪ দিন কেটে গেলেও নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার ব্যানার ও পোস্টার রয়ে গেছে রাজধানী জুরে। রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো থেকে পোস্টার সরানো হলেও আবাসিক এলাকাগুলো থেকে শুরু করে অলিতে গলিতে এখনো রয়ে গেছে ব্যানার ও পোস্টারের বেড়াজাল।

যদিও বুধবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ঘোষণা দিয়েছেন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডিএসসিসি এলাকা থেকে অপসারণ করা হবে সকল নির্বাচনী প্রচারণার সামগ্রী। কিন্তু এখন রাজধানীবাসীর মনে প্রশ্ন জাগছে এই ৪৮ ঘণ্টার চ্যালেঞ্জে কি জিতবেন মেয়র খোকন? তবে এই ঘোষণা ডিএনসিসির পক্ষ থেকেও দেওয়া হয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/03/1546525780253.JPG

অন্যদিকে রাজধানীর জুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, মেয়র এই ঘোষণা পূরণ করতে বেগ পেতে হচ্ছে ডিএসসিসিকে। কেননা মেয়রের ৪৮ ঘণ্টার ঘোষণার ৩০ ঘণ্টা শেষ হলেও এখনো বিভিন্ন এলাকায় রয়ে গেছে ব্যানার ও পোস্টার। আপাতত দৃষ্টি মনে হচ্ছে আগামী ১৮ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণার ব্যানার ও পোস্টার সরানো সম্ভব হবে না ডিএসসিসির পক্ষে।

সরেজমিনে আরও দেখে গেছে, ডিএসিসির এলাকার কয়েকটি প্রধান প্রধান সড়কে থেকে সরানো হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণার পোস্টার। কিন্তু ডিএসিসির প্রতিটি আবাসিক এলাকা ও অলিতে গলিতে এখনো রয়েগেছে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার পোস্টার। কোথাও ঝুলছে খুঁটির ওপর পোস্টার আবার কোথাও দেখা গেছে বিল্ডিং বা দোকানের সামনে রশি দিয়ে ঝুলানো আছে নৌকা,হাতপাখার পোস্টার। আর এসব ঝুলন্ত পোস্টারগুলো শিশিরে ভিজে ছিঁড়ে ছিঁড়ে রাস্তায় পড়ছে। ফলে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় জায়গায় তৈরি হচ্ছে ময়লা আবর্জনা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি প্রধান প্রধান সড়কগুলো থেকে কিছু পোস্টার অপসারণ করা হলেও আবাসিক এলাকাগুলোর অলিতে গলিতে এখনো আসেনি সিটি করপোরেশনের লোকজন। তাই এসব এলাকা এখনো নির্বাচনী পোস্টারের বেড়াজালে রয়েগেছে। তাই স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পোস্টার বা ব্যানার ছড়ানোর মেয়রের প্রতিশ্রুতি শেষ পর্যন্ত পূরণ হবে না।

এ বিষয়ে রাজধানীর পরিবাগের বাসিন্দা মো.রবিন বার্তা২৪কে বলেন, বড় বড় রাস্তা থেকে পোস্টার ব্যানার সরানো হলেও পরিবাগের ভিতরের অনেক এলাকায় পোস্টার এখনো সোভা পাচ্ছে। আর এসব পোস্টার রাস্তায় ছিঁড়ে ছিঁড়ে পড়ছে এবং রাস্তা নোংরা হচ্ছে। তবে যে গতিতে কাজ চলছে তা দেখে মনে হচ্ছে না মেয়র সাহেবের প্রতিশ্রুতি পূরণ হবে।

অন্যদিকে ঢাকা-৭ ও ঢাকা-৮ আসনে ব্যানার ও পোস্টারের বাহার দেখলে মনে হয় এখনো নির্বাচন শেষ হয়নি বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিমত।

বেলি রোডের বাসিন্দা মো.আফজাল বার্তা২৪কে বলেন, মেনন সাহেব তো আজ শপথ নিয়েছেন। তার পরেও আর প্রচারণার কি প্রয়োজন। ঢাকা-৮ আসনে তার পোস্টার দেখলে মনে হয় তার নির্বাচন এখনো শেষ হয়নি। আমরা মনে হয় না যে আগামী কালকের মধ্যে সব পোস্টার অপসারণ শেষ হবে।

তবে দুই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন থেকে জোড় দিয়েই বলা হচ্ছে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই প্রচারণার সামগ্রী অপসারণ সম্ভব হবে। এই লক্ষ্যে তারা বিশেষভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলেও দুই সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অতিরিক্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মিল্লাতুল ইসলাম বার্তা২৪কে বলেন, মেয়রের ঘোষণার পর থেকে ডিএসসিসির ৫৭ টি ওয়ার্ডে আমরা একযোগে নির্বাচনী প্রচারণার সামগ্রী অপসারণ শুরু করে দিয়েছি। ইতোমধ্যেই আমরা ব্যানার, পোস্টার, বিলবোর্ড ও ফেস্টুন অপসারণের কাজ অনেকখানি সম্পূর্ণ করে ফেলেছি। আশা করা যায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই নির্বাচনী প্রচারণার সামগ্রী অপসারণ করা সম্ভব হবে।

