সংরক্ষিত আসনে এমপি হতে চান চট্টগ্রামের ১৫ নেত্রী



আবদুস সাত্তার, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪
সংরক্ষিত আসনে এমপি হতে চান চট্টগ্রামের নারী নেত্রীরা: ছবি: সংগৃহীত

সংরক্ষিত আসনে এমপি হতে চান চট্টগ্রামের নারী নেত্রীরা: ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি হতে লবিং করছেন চট্টগ্রামের ১৫ নারী নেত্রী। তারা চট্টগ্রাম ও ঢাকায় মন্ত্রীদের দ্বারে দ্বারে ধরনা দিচ্ছেন। তাদের দাবি, কেন্দ্রীয় নেতারা তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করবেন। পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে যার যার সফলতা তুলে ধরছেন অনেকে। কেউ কেউ প্রয়াত বাবা কিংবা স্বামীর অবদান ও পরিচয়কে অবলম্বন করে এমপি হওয়ার চেষ্টা করছেন।

অনেক প্রার্থী দাবি করছেন, তাদের এমপি করা হলে সাধারণ নারীদের মধ্যে গতিশীলতা আসবে। গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গেও দেখা করছেন।

জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সংরক্ষিত আসনের তফসিল ঘোষণার ৯০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন করতে হয়। দশম জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের ৩ জনকে এমপি করা হয়। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আতাউর রহমান খান কায়সারের মেয়ে ওয়াসিকা আয়েশা খান, সাবেক চসিক কাউন্সিলর সাবিহা মুছা এবং রাঙামাটির নারী নেত্রী ফিরোজা বেগম চিনু। এবারও এই ৩ জনসহ মাঠে নেমেছেন মোট ১৫ জন নারী নেত্রী। বার্তা২৪.কম’র সাথে আলাপকালে নেত্রীরা মনোনয়ন পাওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

ওয়াসিকা আয়েশা খান বলেন, 'চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা) আসনে এবার সরাসরি ভোটে এমপি নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম। তিন প্রজন্ম ধরে আমরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। নারী সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকায় আমার যোগাযোগ আরও বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী আস্থা রাখলে আবারও প্রতিদান দিতে প্রস্তুত রয়েছি।'

চট্টগ্রাম-২ ফটিকছড়ির সাবেক এমপি মরহুম রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে খাদিজাতুল আনোয়ার সনি ২০১৪ সালের নির্বাচনে মনোনয়ন পেলেও পরে দলীয় সভাপতির নির্দেশে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দু'বারই আওয়ামী লীগের নৌকা নিয়ে এমপি হন তরীকতের নজিবুল।

পূর্বে দলীয় সিদ্ধান্তকে সম্মান করে তিনি সরে গেছেন উল্লেখ করে খাদিজাতুল আনোয়ার সনি বলেন, ‘ফটিকছড়ির মাটি ও মানুষের নেতা মরহুম রফিকুল আনোয়ারের কন্যা হিসেবে এ উপজেলার মানুষের সঙ্গে তার যে আত্মার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এবার বাবাকে মূল্যায়ন করে হলেও আমাকে মনোনয়ন দেবেন। এমন প্রত্যাশা করছি।’

প্রয়াত সিটি মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রী হাসিনা মহিউদ্দিনও সংরক্ষিত আসনে এমপি হতে চান। ছেলে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি ও উপমন্ত্রী হওয়ায় লবিংয়েও এগিয়ে আছেন তিনি। নগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ্য মনে করলে তার আস্থার মূল্য দিতে প্রস্তুত আছি।'

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে এবার সরাসরি মনোনয়ন চেয়েছিলেন দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চেমন আরা তৈয়ব বলেন, 'দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। দলের মহিলা সংগঠনের সভাপতি ছাড়াও মাঠ পর্যায়ে একজন কর্মী হিসেবে সংগঠনের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। নেত্রী মনোনয়ন দিলে বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী আমি।'

আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক নারী কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট রেহেনা বেগম রানু বলেন, ‘দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি নির্মোহভাবে। পদ-পদবির লোভ কখনোই স্পর্শ করেনি। সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি পদে আমাকে একবার বাছাইও করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। পরে আমাকে ছাড় দিতে হয়। আশা করছি, এবার আস্থা রেখে যোগ্য নারীদের বেছে নেবেন তিনি।’

এ ছাড়াও এবার সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনে আলোচনায় রয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সাবেক সহসভাপতি ও চট্টগ্রাম ওমেন চেম্বারের সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী। তিনি বলেন, ‘কাকে মনোনয়ন দেবেন সেটি প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা। তবে আমি দীর্ঘদিন নেত্রীর আস্তাভাজন ছিলাম। এবার আমাকে মনোনয়ন দেবেন বলে আশাবাদী।’

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম কলেজের সাবেক মহিলা সম্পাদিকা নাজনীন সরোয়ার কাবেরী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। আমাকে নেত্রী এবার মূল্যায়ন করবেন।’

