চট্টগ্রামে রাস্তা পার হওয়ার সময় ট্রাক চাপায় শাহিদা আক্তারের (৪০) নামের এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (৯ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টায় নগরীর হিলভিউ আবাসিক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শাহিদা আক্তারে গ্রামের বাড়ি পটিয়া উপজেলায়। তার স্বামী আবু তৈয়ব।
বিজ্ঞাপন
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল হক ভূইয়া বার্তা২৪কে বলেন, ‘হেঁটে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি ট্রাকের চাপায় শাহিদা গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।’
রাজশাহীতে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে ৮ শয্যা বিশিষ্ট আইসিইউ ইউনিটের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।
রোববার (২৪ নভেম্বর) রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফলক উন্মোচন ও ফিতাকেটে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর প্রধান অতিথি ও অতিথিবৃন্দ আইসিইউ, সিসিইউ ও পিসিসিইউ ওয়ার্ড পরিদর্শন ও চিকিৎসাধীন রোগীদের খোঁজখবর নেন।
ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, হৃদরোগ একটি মারাত্নক রোগ। এ রোগে আক্রান্তরা মারাত্নক ঝুঁকিতে থাকেন। এটি অন্য রোগের মত নয়। তীব্রভাবে আক্রান্তরা খুব বেশি সময় পান না। রাজশাহীতে হৃদরোগীদের চিকিৎসায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠায় যারা অবদান রেখেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, গবেষণায় দেখা যায়, বিভিন্ন কারণে প্রতি পাঁচ জন তরুণের মধ্যে একজন হৃদরোগের ঝুঁকিতে রয়েছে। হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে এমন খাদ্যভাস পরিহার করতে হবে। তামাকজাত দ্রব্যাদি আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় ও উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধি করে। পরিমিত খাদ্যভাস, শারিরীক পরিশ্রম, ব্যায়াম আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাসে সহায়তা করে। এ হাসপাতালের উন্নয়নে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
সভায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন রাজশাহীর সভাপতি মো. আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহীর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আখতার, রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক। সম্মানীয় অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট ডাইরেক্টর কাম চিফ কনসালটেন্ট ও ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. রইছ উদ্দিন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ও আইসিইউ প্রধান ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সদস্য ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক রাজশাহী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর হবিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দকে ফুলেল শুভেচছা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
ডক্টর মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা ও তার আশেপাশের এলাকার ৩০'র অধিক কলেজ সমন্বিতভাবে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এখনো হামলা চলমান রয়েছে।
রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে এ সংঘর্ষ চলমান রয়েছে।
জানা যায়, গত বুধবার ভুল চিকিৎসায় ডক্টর মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) এইচএসসি শিক্ষার্থী অভিজিত হাওলাদারের মৃত্যুর অভিযোগে কলেজটির শিক্ষার্থীরা ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিক্ষোভ কর্মসূচি চালায়। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার কবি নজরুল ও সোহরাওয়াদী কলেজের ছাত্রদলের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনরত ডিএমআরসি কলেজের বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ চালায়।
আক্রমণের প্রতিবাদে আজ ঢাকা ও তার আশেপাশের এলাকার ডিএমআরসি কলেজ, নটরডেম কলেজ, সিটি কলেজ, ঢাকা কলেজ, নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, নারায়ণগঞ্জ সরকারি কলেজ, খিলগাও সরকারি কলেজসহ ৩০ এর অধিক কলেজের শিক্ষার্থীরা সোহরাওয়াদী ও কবি নজরুল কলেজে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। পরবর্তীতে এক পক্ষ অপর পক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়।
এতে এখন পর্যন্ত এক সাংবাদিকসহ প্রায় ৪০ জনের বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী উপস্থিত থাকলেও এখনো সংঘর্ষ চলমান।
ডিএমআরসি কলেজের এক শিক্ষার্থী জানায়, আজ সকালে ডিএমআরসি ও আশেপাশের কলেজগুলো ন্যাশনাল মেডিকেলের সামনে বিক্ষোভ করতে আসলে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা পুনরায় আমাদের ওপর হামলা চালায়। পরবর্তীতে আমরা তাদেরকে প্রতিহত করার চেষ্টা করি।
