সংগ্রামী নারী বিথী সেনের বিসিএস ক্যাডার হওয়ার গল্প



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
বিথী সেন

বিথী সেন

  • Font increase
  • Font Decrease

বিথী সেন। ৪০তম বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের একজন সদস্য। বর্তমানে ফরিদপুরের বোয়ালমারি সরকারি কলেজে দর্শন বিষয়ের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। কিন্তু বিথী সেনের বিসিএস ক্যাডার হওয়ার পিছনের গল্পটা অন্যরকম। কষ্ট আর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জীবন কাটিয়েছে বিথী সেন। বিথী সেনের চলার পথ খুব একটা সহজ ছিল না। কখনও খেয়ে কখনও না খেয়ে জীবনের সাথে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করেছেন তিনি। জীবন সংগ্রামের যুদ্ধে আজ বিথী সেন একজন সফল নারী।

বিথী সেন রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জঙ্গল গ্রামের মনোরঞ্জন সেন ও নাগরি সেনের মেয়ে। তার বাবা খেটে খাওয়া একজন দিনমজুর। আর মা অন্যের বাড়িতে কাজ করতেন। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে বিথী সেন সবার বড়। পাঁচ সদস্যের পরিবারের ভরণপোষণ জোগাড় করতে যেখানে দরিদ্র বাবার ঘাম ছুঁটে যায় সেখানে সন্তানদের লেখাপড়ার করানোটা তাদের কাছে বিলাসিতা ছিল।

কিন্তু অদম্য ইচ্ছা আর সৃষ্টিকর্তার রহমতে বিভিন্ন লোকের সাহায্যে নিয়ে লেখাপড়া করা বিথী সেন আজ জীবনের সফল একজন নারী। ২০২৩ সালে বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদফতর আয়োজিত জয়িতা পুরস্কার হিসেবে বিথী সেন শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে জয়িতা পুরস্কারে ভূষিত হন। তার এই সফলতা ও পুরস্কার অর্জনে পুরো পরিবার গর্বিত।

নিজের জীবনের কষ্ট, সংগ্রাম আর সফলতার গল্প শোনান বিথী সেন। তিনি জানান, তার বাবা একজন দিনমজুর। মা অন্যের বাড়িতে কাজ করে তাদের লেখাপড়া ও খাবারের জোগান দিতেন। এমনও দিন গেছে তাদের ঘরে কোন খাবার ছিলনা। মা অন্যের বাড়ি থেকে যে খাবার পেতেন সেই খাবারই তারা ভাগ করে খেতেন। তার বাবা-মা দুজনই অক্ষর জ্ঞানহীন। শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হওয়া মানুষ। তবুও তার মা-বাবার চাওয়া ছিল ছেলেমেয়েকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার। তারই ফলশ্রুতিতে শত কষ্ট আর বাঁধা উপেক্ষা করে আজ তার এ পর্যন্ত আসা।

সন্তান কোলে মায়ের সঙ্গে বিথী সেন

বিথী সেন ২০০৬ সালে জঙ্গল সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ২০০৮ সালে মাগুরা আদর্শ কলেজ থেকে এইচএসসি ও যশোর এমএম কলেজ থেকে দর্শন বিষয়ের ওপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

বিথী সেন তার গল্প শোনাতে গিয়ে জানান, আত্মীয় স্বজন, শিক্ষক ও সহপাঠিদের সহযোগিতায় কোন রকম দিন পার করেছে সে। কখনও স্বজনদের টাকা কখনও নিজের টিউশনির টাকা দিয়ে লেখাপড়া ও নিজের খরচ চালিয়েছে সে। স্বজনরাও মাঝে মাঝে টাকা দিতে গড়িমসি করতো। কিন্তু কখনও হাল ছাড়েননি সে। হতাশ হয়ে পড়লেই চোখের সামনে ভেসে আসত তার বাবা-মার জীর্ণশীর্ণ দেহ ও শুকনো মলিন মুখখানা। তখনই আবার নতুন উদ্দামে পথচলা শুরু করতেন। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত বাড়ির সকল সদস্যদের পুরাতন কাপড় কিনে ব্যবহার করেছেন সে। নতুন পোশাক বলতে সে স্কুল ড্রেসকেই বুঝত।

