স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে। গণঅভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা বিদেশে বসে যে ষড়যন্ত্র করছে তা এদেশের সাধারণ জনগন ঐক্যবদ্ধভাবে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করবে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত ‘স্বৈরাচার পতন ও গনতন্ত্র মুক্তি দিবস' উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে বক্তরা এমন মন্তব্য করেন।
সমাবেশে বক্তরা বলেন, সম্প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারকে রহমান জাতীয় ঐক্যের কথা বলেছেন। সেই আলোকে অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইতিমধ্যে বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দলের সাথে বসে আলোচনা করেছেন। এটি তারেক রহমানের জাতীয় ঐক্যের ডাকের প্রতিফলন।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও মীরসরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমিন, প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী মো. সরওয়ার আলমগীর। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন ও যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী সালাউদ্দীন।
ফটিকছড়ি পৌরসভা বিএনপির সভাপতি মোবারক হোসেন কাঞ্চনের সভাপতিত্বে জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব নাজিম উদ্দীন শাহিন ও মনচুর আলম চৌধুরীর যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা সোলাইমান মঞ্জু, আরশাদ হোসেন সেলিম, বদিউল আলম তালুকদার, মহিউদ্দীন আজম তালুকদার, ফরিদুল আলম বিএ, এস এম শফিউল আলম, মোহাম্মদ এমরান, রফিকুল আলম, নাজিম উদ্দীন, আবুল কালাম, তাহের সিদ্দিকী, জয়নাল আবেদীনসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এর আগে বিকেল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে দলের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসেন। কেউ ব্যানার আর ফেস্টুন আবার কেউ প্লেকার্ড নিয়ে সমাবেশে যোগদেন। মঞ্চের কাছে এলে অতিথিবর্গ তাদের মুহুমহু করতালির মাধ্যমে সমাবেশস্থলে স্বাগত জানান। সভায় দলের হাজার হাজার নেতাকর্মী সমাবেশে উপস্থিত হন।
সভা শেষে সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে আসা সাড়া জাগানো সংগীত শিল্পী মৌসুমীসহ একাধিক কন্ঠশিল্পী।
উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সরোয়ার আলমগীর বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর আওয়ামী লীগের দু:শাসনের জবাব হিসেবে এই সমাবেশে নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেছেন। হাজার হাজার মানুষের ঢল নেমেছে। এখন মানুষ স্বৈরাচারমুক্ত হয়ে মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিচ্ছেন।
‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ গানের গীতিকার আবু জাফরের মরদেহ জানাজা শেষে কুষ্টিয়া পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বাদ আসর সরকারি কলেজ মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় আবু জাফরের ভক্ত, জেলা জামাতের আমির অধ্যাপক আবুল হাসেমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, ছাত্র, সহকর্মী, পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী অংশগ্রহণ করেন।
জানাজা পড়ান কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোল্লা মোহাম্মদ রুহুল আমীন। এরপর কুষ্টিয়া পৌর কবরস্থানে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়।
আজ ভোরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবু জাফর। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় দীঘদিন অসুস্থ অবস্থায় ছিলেন এই গীতিকার।
চুয়াডাঙ্গা কলেজ ও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। রাজশাহী ও ঢাকা বেতার এবং টেলিভিশনের নিয়মিত কণ্ঠশিল্পী ও গীতিকার ছিলেন। তার রচিত বেশিরভাগ গানের সুর ও কণ্ঠ তিনি নিজেই দিয়েছেন। তবে আলোচিত বেশিরভাগ গানেই কণ্ঠ দিয়েছেন আবু জাফরের প্রাক্তন স্ত্রী ফরিদা পারভীন। আবু জাফর কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের গড়ের বাড়ি কাঞ্চনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এক কৃষককে কোদালের ডান্ডা দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার মিরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের বাঁশতলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত মো: নুরুল হক বাবুল (৬০) উপজেলার মিরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের লেদির বাড়ের বাড়ির মৃত আনোয়ার উল্যার ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক ছিলেন।
নিহতের ছেলে নুরুল আমিন স্বপন অভিযোগ করে বলেন, গত ১৩ বছর আমাদের বাড়ির সামনের ৩৩ শতাংশ জায়গা নিয়ে প্রতিবেশী মু্ন্নার সাথে আমাদের বিরোধ ছিল। কিছু দিন সামাজিক ভাবে সালিশি বৈঠকে বিষয়টি মীমাংসা হয়। ওই সালিশে ৩৩ শতাংশ জায়গার মধ্যে আমাদেরকে ১০ শতাংশ জায়গা দেওয়া হয়। বাকী ২৩ শতাংশ জায়গা মুন্নাকে দেওয়া হয়। এখন মুন্না বলে তিনি সালিশি বৈঠকের সিন্ধান্ত মানেন না।
এরপর শুক্রবার বিকেলে মুন্না আমাদের সামেনর অংশের জায়গা দখল করে দেয়াল নির্মাণ শুরু করে। খবর পেয়ে বাবা আর আমি ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে আমাকে আটকে রেখে মুন্না, রাব্বি, রনি, নজরুল, জাহাঙ্গীর, নুরুল হুদা আমার বাবার সাথে হাতাহাতি শুরু করে। একপর্যায়ে কোদালের (ডান্ডা) লাঠি দিয়ে বাবার কাঁধে আঘাত করে। এতে তিনি ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চৌমুহনী প্রাইম হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিকেল ৫টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
বেগমঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.লিটন দেওয়ান বলেন, মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের কোনো চিহৃ পাওয়া যায়নি। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যু সঠিক কারণ জানা যাবে। লিখিত অভিযোগের আলোকে তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় পারিবারিক যৌথ পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে দ্বন্দ্বে ভাতিজার কিল ঘুষির আঘাতে চাচা আবুল কালাম (৬০) নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিহত আবুল কালাম উপজেলার আশুজিয়া ইউনিয়নের সিংহেরগাঁও কান্দাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকালে সিংহেরগাঁও কান্দাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভাতিজাকে আটক করেছে পুলিশ। নিহতের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক যৌথ পুকুর নিয়ে অনেক আগে থেকেই দ্বন্দ্ব চলছিল। শুক্রবার বিকালে ওই পুকুরে মাছ ধরছিল চাচা আবুল কালাম। এ সময় ভাতিজা লিটন তার চাচাকে মাছ ধরতে বাঁধা দেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে ভাতিজা লিটন মিয়া তার চাচাকে কিল ঘুষি মারে। পরে স্থানীয়রা ঝগড়া থামায়। পরে চাচা ঘরে চলে গেলে ভাতিজা ঘরের ভিতরে গিয়ে তাকে আবারও কিল ঘুষি শুরু করে। কিল ঘুষির আঘাতে একপর্যায়ে চাচা আবুল কালাম ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এঘটনায় কেন্দুয়া থানা পুলিশ নিহতের ভাতিজা লিটনকে আটক করে।
নিহতের স্ত্রী জোসনা আক্তার তার স্বামীর হত্যাকারী লিটনসহ তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী জানিয়েছেন।
এবিষয়ে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, ভাতিজার কিল ঘুষিতে চাচা আবুল কালাম মারা গেছেন। নিহতের লাশ সন্ধ্যার দিকে নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাতিজা লিটনকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।