সাভারের আশুলিয়ায় তাজরিন ফ্যাশন ট্র্যাজেডির এক যুগ পূর্তিতে নিহতদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন আহত শ্রমিক ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সাধারণ শ্রমিকরা।
রোববার (২৪ নভেম্বর) সকালে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় অবস্থিত তাজরীন ফ্যাশন এর বন্ধ কারখানার মূল ফটকের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে আহত শ্রমিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পরে তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচি শুরু করে।
পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ আর পুনর্বাসনের দাবিতে প্রতিবছর তাজরীনের পোড়া ভবনের সামনে আজকের দিনে উপস্থিত হয়ে নিহতদের স্মরণ করে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনসহ স্থানীয় শ্রমিকরা। একদিকে সুচিকিৎসার অভাবে আহত শ্রমিকদের অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করছেন। আবার অনেকেই কর্মক্ষমতা হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
আগুন থেকে বাঁচতে স্বামী রবিনকে নিয়ে ৪ তলা থেকে লাফিয়ে পড়েছিলেন গর্ভবতী পোশাক শ্রমিক ফাতেমা। কর্মহীন দিশেহারা দম্পতি শুরু করেন অন্যের জমিতে সবজি চাষ, পরে শুরু করেন ছোট্ট একটি চায়ের দোকান। কিন্তু প্রায় দশ বছর পর এ বছর মে মাসে মারা যান রবিন। স্বামীর মৃত্যু, শিশু সন্তান জান্নাত ও ফাইজাকে নিয়ে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে ফাতেমা এবার একাই সৈনিক। স্বামীর হাতে গড়া ছোট্ট চায়ের দোকানই বেঁচে থাকার শেষ সম্বল।
তাজরীন ফ্যাশননে কোয়ালিটি কন্ট্রোরাল হিসেবে কাজ করতেন রবিন। ২০২২ সালের ৯ মে মারা যান তিনি। ফাতেমা খাতুন বলেন, চায়ের দোকান দেয়ার দুই মাসের মাথায় মারা যায় আমার স্বামী। এখন দুই মেয়েকে নিয়ে আমার পক্ষে একা সংসার চালানো তো কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দিনে বেচাবিক্রি হয় ৫ থেকে ৭শ টাকার। এই টাকা দিয়ে দোকানের মালামালও কিনতে হয়। আবার আমারও চলতে হয়। স্থানীয় এক ব্যক্তি প্রতি মাসে ১ বস্তা চাল কিনে দেন। চাওয়া এখন একটাই, ক্ষতিপূরণ।
রোববার সকাল থেকে আশুলিয়ায় কারখানাটির সামনে নিহত শ্রমিকদের স্বজনরা ফুল হাতে এসে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি, টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন, টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন, গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড সুয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, বাংলাদেশ শ্রম ইনস্টিটিউটসহ বেশ কয়েকটি সংগঠনের নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে শিল্প পুলিশও। শিল্প পুলিশ -১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সরোয়ার আলম বলেন, আমাদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের মূল স্টেকহোল্ডার এই শ্রমিক ভাই-বোনরা। তাদের জন্যেই আমাদের কাজ, আমাদের সব কিছু। তাদের জন্যেই এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ তৈরি হয়েছে। আশা করি প্রসিকিউশন বিভাগ এবং সবাই মিলে দ্রুত বিচার টা সম্পন্ন হোক এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরণের ব্যাপারে সবাই সতর্ক থাকে এবং এ ধরণের ঘটনা যেন না ঘটে।
এসময় শ্রমিক নেতারা বলেন, আজকে তাজরিনের ১২ বছর কিন্তু এ ঘটনায় কোনো বিচার এখনো হয়নি। নিহত শ্রমিকদের পরিবারগুলো কষ্টে দিন পার করছে। আর আহত শ্রমিকরা পঙ্গু হয়ে জীবন যাপন করছেন। আমাদের দাবি তাজরিনের এই ভবনটি ভেঙে এখানে শ্রমিকদের পুনর্বাসন অথবা হাসপাতালে তৈরি করা হোক ও খুনি দেলোয়ারের ফাঁসি হোক।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড সুয়েটার শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইন বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর আগুন লাগার পর কারখানা কর্তৃপক্ষ গেটে তালা লাগিয়ে শতাধিক শ্রমিককে পুড়িয়ে হত্যা করে। এ ঘটনার এক যুগ পরও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার চায়নি তাই বিচার হয়নি। শ্রমিকরা এখনো উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও ন্যায়বিচার পেল না। শ্রমিকদের দাবি এখনো পূরণ হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার যেন দোষীদের বিচার ও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করবেন।
বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের সভাপতি তুহিন চৌধুরী বলেন, নতুন সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, যাতে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করা হয়; খোঁজ-খবর নিয়ে যৌক্তিক ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা হয়।
