চট্টগ্রামে বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে ২ যুবকের মৃত্যুদণ্ড

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামে বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে ২ যুবকের মৃত্যুদণ্ড

চট্টগ্রামে বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে ২ যুবকের মৃত্যুদণ্ড

চট্টগ্রামের কোতোয়ালীতে ৫ বছর আগে ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধে হত্যার মামলার দুই যুবককে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে আদালত তাদের ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১০ মার্চ) ষষ্ঠ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ বেগম সিরাজাম মুনীরা এ রায় দেন।

বিজ্ঞাপন

দণ্ডিত দুজন হলেন ২৮ বছর বয়সী মো. রুবেল ও ৩০ বছর বয়সী মো. আব্বাস।

আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর দীর্ঘতম বড়ুয়া জানান, খুনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রুবেল ও আব্বাসকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আসামিদের মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেওয়ায় তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও জানান, রায়ের সময় আব্বাস আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাকে সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আসামি রুবেল জামিন নিয়ে পলাতক আছেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ফরহাদ হোসেন জাকির নামে আরেক যুবককে বেকসুর খালাস দেন আদালত।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৫ মে ভোরে প্রতিদিনের মতো বৃদ্ধা মঞ্জু সেন (৭০) সদরঘাট থানার নেভাল-২ ঘাট এলাকায় হাঁটতে যান। প্রতিদিন সকাল ৮টার মধ্যে বাসায় ফিরলেও সেদিন তিনি বাসায় না ফেরায় তার পরিবারের লোকজন তাকে অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও পায়নি। এরপর ওইদিন তার ছেলে রতন কান্তি সেন কোতোয়ালি থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।

পরদিন ২৬ মে দুপুরে সদরঘাট থানার নেভাল-২ এলাকায় প্যাসিফিক গ্রুপের একটি পরিত্যাক্ত ভবনের পাশের ঝোপঝাঁড়ে মঞ্জুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ রুবেল ও আব্বাসকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা মঞ্জু সেনের সোনার কানের দুল, হাতের আংটি ও মোবাইল ছিনিয়ে নিতে তাকে প্যাসিফিক গ্রুপের পরিত্যাক্ত ভবনে নিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে বলে স্বীকারোক্তি দেয়। রুবেল ওই ভবনের দারোয়ান ছিলেন।

মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ৭ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্য নিয়ে আদালত এ রায় দেন।