আর অন্যদিকে জানা গেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৬ ওয়ার্ডে চলছে নির্বাচনী প্রচারণা অপসারণের কাজ।

   

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, উত্তাল কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপ আরও ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। যার ফলে কিছুটা উত্তাল হয়ে উঠেছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত।

শুক্রবার (২৪ মে) আবহাওয়া অফিস থেকে পাওয়া তথ্য মতে, নিম্নচাপটি সকাল ৬টায় পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৭৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিলো। পায়রাসহ দেশের সব সমুদ্র বন্দর সমূহকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক মো: জিল্লুর রহমান বলেন, গতকালকের লঘুচাপটি আজকে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। উপকূলীয় এলাকা দিয়ে যে কোনো সময় দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সাথে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আসন্ন ঘূর্ণিঝড়কে কেন্দ্র করে চিন্তিত হয়ে ওঠেন উপজেলার মানুষগুলো। সব থেকে বেশি ঝামেলা পোহাতে হয় সৈকত তীরবর্তী জেলেদের।

কুয়াকাটা ঝাউবন এলাকার জেলে মো: মাহবুব বার্তা২৪.কমকে জানান, বিভিন্ন ঝড়, বন্যা শুনলেই আতঙ্ক লাগে। আমাদের নৌকা, জাল, তৈল পট, ফুলুট, সবই তীরে থাকে। শুনতেছি আবার ঝড় হবে তাই আমাদের আয়ের একমাত্র সম্বল নৌকা এবং মাছ ধরার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে রাখছি।

সাগর উত্তাল থাকলেও ঘুরতে আসা পর্যটকদের সৈকতের বেলাভূমিতে আনন্দ ফুর্তি করতে দেখা গেছে।

পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয় জানতে চাইলে ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পুলিশ সুপার মো: আনছার উদ্দিন জানান, সাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার কারণে সাগর কিছুটা উত্তাল হয়েছে। যদিও পর্যটকদের উপস্থিতি কম, তারপরও যারা আছেন তাদেরকে সতর্ক থাকতে মাইকিং করা হচ্ছে। এ নিয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ সার্বক্ষণিক কাজ করছে।

;

ডিমের দাম এখনো চড়া, হাতের নাগালে নেই সবজিও



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ডিমের দাম এখনো চড়া, হাতের নাগালে নেই সবজিও

ডিমের দাম এখনো চড়া, হাতের নাগালে নেই সবজিও

  • Font increase
  • Font Decrease

গত সপ্তাহের মতো এখনো বাড়তি ডিমের দাম। শুক্রবার (২৪ মে) চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ফার্মের লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা ডজন। আর সাদা ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা ডজন। এছাড়া দেশি হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা ডজন।

তবে বিভিন্ন প্রকারের সবজির দাম কিছুটা কমলেও অধিকাংশই বিক্রি হচ্ছে আগের মূল্যে। এতে নিরামিষের চাহিদা মিটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ নাগরিকদের।

সরেজমিনে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা দাম কমেছে শসা, পটল, বরবটি, ঢেঁড়স, চিচিঙ্গা ও বেগুনের। এরমধ্যে ১০ টাকা দাম কমে প্রতি কেজি শসার মূল্য ৫০ টাকা, ২০ টাকা কমে প্রতি কেজি পটল ও বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।

এছাড়াও কেজি প্রতি কাকরল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ও ঢেঁড়স ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ২০ টাকা কমে এক কেজি বেগুন কিনতে হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। তবে, প্রায় ৬০ থেকে ৮০ টাকা বেড়েছে আদা ও কাঁচা মরিচের দাম।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ মে) নগরীর বিভিন্ন বাজারে আদা ২৮০ এবং কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। গাজরের দামও বেড়েছে প্রায় ৪০ টাকা। বর্তমানে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে সবজিটি। এছাড়া প্রায় অপরিবর্তিতই রয়েছে অন্যান্য সবজির দাম।

বর্তমানে টমেটো ৫০ টাকা, লাউ ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, আলু ৬০ টাকা, ঝিঙে ৭০ টাকা, পেপে ৮০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ফুলকপি ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কচুর মুখী ৮০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা এবং লতি ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে কোরবানির ঈদ ঘিরে উত্তাপ বেড়েছে মসলার বাজারে। নগরীর খুচরা বাজারগুলোয় প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে এলাচ, দারচিনি ৬শ', গোলমরিচ এক হাজার টাকা এবং লবঙ্গ দুই হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

খাতুনগঞ্জে মানভেদে দেশি পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ভারতের পেঁয়াজ ছোট ৬২ থেকে বড় ৭০ টাকা।