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রুমানা নাসরীন রুমুও বলেন, 'দলের নিবেদিতপ্রাণ কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। মূল্যায়ন প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই করবেন।'

এছাড়াও জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাসিনা মান্নান, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা হারুণ লুবনা, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুন্নাহার বেগম, উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বাসন্তী প্রভা পালিত, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর রেখা আলম চৌধুরী, কক্সবাজার মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, নগর যুব মহিলা লীগের সম্পাদিকা নাজমা আক্তার মিতা।

প্রসঙ্গত, আইন প্রণয়নে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ১৯৭২ সালে সংবিধানে বিশেষ কোটা চালু করা হয়। তারপর থেকে প্রতিটি সংসদ নির্বাচনেই নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন বরাদ্দ থাকছে।

   

টর্নেডোর আঘাতে লন্ডভন্ড শ্যামনগর



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
টর্নেডোর আঘাতে লন্ডভন্ড শ্যামনগর

টর্নেডোর আঘাতে লন্ডভন্ড শ্যামনগর

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে টর্নেডোর আঘাতে শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।

রোববার (১৯ মে) বিকেলে উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের পশ্চিম কৈখালী, পূর্ব কৈখালি ও জয়াখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় বেশ কিছু গাছও উপড়ে পড়ে। তবে কেউ হতাহত হয়নি।

কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম জানান, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে হঠাৎ পাঁচ নদীর মোহনার দিক থেকে প্রচণ্ড বেগে একটি টর্নেডো ধেয়ে আসে। মুহূর্তেই এলাকার শতাধিক টিনশেড ও কাঁচা ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে যায়। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানকে জানানো হয়। এরই মধ্যে উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রভাষক সাঈদ উজ-জামান সাঈদ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস খালেদা আইয়ুব ডলি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রভাষক সাঈদ উজ-জামান সাঈদ জানান, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করা হবে।

;

গাইবান্ধায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
গাইবান্ধায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

গাইবান্ধায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পুকুরের পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (১৯ মে) বিকেলে উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের ডুমুরগাছা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তিন বছর বয়সী শিশু সাদ বাবু ওই গ্রামের হাবিব-মৌসুমী দম্পতির একমাত্র ছেলে।

মৃত্যুর বিষয়টি রাত সাড়ে নয়টার দিকে মোবাইল ফোনে নিশ্চিত করেছেন উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য তহিদুল ইসলাম।

এ সময় স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, শিশুটির মা ঘরের কাজে ব্যস্ত থাকায় খেলতে খেলতে কিছুক্ষণের মধ্যেই নিখোঁজ হয় শিশু সাদ্। পরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে শিশুটির মা নিজেই তাদের বাড়ির পিছনে পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখেন। পরে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথেই মৃত্যু হয়।

;

লোভের ফাঁদে ফেলে গ্রাহকের ২৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ, গ্রেফতার ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর অক্সিজেন এলাকায় একটি ভবনের ৫ম তলায় ‘আস্থা মাল্টিপারপাস সার্ভিস লিমিটেড’ নামে একটি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) অফিস চালু করে কয়েকজন মিলে। সেই এনজিওতে সদস্য হয়ে ঋণ নিতে বিভিন্ন প্রলোভন দেখানো হয় অসহায়-নিরীহ নারীদের। গত ১ মাস ধরে এভাবেই বিভিন্ন প্রলোভনে জামানত ও সঞ্চয়ের নাম করে সদস্যদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয় ২৬ লাখ টাকারও বেশি। পরে ঋণ না পেয়ে ওই অফিসের দুইজনকে আটক করে পুলিশে দিলে বেরিয়ে আসে প্রতারণার ছক।

শনিবার (১৮ মে) বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন অক্সিজেন কুয়াইশ রোড এলাকার তারেক বিল্ডিংয়ের ৫ম তলা থেকে তাদের আটক করে ভুক্তভোগীরা। পরে তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

গ্রেফতারকৃত দুইজন হলেন, মেহেদী হাসান সবুজ (৩৫) এবং মো. জাফরুল হাসান খান (২৮)। এরমধ্যে সবুজ বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জের হাওলাদার বাড়ির হালিম হাওলাদারের ছেলে। বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেডে বন্দর টিলা এলাকায় থাকেন তিনি। আর জাফরুল বাগেরহাট জেলার সরণখোলার চালিতাবুনিয়ার খান বাড়ির মো. আসলাম হোসেন খানের ছেলে। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামীর অক্সিজেন কাঁচাবাজার এলাকায় থাকেন।

