ছেলে খুন হওয়ার খবরে চিকিৎসাধীন মায়ের মৃত্যু
বগুড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মাকে দেখে ফেরার পথে খুন হন ব্যবসায়ী আপেল মাহমুদ। আর ছেলের এই খুনের সংবাদ শুনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন মা আয়েশা বেগম (৫২)।
শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত আপেল মাহমুদের মরদেহ নিতে আসা তার চাচা সৈয়দ আশরাফুল আলম মানিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আপেলের মা আয়েশা বেগম ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে বগুড়ার টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে আপেল তার মাকে দেখতে ওই হাসপাতালে যান। এরপর সন্ধ্যায় তিনি বাড়ি ফেরার উদ্দেশে হাসপাতাল থেকে বের হন। কিন্তু সন্ধ্যা ৭টার পর থেকেই তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। সারা রাত বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন তার সন্ধানে নেমে পড়েন। শুক্রবার সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা জানতে পারেন কাহালুতে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা থানায় গিয়ে মরদেহটি আপেলের বলে শনাক্ত করেন।
এদিকে আপেল খুন হয়েছে এই খবর পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মা আয়েশা বেগম মারা যান।
নিহত আপেল গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফাঁসিতলা মোঘলটুলি এলাকার সৈয়দ আব্দুল ওহাব দীপ্তির ছেলে। তিনি ‘ইনডেক্স বিজনেস কো-অপারেটিভ সোসাইটি’ নামে একটি অর্থিক লেনদেন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। পাশাপাশি ফাঁসিতলা এলাকায় একটি ময়দা মিলের মালিক ছাড়াও আমদানি-রপ্তানির ব্যবসা করতেন তিনি।
নিহত আপেলের ভগ্নিপতি একরামুল হক জানান, আপেল এলাকায় ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার কোনো শত্রু ছিল বলে কেউ বলতে পারবে না। তাকে কেন খুন করা হল তারা বিষয়টি বুঝতে পারছেন না।
কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির বার্তা২৪.কমকে বলেন, বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে কাহালু থানার বারমাইল-নামুজা সড়কে ছাতারপুকুর এলাকার মাঠ থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ থেকে কিছু মানুষ থানায় গিয়ে লাশটি ফাঁসিতলার ব্যবসায়ী আপেলের বলে শনাক্ত করে।
তাৎক্ষণিকভাবে হত্যার কারণ জানা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটক করতে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।