সংগ্রামের কথা বলতে গিয়ে বিথী সেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, তার কষ্টের কথা জানতে পেরে মাগুরা আদর্শ কলেজের তখনকার অধ্যক্ষ তাকে নতুন একসেট বই কিনে দেন এবং কলেজের বেতন মওকুফ করে দেন। এরপর থেকেই তার শিক্ষা জীবনের চলার পথ অনেকটা সহজ হয়ে যায়। এখান থেকে এইচএসসি পাস করার পর সে ভর্তি হন যশোর মাইকেল মদুসূদন মহাবিদ্যালয়ে।

টাকার অভাবে বাইর থাকার সামর্থ না থাকায় একবুক আশা নিয়ে ওঠেন পিসাতো বোনের বাসায়। কিন্তু তার পিসাতো বোন চাকরি করায় তাদের বাসার সকল কাজ ও বাচ্চাকে দেখাশুনা করতে হত তাকে। ফলে সে নিয়মিত ক্লাস করতে পারত না। তাকে কাজের লোক হিসেবে রেখেছিল। নিয়মিত ক্লাস করতে না পারায় তার প্রথম বর্ষের ফলাফর খারাপ হয়। পিসাতো বোনের কথা অমান্য করে সে দ্বিতীয় বর্ষে নিয়মিত ক্লাস করতে থাকে। বাসার কাজ করতে না পারায় পিসাতো বোন তাকে বাসা থেকে চলে যেতে বলেন। এরপর সে তার এক বান্ধবীর সহযোগিতা নিয়ে হোস্টেলে ওঠেন এবং টিউশনি করতে থাকেন। এভাবেই চলতে থাকে তার লেখাপড়া।

লেখাপড়া শেষে বিথী সেন নেমে পড়েন কর্মসংস্থানের। যেখানেই চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেখেন সেখানেই আবেদন করতে থাকেন। ২০১৯ সালে তার প্রথম চাকরি হয় সহকারী স্টেশন মাস্টার হিসেবে। কিন্তু বিথী সেনের স্বপ্ন ক্যাডার হওয়ার। স্টেশন মাস্টারের দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি নিজেকে প্রস্তুত করতে থাকেন বিসিএস এর জন্য। অবশেষে তার সেই স্বপ্ন ধরা দেয় ৪০তম বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে। ২০২২ সালে ফরিদপুরের বোয়ালমারি সরকারি কলেজে সে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। এখনও সেখানেই কর্মরত রয়েছেন।

২০২২ সালে সে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তার স্বামী একজন ব্যাংকার। তাদের ঘবে এক বছর বয়সের একটি শিশু সন্তান রয়েছে। তার উপার্জিত টাকা দিয়ে সে তার বাবা-মা ও ভাইবোনকে সহযোগিতা করেন।

বিথী তার জীবনের গল্প শোনাতে গিয়ে সমাজের অবহেলিত দরিদ্র ও অসহায় নারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কোন বাধায় থেমে যাওয়া উচিত নয়। ধৈর্য্য ও সাহসের সাথে সকল প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করতে হবে। তিনি চান- তাকে দেখে সমাজের অন্য নারীরা যেন অনুপ্রাণিত হন, নারীরা যেন নিজের পরিচয়ে পরিচিত হতে পারেন। নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারলেই সমাজ থেকে নারীর ওপর সকল নির্যাতন ও অবহেলা বন্ধ হবে।

জঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কল্লোল বসু বার্তা২৪.কমকে বলেন, বিথী সেন একজন সংগ্রামী সফল নারী। সে সরকারি চাকরি পাওয়ার পর তার পরিবার এখন অনেক সুখে আছে। তার ভাই কুয়েট থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার পড়াশোনা শেষ করেছেন। গ্রামের সবাই এখন তাকে অনুসরণ করে।

মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আফরোজা জেসমিন বার্তা২৪.কমকে জানান, তার দফতর থেকে বিথী সেনকে সংগ্রামী সফল নারী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। বিথী সেনের জীবনের গল্প যদি সবাই জানতে পারে তাহলে দেশের হাজারো অবহেলিত অসহায় নারী জেগে ওঠতে পারবে, হতে পারবে স্বাবলম্বী।

বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন

বিজিবির পাহারায় সারাদেশে চলছে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সারাদেশে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কঠোর পাহারায় চট্টগ্রাম, খুলনা ও ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল থেকে বিজিবির চট্টগ্রাম রিজিয়ন ও চট্টগ্রাম ব্যাটালিয়নের (৮ বিজিবি) নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন হতে তেলবাহী ট্রেন ঢাকা ও সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে তেল পৌঁছে দিচ্ছে।

বিজিবি সদরদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টায় ২৪টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন ঢাকার উদ্দেশ্যে, সকাল সাড়ে ৬টায় ১৬টি তেলবাহী বগিসহ আরও একটি ট্রেন সিলেটের উদ্দেশ্যে, সকাল ১০টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ একটি ট্রেন দোহাজারীর উদ্দেশ্যে এবং বেলা ১১টায় ১২টি তেলবাহী বগিসহ আরেকটি ট্রেন হাটহাজারীর উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন ছেড়ে যায়।

এছাড়া বিজিবির নিরাপত্তায় খুলনা ও ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে এবং শ্রীমঙ্গল থেকে সিলেটে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন চলাচল করে।

সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন পৌঁছে দিতেও বিজিবি সদস্যরা নিরাপত্তা সহায়তা দেবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

;

আজ কোন এলাকায় কত সময় কারফিউ শিথিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কারফিউর মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

কারফিউর মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীসহ সারাদেশে কারফিউ জারি করে সরকার।

গত ১৯ জুলাই (শুক্রবার) থেকে শুরু হয়ে এখনও দেশের বিভিন্ন জেলায় চলমান রয়েছে। এর মধ্যে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, শনিবার (২৭ জুলাই) কারফিউ তুলে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্দান্ত আসতে পারে। 

তবে আজও (২৬ জুলাই) রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও এলাকা কারফিউয়ের আওতায় থাকবে।

ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এরপর বিকেল ৫টা থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও গাজীপুরসহ চার জেলায় ফের শুরু হবে কারফিউ।

সবচেয়ে বেশি সময় ধরে কারফিউ শিথিল থাকবে রংপুর ও বরিশালে। রংপুরে সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মোট ১৫ ঘণ্টা সেখানে কারফিউ শিথিল থাকবে। বরিশালেও একই সময় ধরে কারফিউ শিথিল থাকবে। 

এছাড়া চট্টগ্রামে সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা, রাজশাহীতে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা এবং সিলেটে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা থেকে রোববার (২১ জুলাই) সকাল ১০টা পর্যন্ত সারা দেশে কারফিউ জারি করে সরকার।

;

জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ক ডিবিতে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামসহ তিনজনকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অপর দুই সমন্বয়ক হলেন- আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ডিবির একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ডিবি বলছে, নিরাপত্তা এবং জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

তারা তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

;

কারফিউ তুলে নেয়ার ব্যাপারে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত কারফিউ নিয়ে সবাইকে একটু অপেক্ষা করতে হবে। কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা, তা আমরা দেখছি।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা আমরা দেখছি। পুলিশ বিজিবি, সেনাবাহিনী কাজ করছে। জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করতে হবে। জনগণকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। এ বিষয়ে শনিবার (২৭ জুলাই) আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও জানান তিনি।

এ সময় আন্দোলনের নামে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেশের এই ক্ষতির দায় কে নেবে? বিএনপি বলছে সহিংসতার মধ্যে তারা নেই। তাহলে কে করেছে? এটা জনগণের প্রশ্ন।

কোটা আন্দোলনকারীদের আটকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনকারী নেতারা নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। এসময় সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়।

পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ের জন্য কারফিউ শিথিল করা হলেও এখনো পুরোপুরি এখন তুলে নেয়া হয়নি।

;