খাতুনগঞ্জের মেসার্স মিতালী ট্রেডার্স এর মোহাম্মদ মোস্তফা জানান, পাবনার পেঁয়াজ আছে আমাদের আড়তে। কেজি ৬৬ টাকা। দেশি পেঁয়াজের দাম কম ও মান ভালো হওয়ায় চাহিদা বেশি। দেশি পেঁয়াজের বস্তায় পচা, গলা কম। ৬৪-৬৫ টাকা কেজি। স্পেশাল বড় পেঁয়াজ ৬৮ টাকা।

তবে, স্থিতিশীল রয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। বর্তমানে আকার ও জাত ভেদে দেশি পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, সয়াবিন তেল ১৫০ টাকা, পাম তেল ১৩৫ টাকা, পাঁচ কেজির বোতলজাত সয়াবিন তেল ৮০০ টাকা, চিনি ১৩০ টাকা এবং মসুর ডাল ১১০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে নগরে।

এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ-মাংসের দামও। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকা কেজি, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ১০০ টাকা কেজি। ব্রয়লার মুরগি ২৩০-৪০ টাকায়, আর লাল মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০-৩৮০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া পাকিস্তানি কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ টাকা করে।

বাজারে রুই মাছ ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৮৫০-৯০০ টাকা কেজি আর বড় চিংড়ি ৭০০ টাকা। এছাড়া পাবদা ৪০০, বড় বোয়াল ৬০০, ছোট বোয়াল ৫০০, টেংরা ৮০০, রুপচাঁদা এক হাজার ২০০, কালিবাউশ ৬০০, মৃগেল ২৮০-৩২০, কার্ফু ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চট্টগ্রাম ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল শুক্কুর বলেন, আমাদের বাড়তি দরে ডিম কিনে আনতে হচ্ছে। ব্যবসা যেহেতু করছি, আমাদেরও তো ন্যূনতম লাভ করতে হয়। তাই এখনো ডিমের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

;

নওগাঁয় ভুয়া চিকিৎসকের কারাদণ্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁর পত্নীতলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক ভুয়া চিকিৎসক সোমাইয়া তাবাসসুম সাবাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও ৩ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে উপজেলা সদরে এ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পপি খাতুন।

ভুয়া ডাক্তার সোমাইয়া তাবাসসুম সাবা (২৪) মহাদেবপুর উপজেলার আতুরা গ্রামের আবু সাঈদ খানের মেয়ে। এ সময় আদালত সোমাইয়াকে কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করে নওগাঁ কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পপি খাতুন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ডাক্তার পরিচয়ে এক নারী নজিপুর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে রোগী প্রতি ৬ শত টাকা ফি নিয়ে ব্যবস্থাপত্র প্রদান ও নিজেই বিভিন্ন টেস্ট করছিলেন। নির্দিষ্ট একটি কোম্পানির ওষুধ প্রমোট করছে যে কোম্পানির সরকারি অনুমোদন নেই। জিজ্ঞাসাবাদে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি, ডাক্তারি সনদপত্রের সঠিক প্রমাণাদি দেখাতে না পারায় ৩ মাসের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের রায় দেন আদালত।’

তিনি আরও বলেন, ‘মেয়েটি একটি কোর্স করেছে সেটা দিয়ে আইন অনুযায়ী রোগী দেখতে পারেন না ডাক্তারকে অ্যাসেস্ট করতে পারবে। এ কারণে তাকে ৩ মাসের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

;

চট্টগ্রামে ট্রাকের ধাক্কায় বাইক আরোহী কিশোরের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় ডাম্প ট্রাকের ধাক্কায় মোহাম্মদ কাইছার (১৭) নামে এক বাইক আরোহী কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এতে জিয়াউর রহমান জিয়া নামের আরেকজন আরোহী আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের আধুনগর ব্রিজের পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য জাফর আহমদ।

নিহত কাইছার লোহাগাড়া সদর ইউনিয়নের দরবেশহাট সাওদাগর পাড়ার নুরুল আবছার প্রকাশ বদনের ছেলে। আহত জিয়াউর রহমান একই এলাকার মৃত ফোরক আহমেদের ছেলে।

নিহতের পরিবারের কাছ থেকে জানা গেছে, নিহত কাইছার চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা বাজারে জিয়াউর রহমান জিয়ার মালিকানাধীন মেসার্স জননী এন্টারপ্রাইজে চাকরি করতেন। বৃহস্পতিবার রাতে দোকান বন্ধ করে জিয়াউর রহমান ও মোহাম্মদ কাইছার বাইকযোগে লোহাগাড়ায় বাড়ি ফেরার পথে আধুনগরে পৌঁছালে পেছন থেকে ডাম্প ট্রাক বাইকে ধাক্কা দেয়। পরে তাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে চন্দনাইশ পৌঁছালে কাইছারের মৃত্যু হয়।

দোহাজারী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খান মো. এরফান বলেন, এ ঘটনায় ড্রাম্প ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

;