২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর দেশের ইতিহাসে ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে মোট ১১৭ জন পোশাকশ্রমিক নিহত ও ২০০ জনের অধিক আহত হন। অগ্নিকাণ্ডের পরদিন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খায়রুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের এক যুগেও শেষ হয়নি বিচারকাজ।
সাভারের আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকায় অবস্থিত তাজরীন ফ্যাশনের ভবনটি এখন শুধুই সময়ের স্বাক্ষী। দীর্ঘ এতগুলো বছর পরে ভবনটিকে দেখলে অনেকটা ভুতুরেই মনে হয়। বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন, নিহত শ্রমিকদের পরিবার ও আহত শ্রমিকরা এদিন কারখানার সামনে উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, সাধারণ মানুষ অধীর আগ্রহে বসে আছে কখন তারা নিজের অধিকার প্রয়োগ করবে। সেজন্য বিএনপি বলছে, যত দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্ভব নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচন যত দ্রুত দেওয়া হবে তত দ্রুত বিশৃঙ্খলা দূর হবে। দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। আজকের বাস্তবতায় সেটি (নির্বাচন) হচ্ছে সবচেয়ে বড় প্রয়োজনীয়তা।
রোববার (২৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে নার্সেস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ন্যাব) উদ্যোগে আয়োজিত ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।
অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, জনগণের প্রকৃত মালিকানা ফেরত দিতে হবে। গণতন্ত্রকে তার সঠিক জায়গায় রাখতে হবে। অর্থাৎ, মানুষ চিন্তা করবে তার ভোট কাকে দিবে। দেশ শাসন কে করবে সেটা জনগণ সিদ্ধান্ত নিবে। সংস্কার অবশ্যই হবে। সংস্কার করতে হলে জনআকাঙ্খা বাস্তবায়ন করতে হবে। জনআকাঙ্খার প্রতিফলন হচ্ছে সংবিধান। সবকিছু আপনি আমি করে ফেললে হবে না। মানুষ কি চায় এবং তাদের মতামতের সুযোগ হচ্ছে ভোট।
অনেকে বলে বিএনপি তাড়াতাড়ি ভোট চায়। বিএনপি তো সবসময় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সাথে ছিল এবং আছে। বিএনপি তো কখনোই স্বৈরাচারের দোসর নয়। বিএনপি সাধারণ মানুষের মনের কথা বুঝে।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি বিরাজমান, দেশের ভেতর এবং বাইর থেকে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে দেশের মানুষকে সজাগ থাকতে হবে। দেশ থেকে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনতে হবে। যারা আমাদের ভাইদেরকে গুম, খুন করেছে এদেশের প্রচলিত আইনে প্রত্যেকের বিচার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২০১৭ তে কর্মসূচি দিয়েছিলেন ভিশন ২০৩০। এরপরে আমাদের নেতা তারেক রহমান ২০২২ এর ডিসেম্বরে রাষ্ট্র মেরামতের ২৭ দফা কর্মসূচি দিয়েছেন। আর ২৩ এর জুলাই মাসে সকল গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলকে নিয়ে ২৭ দফাকে ৩১ দফা করে সংস্কার কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। বিএনপি শুধু নিজের কথা বলে তা নয়। বিএনপি রাষ্ট্রের কথা বলে, আগামীদিনের কথা বলে।
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, এই দেশে আজকে যে নারী শিক্ষা, তার আলোকবর্তিকা যদি বেগম রোকেয়ার পরে কারো কথা বলতে হয়, সেটি হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়া। এর কারণ হলো, নারী শিক্ষার জন্য প্রথম বই দিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। বিনা পয়সায় স্কুল করে দিয়ে পড়ার সুযোগ সৃষ্টি করা। নারী বিষয়ক মন্ত্রণালয়ও খালেদা জিয়া করেছেন। অর্থাৎ এদেশের যত মঙ্গল এবং যত ভালো কিছু আছে তার পেছনে জড়িয়ে রয়েছেন, শহীদ জিয়া; খালেদা জিয়া ও বিএনপি।
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, পদত্যাগের তিন দিন আগেও উনি বলেছিলেন শেখের বেটি পালায় না। কিন্তু, তিন দিনের আগেই তিনি পালিয়ে গেছেন। নিজের দল, নিজের নেতাকর্মী কারও তার বিন্দুমাত্র ভালোবাসা নেই। অপর দিকে বেগম খালেদা জিয়া এই বাংলাদেশে আছেন। ওনাকে (খালেদা জিয়া) ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় ছয় বছর জেলে রাখা হয়েছে। উনি অনেক কম্প্রোমাইজ করেছেন। কিন্তু, তিনি তো দেশ ছেড়ে যাননি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে আপনারা (শেখ হাসিনা) পঙ্গু বানিয়ে দিয়েছেন। শতশত নেতাকর্মীকে গুম করেছেন। হাজার হাজার নেতাকর্মী ১৬ বছরেও শহীদ হয়েছে আবার জুলাই আগস্টেও শহীদ হয়েছে। ১ লাখ ৬০ হাজার মামলায় ৭০ লাখ গণতন্ত্রকামী মানুষকে আপনারা (শেখ হাসিনা) দমিয়ে রাখতে পারেননি। আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশের সকল গণতন্ত্রকামী মানুষ ঐক্যবদ্ধ।
নার্সেস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ন্যাব) সভাপতি জাহানারা খাতুনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলামসহ আরও অনেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।