দুই প্রতিষ্ঠানের সরকারি বেতন নেন ইউপি সদস্য সেরাজুল
সিরাজগঞ্জে দুই প্রতিষ্ঠান থেকে সরকারি বেতন ভাতা নেন ইউপি সদস্য সেরাজুল ইসলাম। একদিকে দাখিল মাদরাসার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর। অন্যদিকে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য।
জনপ্রতিনিধি হয়ে নিয়মবহির্ভূতভাবে সরকারি বেতন-ভাতা নিচ্ছেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার খোকশাবাড়ি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. সেরাজুল ইসলাম। সেরাজুল ইসলাম ২০১২ সালে শালুয়া ভিটা সিনিয়ার দাখিল মাদরাসায় যোগদান করেন ও ২০২১ সালে ইউপি সদস্য পদে নির্বাচিত হন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিক্ষা ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নিয়ম না মেনে ক্ষমতার অপব্যবহার করে শালুয়া ভিটা সিনিয়ার দাখিল মাদরাসার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে ১২ হাজার টাকা বেতন উত্তোলন করেন। একই সঙ্গে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ৩ হাজার ৬শ টাকা এবং ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সম্মানী পান ৪ হাজার ৪শ টাকা। সর্বমোট প্রত্যেক মাসে সরকারি দুই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০ হাজার টাকা বেতন ভাতা নেন।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এলিজা সুলতানা বলেন, এমপিওভুক্ত (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) কোনো মাদরাসা বা স্কুল, কলেজের শিক্ষক যদি জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন তাহলে তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা ইউনিয়ন পরিষদের এক জায়গা থেকে সরকারি বেতন-ভাতা নিতে পারবেন। সেরাজুল ইসলাম যদি দুই প্রতিষ্ঠান থেকে সরকারি বেতন-ভাতা নিয়ে থাকেন, তাহলে এ পর্যন্ত যা নিয়েছে তা যেকোনো এক প্রতিষ্ঠানের সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে হবে।
ইউপি সদস্য সেরাজুল ইসলাম দুই জায়গা থেকে সরকারি বেতনভাতা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, দুই জায়গা থেকে বেতন-ভাতা নেওয়া যাবে না এটা আমার জানা নেই।
খোকশাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল ইসলাম রশিদ মোল্লা বলেন, ইউপি সদস্য সেরাজুল ইসলামের দুই প্রতিষ্ঠানের বেতনভাতার বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না।
সিরাজগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আফছার আলী বলেন, কেউ সরকারি দুই প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন উত্তোলন করতে পারবেন না। তবে সম্মানী ভাতা নিতে পারবে বলে তিনি জানান।