পুলিশ জানায়, গত ১৯ এপ্রিল নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন অক্সিজেন কুয়াইশ রোড এলাকায় ‘আস্থা মাল্টিপারপাস সার্ভিস লিমিটেড’ নামে একটি বেসরকারি এনজিওর অফিস খুলে অভিযুক্তরা। গত এক মাস ধরে ওই এলাকার শ্রমজীবী ও নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে গিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে এনজিও’র সদস্য হওয়ার প্রস্তাব দেয়। একইসঙ্গে তাদের আরো কয়েকজনকে সদস্য করার কথা বলে। পরে সদস্য হওয়ার জন্য ভুক্তভোগীরা অফিসে গেলে অভিযুক্তরা তাদের জানায়, এককালীন ১০ হাজার টাকা সঞ্চয় দিলে সপ্তাহের মধ্যে ১ লাখ টাকা এবং ২০ হাজার সঞ্চয় দিলে ২ লাখ টাকা ঋণ দিবে। এছাড়াও সদস্যদের পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে তাদের চিবিৎসা ভাতাসহ নানান সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। অভিযুক্তদের কথা বিশ্বাস করে ভুক্তভোগীরা প্রত্যেকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে সদস্যপদ নেয়। ভুক্তভোগীরা প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা জামানত দেয়। পরে তাদের একটি সঞ্চয় ও ঋণ পাস বই দেয় অভিযুক্তরা। এসময় অভিযুক্তরা সদস্যদের সঞ্চয় ও ঋণ পাশ বইতে কাজ আছে বলে নিয়ে যায় এবং জানায় ১৮ মে তাদের ঋণ দেওয়া হবে।

সেই প্রেক্ষিতে গতকাল ১৮ মে (শনিবার) সকালে ওই এনজিও অফিসে গেলে তালাবদ্ধ দেখতে পায়। পরে ভুক্তভোগীরা জানতে পারেন, অভিযুক্তরা ঋণ দিবে বলে এ রকম অনেকের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়া ঋণের টাকা না দেওয়ায় মেহেদী হাসান সবুজ এবং মো. জাফরুল হাসান খানকে আটক করে ভুক্তভোগীরা থানায় নিয়ে গেছে। তবে এ ঘটনায় আরো দুই অভিযুক্ত পলাতক রয়েছেন।

পরে এ ঘটনায় বায়েজিদ থানায় ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজন সদস্য তাদের বিরুদ্ধে বায়েজিদ থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ জনের কাছ থেকে সদস্য ফিসহ বিভিন্ন কারণে জামানত হিসাবে টাকা নেয়। পরে আটককৃতদের দেখানো মতে অফিস থেকে ১২৭টি সঞ্চয় ও ঋণ পাশ বই এবং ৫৭৬টি সদস্য আবেদন ফরম জব্দ করা হয়।

বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা বলেন, ‘প্রথমে অসহায়-নিরীহ মানুষের কাছে গিয়ে আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতার প্রলোভনসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কথা জানিয়ে বিশ্বাস অর্জন করতো তারা (অভিযুক্ত)। পরে ঋণ দিবে বলে সদস্যদের কাছ থেকে জামানত নিতো। এভাবে তারা বাদী ও বাদীর পরিচিত সদস্যদের কাছ থেকে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা এবং আরো বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের কাছ থেকে জামানত ও সঞ্চয়ের নামে ২৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল ওই এনজিওর সদস্যদের ঋণ দেওয়ার কথা ছিল। তবে সদস্যরা অফিসে গিয়ে জানতে পারেন তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। পরে সদস্যরা ওই এনজিও’র সঙ্গে জড়িত দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এক সদস্য বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। আরও দুইজন পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’

;

ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান চলাচল বন্ধে বিআরটিএ'র জরুরি বিজ্ঞপ্তি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান চলাচল বন্ধে বিআরটিএ'র জরুরি বিজ্ঞপ্তি

ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান চলাচল বন্ধে বিআরটিএ'র জরুরি বিজ্ঞপ্তি

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহাসড়কে ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান চালনা বন্ধ কারণে জরুরি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

রোববার (১৯ মে) বিআরটিএ সদর কার্যালয় থেকে জরুরি এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

ঢাকাসহ মহাসড়কে লাইট ভাঙ্গা, সিট ভাঙ্গা মোটরযান চলাচলের কারণে প্রায়শঃ সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশ বর্তমানে একটি উন্নয়নশীল দেশ। ফলে ঢাকা মহানগরে চলাচলরত গণপরিবহনের সৌন্দর্যের উপর নগরের সৌন্দর্য ও দেশের ভাবমূর্তি অনেকাংশে নির্ভর করে। সড়ক দুর্ঘটনা পরিস্থিতি উন্নতির লক্ষে এ ধরনের ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান চলাচল বন্ধ করা প্রয়োজন।


মোটরযান চালক, যাত্রী, পথচারীসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ১ জুলাই -এর মধ্যে এ ধরনের ত্রুটিপূর্ণ মোটরযানকে ত্রুটিমুক্ত ও দৃষ্টিনন্দন করার জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায়, আগামী ১ জুলাই থেকে ত্রুটিপূর্ণ মোটরযানের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইন এবং বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

;